Friday, September 5, 2014

ছাগলনাইয়ায় মোকামিয়া সীমান্তহাট অক্টোবরে চালু:নয়াদিগন্ত

ফেনীর ছাগলনাইয়ার মোকামিয়া সীমান্তে নবনির্মিত সীমান্তহাট আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হচ্ছে। গতকাল ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের হলরুমে দিনব্যাপী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গত বছরের ৩ নভেম্বর ভারতের ত্রিপুরার শ্রীনগরের কৃঞ্চনগর পঞ্চায়েত ভবনে দুই দেশের মধ্যে বৈঠক শেষে ওই সীমান্তহাটের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। জানা গেছে, বাংলাদেশের ফেনীর ছাগলনাইয়ার মোকামিয়া ও ভারতের
ত্রিপুরার সাবরুমের শ্রীনগর সীমান্ত এলাকায় সীমান্তহাট খোলা নিয়ে ইতঃপূর্বে কয়েক দফা ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বাজার উদ্বোধনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকের উদ্দেশ্যে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় মোকামিয়া সীমান্তহাট এলাকা দিয়ে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের ১৫ সদস্য বাংলাদেশে আসেন। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাগত জানিয়ে অতিথিদের গাড়িবহরে করে ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের হলরুমে নিয়ে আসা হয়। এরপরই দুই দেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে সীমান্তহাট নিয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সীমান্তহাট আগামী মাসের ১৫-২০ তারিখের মধ্যে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে বাজারের অবকাঠামো, ইমেগ্রেশন, কাস্টমস, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সংখ্যা এবং প্রবেশের নিয়ম ও বিধি, পণ্যের আইটেম নির্ধারণ, নিরাপত্তা বিধানে বিজিবি ও বিএসএফের কার্যাবলি নির্ধারণ, সপ্তাহে এক দিন বাজার খোলা রাখা, ২৫ জন করে বিক্রেতা থাকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বাজারে প্রবেশে ক্রেতার সংখ্যার নিয়ে বাধ্যবাধকতা নেই। তবে প্রতিটি বাংলাদেশী ক্রেতাকে পরিচয়পত্র নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে হবে। পরিচয়পত্র প্রদান করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।  গতকালের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দিয়েছেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মাহবুবুল হক। অন্যদের মধ্যে ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শহিদুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র মো: আলমগীরসহ অন্যরা। ভারতের পক্ষে দক্ষিণ ত্রিপুরার এ ডি এম আর কে নোয়াতিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যদের মধ্যে ত্রিপুরা সরকারের বাণিজ্যিক ডাইরেক্টর পিএল আগরওয়াল, বিএসএফের দক্ষিণ ত্রিপুরার কমান্ডেন্ট অফিসার অনিল বর্মা, ডিপুটি ডাইরেক্টর স্বপ্নাদেব নাথসহ প্রতিনিধি দলের ১৫ সদস্য। বিকেলে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা একই পথে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। প্রঙ্গত, ভারতীয় মুদ্রায় ২.৬৮ কোটি টাকায় ভারতের একক খরচে এ সীমান্তহাটের নির্মাণকাজ শুরু করে ভারত। প্রতিটি দেশের জন্য ২৫টি করে প্রাথমিকভাবে ৫০টি দোকান নির্মাণ হয়েছে। ইতোমধ্যে সীমান্তহাটের ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে দৈর্ঘ্যে ১৫০ মিটার এবং প্রস্থে ৭৫ মিটার জমি সীমান্তহাটের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ। একই পরিমাণ জমি ভারত থেকেও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

No comments:

Post a Comment