Friday, September 5, 2014

ইউপি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত:নয়াদিগন্ত

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে নির্বাচনী বিধিমালায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার কাজ চলছে। গতকাল ইসি সচিবালয়ে বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার মো: শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বৈঠকে ইভিএম ব্যবহারের জন্য নির্বাচনী বিধিমালা সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কোনো বিধান ছিল ন
া। তাই বিধিমালা সংশোধন করে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সংশোধনী প্রস্তাবটি আগামী বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হবে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে বিধিমালাটি ভেটিং হয়ে এলেই তা কার্যকর করা যাবে এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহারে আর কোনো বাধা থাকবে না। এর আগে পৌরসভা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিধিমালা সংশোধন করে ইভিএম ব্যবহারের পথ প্রশস্ত করেছিল কমিশন।  কমিশনার বলেন, বর্তমানে মেশিনগুলো কী অবস্থায় আছে, সে সম্পর্কে তথ্য ও প্রযুক্তি শাখাকে জানাতে বলা হয়েছে। তবে কবে থেকে এটা ব্যবহার করা হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। ২০১০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ১৩০টি ইভিএম তৈরি করে দেয়। সেগুলো দিয়েই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় একটি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ করে ইসি। এরপর বুয়েটের কাছ থেকে আরো ৪০০ মেশিন নেয়া হয়। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) থেকে আরো ৭০০ মেশিন তৈরি করে নেয়া হয়। বিগত কমিশনের পরিকল্পনা ছিল স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করে জনপ্রিয়তা অর্জনের পর দশম সংসদ নির্বাচনেই তা ব্যবহার করা হবে। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছাড়া প্রত্যেক নির্বাচনেই এই মেশিনে ত্রুটি দেখা দেয়। নরসিংদী পৌরসভা, নারায়ণগঞ্জ সিটি, রংপুর সিটি ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনের সময় এ যন্ত্রের ত্রুটি দেখা দেয়ায় ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন ইসি। রাজশাহী সিটির সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ কেন্দ্রের একটি মেশিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় ফল প্রকাশে দেরি হয়। ওই মেশিনটি আর ঠিক করা যায়নি। সেজন্য আবার ব্যালট পেপারে ভোট নিতে হয়েছিল সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে। নরসিংদী পৌর নির্বাচনেও একই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল কমিশনকে।

No comments:

Post a Comment