ি সংসদে উপস্থাপন করেন। ‘প্রতিরক্ষা সার্ভিসেস-এর উপযোজন হিসাব’ শিরোনামের এ প্রতিবেদনে প্রতিরক্ষা নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল বাছেত খান মন্তব্যে বলেন, প্রতিরক্ষা বিভাগে বাজেট বরাদ্দ অপেক্ষা অতিরিক্ত খরচ, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ রাখা, উদ্বৃত্ত টাকা ফেরত না দেওয়া, ভুল কোডে হিসাবভুক্ত ও ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া এবং অতিরিক্ত খরচ মঞ্জুরি দ্বারা নিয়মিত না করা ইত্যাদি অনিয়ম হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রতিরক্ষা সার্ভিসেসের চূড়ান্ত মঞ্জুরি ছিল ১০ হাজার ৪২৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৫ টাকা। প্রকৃত খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৪৮ কোটি ৫২ লাখ ৫২ হাজার ২১১ টাকা। অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৬২৩ কোটি ১৩ লাখ ৮ হাজার ৭৭৬ টাকা। খাতভিত্তিক অতিরিক্ত খরচ: অতিরিক্ত খরচের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সম্পদ কেনায় খরচ হয়েছে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮০ টাকা। সেনাবাহিনীর কর্মচারীদের বেতন বাবদ অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ১১০ কোটি ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১২২ টাকা, ভাতা বাবদ ৬০ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৪, মেরামত ও সংরক্ষণে ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৪৬৬, সম্পদ কেনায় ৭০ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ১৩৬ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঋণ ও অগ্রিম বাবদ কোনো মঞ্জুরি না থাকলেও খরচ হয়েছে ছয় কোটি ৪৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪০০ টাকা। সেনাবাহিনীর পূর্ত পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরে কর্মকর্তাদের বেতন বাবদ অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৭ টাকা। এ ছাড়া সরবরাহ ও সেবায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ৫২৫ এবং সম্পদ কেনায় ৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৯ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। নৌবাহিনীর ভাতা বাবদ অতিরিক্ত খরচ ৬ কোটি ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৬ টাকা। বিমানবাহিনীর সরবরাহ ও সেবায় অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৮২ হাজার ৫২৩। মেরামত ও সংরক্ষণে ২৩ কোটি ৭১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৬৭ এবং সম্পদ কেনায় ৩০ কোটি ৭০ লাখ ১৫ হাজার ৬৭ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তরে সম্পদ কেনায় অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ২৮ টাকা। প্রতিরক্ষা ক্রয় অধিদপ্তরে কর্মচারীদের বেতন বাবদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৭ এবং ভাতা বাবদ ২ লাখ ৪ হাজার ৯৫৩ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। স্টাফ কলেজের কর্মচারীদের বেতন বাবদ অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৩৮০ টাকা। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ভাতা বাবদ ২ লাখ ৭ হাজার ৩৫০ টাকা এবং সম্পদ কেনায় ৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৫ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। ডিজিএমএসে কর্মচারীদের বেতন বাবদ ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮৯ টাকা, ভাতা বাবদ ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৯ এবং সম্পদ কেনায় ১২ কোটি ৩০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৪ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কর্মচারীদের বেতন বাবদ এক লাখ ২১ হাজার ৭৯ এবং ভাতা বাবদ পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। প্রতিরক্ষা অ্যাটাচিতে সরবরাহ ও সেবায় অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৭০ লাখ ৬৬ হাজার ৫৮৬ টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে উদ্বৃত্ত পাঁচ কোটি ৬৩ লাখ ৮২ হাজার ১০৫ টাকা অর্থবছরের মধ্যে ফেরত দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া গতকাল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, অর্থ, রেলপথ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, পররাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Tuesday, September 9, 2014
৬২৩ কোটি টাকা বেশি খরচ প্রতিরক্ষা বিভাগের:প্রথম অালো
ি সংসদে উপস্থাপন করেন। ‘প্রতিরক্ষা সার্ভিসেস-এর উপযোজন হিসাব’ শিরোনামের এ প্রতিবেদনে প্রতিরক্ষা নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল বাছেত খান মন্তব্যে বলেন, প্রতিরক্ষা বিভাগে বাজেট বরাদ্দ অপেক্ষা অতিরিক্ত খরচ, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দ রাখা, উদ্বৃত্ত টাকা ফেরত না দেওয়া, ভুল কোডে হিসাবভুক্ত ও ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া এবং অতিরিক্ত খরচ মঞ্জুরি দ্বারা নিয়মিত না করা ইত্যাদি অনিয়ম হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রতিরক্ষা সার্ভিসেসের চূড়ান্ত মঞ্জুরি ছিল ১০ হাজার ৪২৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৫ টাকা। প্রকৃত খরচ হয়েছে ১১ হাজার ৪৮ কোটি ৫২ লাখ ৫২ হাজার ২১১ টাকা। অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৬২৩ কোটি ১৩ লাখ ৮ হাজার ৭৭৬ টাকা। খাতভিত্তিক অতিরিক্ত খরচ: অতিরিক্ত খরচের মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর সম্পদ কেনায় খরচ হয়েছে ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮০ টাকা। সেনাবাহিনীর কর্মচারীদের বেতন বাবদ অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ১১০ কোটি ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১২২ টাকা, ভাতা বাবদ ৬০ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৭৬৪, মেরামত ও সংরক্ষণে ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৪৬৬, সম্পদ কেনায় ৭০ কোটি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ১৩৬ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঋণ ও অগ্রিম বাবদ কোনো মঞ্জুরি না থাকলেও খরচ হয়েছে ছয় কোটি ৪৪ লাখ ৯৬ হাজার ৪০০ টাকা। সেনাবাহিনীর পূর্ত পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরে কর্মকর্তাদের বেতন বাবদ অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৭০ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৭ টাকা। এ ছাড়া সরবরাহ ও সেবায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ৫২৫ এবং সম্পদ কেনায় ৫ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৯ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। নৌবাহিনীর ভাতা বাবদ অতিরিক্ত খরচ ৬ কোটি ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৬ টাকা। বিমানবাহিনীর সরবরাহ ও সেবায় অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৮২ হাজার ৫২৩। মেরামত ও সংরক্ষণে ২৩ কোটি ৭১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৬৭ এবং সম্পদ কেনায় ৩০ কোটি ৭০ লাখ ১৫ হাজার ৬৭ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা অধিদপ্তরে সম্পদ কেনায় অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৩৩ লাখ ৫২ হাজার ২৮ টাকা। প্রতিরক্ষা ক্রয় অধিদপ্তরে কর্মচারীদের বেতন বাবদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৩৭ এবং ভাতা বাবদ ২ লাখ ৪ হাজার ৯৫৩ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। স্টাফ কলেজের কর্মচারীদের বেতন বাবদ অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৪ লাখ ১ হাজার ৩৮০ টাকা। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ভাতা বাবদ ২ লাখ ৭ হাজার ৩৫০ টাকা এবং সম্পদ কেনায় ৫ লাখ ৯ হাজার ১৮৫ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। ডিজিএমএসে কর্মচারীদের বেতন বাবদ ১৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮৯ টাকা, ভাতা বাবদ ২৫ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৯ এবং সম্পদ কেনায় ১২ কোটি ৩০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৪ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কর্মচারীদের বেতন বাবদ এক লাখ ২১ হাজার ৭৯ এবং ভাতা বাবদ পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে। প্রতিরক্ষা অ্যাটাচিতে সরবরাহ ও সেবায় অতিরিক্ত খরচ হয়েছে ৭০ লাখ ৬৬ হাজার ৫৮৬ টাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে উদ্বৃত্ত পাঁচ কোটি ৬৩ লাখ ৮২ হাজার ১০৫ টাকা অর্থবছরের মধ্যে ফেরত দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া গতকাল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, অর্থ, রেলপথ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, পররাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment