Thursday, September 11, 2014

মামলার সুপারিশ না করতে দুদক কর্মকর্তাকে হুমকির অভিযোগ:নয়াদিগন্ত

মামলার সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তাকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী কাঞ্চন দাশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা কুমার রায়। যতনকুমার রায় জানান, এনামুল হক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দিতে কাঞ্চন দ
াশ মোবাইলফোনে তাকে হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, সকাল ১০টা ৮ মিনিটে আমার ফোনে কল করে কাঞ্চন দাশ বলেছেন, এনামুল হক স্যার বলেছেন, উপর মহল তার পে আছে। আপনি শুধু তার বিরুদ্ধে মামলা না করার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেবেন। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি জানালে কাঞ্চন দাশ আমাকে দেখে নেয়া এবং একপর্যায়ে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাঞ্চন দাশ। তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘সকালে তার সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমার কাছে কিছু কাগজপত্র চাচ্ছিলেন। কিন্তু তাকে কোনো ধরনের হুমকি দেয়া হয়নি।’ নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ ওঠে রাজশাহী-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা যতনকুমার রায়। সূত্র আরো জানায়, দুদকের সংগ্রহ করা তথ্য এবং এনামুলের দেয়া সম্পদ বিবরণীর তথ্যের মধ্যে বিস্তর গরমিল রয়েছে। দুদকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এনামুল গত পাঁচ বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। এসব সম্পদ অর্জনের উৎস দুদক খুঁজে পায়নি। দুদকের প্রতিবেদনে এনামুলের মালিকানাধীন এনা প্রপার্টিজের নিজস্ব ভবনসহ ১৭টি প্রকল্পের উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে, এনা প্রপার্টিজ আয়কর দেয়ার সময় যে অডিট প্রতিবেদন দাখিল করেছে, আর ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণকালীন যে অডিট দাখিল করেছে, তার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে এনামুল হক ৩১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা গোপন করেছেন। সালেহা ইমারত কোল্ড স্টোরেজে তিন কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার টাকার শেয়ার থাকলেও তা আয়কর রিটার্নে উল্লেখ করা হয়নি।

No comments:

Post a Comment