Sunday, September 14, 2014

ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলা:নয়াদিগন্ত

বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গতকাল দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠান শেষে বেরিয়ে আসার পথে এ হামলা হয়। হামলায় ড. মাহবুব উল্লাহর শরীরের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে চোখে আঘাত লেগেছে। বিকেলে তাকে ভর্তি করা হয় ল্যাবএইড হাসপাতালে।  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলে
ছেন, শেখ হাসিনার সন্ত্রাসীরাই মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলা করেছে। এর দায় তিনি না নিলে তাকে গদি ছাড়তে হবে। গতকাল দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড. মাহবুব উল্লাহ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অডিটোরিয়াম থেকে বের হওয়ার পরপরই পাঁচ-ছয়জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা মাহবুব উল্লাহকে মেঝেতে ফেলে উপর্যুপরি কিলঘুষি দেয় ও তার শার্ট ছিঁড়ে ফেলে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।  এ ঘটনার পরেই ছেঁড়া শার্ট গায়ে থাকা অবস্থাতেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে গাড়ি নিয়ে সরাসরি ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-অ্যাবের মহাসমাবেশে চলে আসেন ড. মাহবুব উল্লাহ। তিনি যখন মিলনায়তনে আসেন তখন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া বক্তব্য রাখছিলেন। মাহবুব উল্লাহকে দেখে বিএনপি চেয়ারপারসন আবার কথা বলা শুরু করেন।  খালেদা জিয়া বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে মাহবুব উল্লাহর ওপর যে হামলা হয়েছে তার দায়-দায়িত্ব হাসিনাকেই নিতে হবে। আমরা মনে করি, হাসিনার সন্ত্রাসীরাই মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলা করেছে। এর দায় তিনি না নিলে তাকে গদি ছাড়তে হবে। খালেদা জিয়া বলেন, এভাবে দেশ চলতে পারে না। এভাবে দেশ চলতে দেয়া যায় না। হাসিনাকে বলব, আপনি আপনার সন্ত্রাসী-খুনিদের সামলান। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করুন, নইলে গদি ছাড়–ন।  মাহবুব উল্লাহ আহতাবস্থায় বিএনপির চেয়ারপারসনের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, আমি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের একটি বই প্রকাশনার অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। ওই অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদসহ অনেকে ছিলেন। অনুষ্ঠানটি নির্বিঘেœ হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে আমি মিলনায়তন থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে আমার কল্পনার বাইরে হঠাৎ চার-পাঁচজন ছেলে এসে আমাকে ঘিরে মেঝেতে ফেলে মারতে থাকে। এ সময়ে অনুষ্ঠান শেষে মানুষজন মিলনায়তন থেকে বেরিয়ে এলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। তিনি আবেগময় কণ্ঠে বলেন, আমি একজন শিক্ষক। আমার কোনো শত্রু নেই। যতটুকু প্রয়োজন সেভাবেই কথা বলি। আমি আজ এই হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করছি। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এই ঘটনায় আমি উপলব্ধি করছি, এ দেশে কোনো সভ্য মানুষের পক্ষে জীবনযাপন করা সম্ভব নয়। ড. মাহবুব উল্লাহকে বিকেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অরুণ কুমার শর্মার অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজখবর নিয়েছেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক সচিব আসাফ্ উদ্দৌলাহ্, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের সভাপতি শামা ওবায়েদ, মহিলা দলের নেত্রী খালেদা ইয়াসমিন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান প্রমুখ।  শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর ড. মাহবুব উল্লাহর ইসিজি ও রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। তার হাইপ্রেসার এবং চোখে আঘাত ধরা পড়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনের পর জোর করে মতা দখল করে রেখে বিরোধী মতের বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও শিাবিদদের ওপর দলন-পীড়ন শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, দেশের শাসনকার্য পরিচালনায় নিজেদের ব্যর্থতা, লুটপাট, দুর্নীতি আড়াল করতে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে।  তিনি বলেন, ড. মাহবুব উল্লাহর মতো দেশের একজন বিশিষ্ট শিাবিদ ও নিরীহ মানুষের প্রতি আওয়ামী দুর্বৃত্তদের এহেন ন্যক্কারজনক হামলা, শারীরিকভাবে অপমাণিত ও লাঞ্ছিত করার ঘটনাই প্রমাণ করে অবৈধ রাষ্ট্রীয় মতা দখলকারীদের পায়ের নিচে তিলার্ধ পরিমাণ মাটিও আর অবশিষ্ট নেই। অবিলম্বে ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলাকারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান মির্জা ফখরুল। হামলার নিন্দা জানিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন শত নাগরিক। সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও সদস্যসচিব কবি আবদুল হাই শিকদার স্বারিত এক বিবৃতিতে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা: এ কে এম আজিজুল হক ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।  শত নাগরিকের নিন্দা ও প্রতিবাদ : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন শত নাগরিক। গতকাল বিকেলে সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও সদস্য সচিব কবি আবদুল হাই শিকদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবি জানানো হয়।  প্রসঙ্গত ড. মাহবুব উল্লাহ শত নাগরিকের যুগ্ম আহ্বায়ক। বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ দেশের একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক। অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, ইতিহাস, আন্তর্জাতিক সম্পর্কসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক শাখায় তার বিচরণ। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের এই মহানায়ক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বৈরাচারী শক্তির বিরুদ্ধে সাহসী উচ্চারণের প্রতীক। এ জন্যই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শত নাগরিক। অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় বিবৃবিতে।  বিবৃতি প্রদানকারী শত নাগরিকের নেতৃবৃন্দ হলেন আহ্বায়ক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক বিচারপতি আবদুর রউফ, সদস্য সচিব কবি আবদুল হাই শিকদার, সদস্য ডা: এম এ মাজেদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ড. খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান (জাবি), ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার (ঢাবি), ড. সদরুল আমিন (ঢাবি), ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম (ঢাবি), ড. আবদুর রহমান সিদ্দিকী (রাবি), ড. আজহার আলী সরকার (রাবি), ড. হাসান মোহাম্মদ (চবি), প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান (চট্টগ্রাম), ড. রেজাউল করিম (খুলনা) ও ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী (খুলনা)। রাবি সাদা দলের ৩০১ শিক্ষকের বিবৃতি : বিশিষ্ট অর্থনীতি মাহবুব উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাবি সাদা দলের ৩০১ জন শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এম শামসুল আলম সরকার, প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর মামনুনুল কেরামত, প্রফেসর মু. আজহার আলী, প্রফেসর ড. এম এ হাসেম, প্রফেসর আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, প্রফেসর এম নজরুল ইসলাম, প্রফেসর সি এম মোস্তফা প্রমুখ। জামায়াতের নিন্দা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। এ ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তিনি আরো বলেন, ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলার দায়ভার এ সরকার কিছুতেই এড়াতে পারে না। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।  বি. চৌধুরীর নিন্দা : অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। বি. চৌধুরী গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলা গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ। তিনি বলেন, এ ঘটনায় স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, সরকার বাকশাল কায়েম থেকে কত দূরে? ভিন্নমতের প্রতি এ ধরনের আচরণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, অপরাধী যে বা যারাই হোক, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তরিকুল ইসলামের নিন্দা : ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মতাসীনদের অপশাসন ও কুকীর্তি নিয়ে কথা বলার কারণেই তার ওপর এই হামলা করা হয়েছে। তিনি অবিলম্বে মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনায় আরো নিন্দা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন। ছাত্রদলের নিন্দা : ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।  গতকাল এক বিবৃতিতে ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, বিশ্বব্যাপী অগ্রহণযোগ্য ও তামাশার নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত আওয়ামী সরকার নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধী মতের বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও শিক্ষাবিদদের ওপর হামলা ও নিপীড়ন শুরু করেছে। ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিবাদ : ড. মাহবুব উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান এ প্রতিবাদ জানান। নেতৃদ্বয় বলেন, আদালতের ভেতর দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তির ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা যে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে তার ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তারা আরো বলেন, এর আগেও সর্বোচ্চ আদালতের ভেতরে আওয়ামী লীগের এক মহিলা এমপির নেতৃত্বে পুলিশ পাহারায় আইনজীবীদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর করেছিল সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা। আজ পর্যন্ত এর কোনো বিচার হয়নি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে এবং তার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

No comments:

Post a Comment