ব্যুরোতে (আইবি) দীর্ঘদিন কাজ করা একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মতে, ভারতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লোক থাকতে পারে, যারা সমস্যা তৈরির চেষ্টা করবে। তবে দেশটি কখনোই তাদের বেড়ে ওঠার সুযোগ দেবে না। ওই কর্মকর্তা মনে করছেন, নানা কারণেই কোনো বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ভারতে শিকড় গাড়তে পারবে না। অন্তত সামাজিক বিভাজন খুব বড় হয়ে না ওঠা পর্যন্ত এমন কিছু দেখা যাবে না। ভারতে ইসলামি উদারপন্থার বিকাশ নিয়ে কাজ করে ‘ইসলামিক ফোরাম ফর দ্য প্রমোশন অব মডারেট থট’। সংগঠনটির মতে, ভারতীয় মুসলমানেরা শান্তিপ্রিয়। তারা আল-কায়েদার মতাদর্শকে সমর্থন করে না। তার পরও চরমপন্থা ও ধর্মকে এক করে না দেখার বিষয়ে ইসলামের সতর্কবাণীগুলো তুলে ধরতে জুমার নামাজের বয়ানকে কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করেন সংগঠনটির মহাসচিব এ ফজলুর রহমান। ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করছেন, জাওয়াহিরি যে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে উপমহাদেশে শাখা গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন, তার উদ্দেশ্য একটাই: আইএসের উত্থানে চাপে পড়া আল-কায়েদার সদস্যদের মনোবলকে চাঙা করা। একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার মতে, আফগানিস্তানে আরবনিয়ন্ত্রিত আল-কায়েদা ও পশতুভিত্তিক তালেবানের সংস্কৃতিগত পার্থক্য সুস্পষ্ট। আল-কায়েদা সেখানে তালেবানের কাছে কোণঠাসা। প্রতিবেশী পাকিস্তানেও তাই। সেখানে লস্কর-ই-তাইয়েবা (এলইটি) ও পাকিস্তানি তালেবানের উত্থানে আল-কায়েদা আগের মতো শক্ত অবস্থানে নেই। ভারতেও তাদের একই সমস্যায় পড়তে হবে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে আল-উলেমা ও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের (আইএম) মতো দেশীয় চরমপন্থী গ্রুপের অভাব নেই। তারা আল-কায়েদার দ্বারা দ্বিতীয় শ্রেণির জিহাদি হিসেবে বিবেচিত হতে কখনোই চাইবে না।’ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক প্রধান পি কে হর্মিস থারাকানের মতে, ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চরমপন্থীদের জন্য আরেকটা প্রতিবন্ধকতা। আশির দশকে ভারতের জিডিপি যখন পাকিস্তানের চেয়ে কম ছিল, তখন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার চরমপন্থাও কমতে শুরু করেছে। তবে শিক্ষিত তরুণদের একটা অংশের সন্ত্রাসবাদে ঝুঁকে পড়ার বিষয়টি একটা বড় উদ্বেগ বলে স্বীকার করেন থারাকান। ‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আইএসআই দায়ী’: পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া দেশগুলোর তালিকায় রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা ব্রুস রিডেল। এই বিশ্লেষক বলেন, পাকিস্তানের ঘরোয়া রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করতে দেশটির সেনাবাহিনীই ভারতে আল-কায়েদার সর্বশেষ অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Sunday, September 7, 2014
ভারতীয় গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মত:প্রথম অালো
ব্যুরোতে (আইবি) দীর্ঘদিন কাজ করা একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মতে, ভারতে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু লোক থাকতে পারে, যারা সমস্যা তৈরির চেষ্টা করবে। তবে দেশটি কখনোই তাদের বেড়ে ওঠার সুযোগ দেবে না। ওই কর্মকর্তা মনে করছেন, নানা কারণেই কোনো বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ভারতে শিকড় গাড়তে পারবে না। অন্তত সামাজিক বিভাজন খুব বড় হয়ে না ওঠা পর্যন্ত এমন কিছু দেখা যাবে না। ভারতে ইসলামি উদারপন্থার বিকাশ নিয়ে কাজ করে ‘ইসলামিক ফোরাম ফর দ্য প্রমোশন অব মডারেট থট’। সংগঠনটির মতে, ভারতীয় মুসলমানেরা শান্তিপ্রিয়। তারা আল-কায়েদার মতাদর্শকে সমর্থন করে না। তার পরও চরমপন্থা ও ধর্মকে এক করে না দেখার বিষয়ে ইসলামের সতর্কবাণীগুলো তুলে ধরতে জুমার নামাজের বয়ানকে কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করেন সংগঠনটির মহাসচিব এ ফজলুর রহমান। ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মনে করছেন, জাওয়াহিরি যে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে উপমহাদেশে শাখা গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন, তার উদ্দেশ্য একটাই: আইএসের উত্থানে চাপে পড়া আল-কায়েদার সদস্যদের মনোবলকে চাঙা করা। একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার মতে, আফগানিস্তানে আরবনিয়ন্ত্রিত আল-কায়েদা ও পশতুভিত্তিক তালেবানের সংস্কৃতিগত পার্থক্য সুস্পষ্ট। আল-কায়েদা সেখানে তালেবানের কাছে কোণঠাসা। প্রতিবেশী পাকিস্তানেও তাই। সেখানে লস্কর-ই-তাইয়েবা (এলইটি) ও পাকিস্তানি তালেবানের উত্থানে আল-কায়েদা আগের মতো শক্ত অবস্থানে নেই। ভারতেও তাদের একই সমস্যায় পড়তে হবে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে আল-উলেমা ও ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের (আইএম) মতো দেশীয় চরমপন্থী গ্রুপের অভাব নেই। তারা আল-কায়েদার দ্বারা দ্বিতীয় শ্রেণির জিহাদি হিসেবে বিবেচিত হতে কখনোই চাইবে না।’ ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সাবেক প্রধান পি কে হর্মিস থারাকানের মতে, ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চরমপন্থীদের জন্য আরেকটা প্রতিবন্ধকতা। আশির দশকে ভারতের জিডিপি যখন পাকিস্তানের চেয়ে কম ছিল, তখন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সেখানকার চরমপন্থাও কমতে শুরু করেছে। তবে শিক্ষিত তরুণদের একটা অংশের সন্ত্রাসবাদে ঝুঁকে পড়ার বিষয়টি একটা বড় উদ্বেগ বলে স্বীকার করেন থারাকান। ‘পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আইএসআই দায়ী’: পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া দেশগুলোর তালিকায় রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা ব্রুস রিডেল। এই বিশ্লেষক বলেন, পাকিস্তানের ঘরোয়া রাজনীতিতে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করতে দেশটির সেনাবাহিনীই ভারতে আল-কায়েদার সর্বশেষ অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করেছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment