ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে এ বছর পানির উচ্চতা বাড়েনি। ফলে শুষ্ক মওসুম আসার আগেই হ্রদের পানি শুকিয়ে কাপ্তাই-কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ বলছে, গত কয়েক বছর ধরে পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। এবারের বর্ষা মওসুমে সারা দেশে ভারী বর্ষণের ফলে বন্যা দেখা দিলেও পার্বত্য এলাকায় তেমন কোনো বৃষ্টিপ
াত হয়নি। ফলে আর কয়েক মাস পর শুষ্ক মওসুমে আবারো হ্রদের পানি শুকিয়ে যাবে। এতে শুকনো মওসুমে কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন ৫০ থেকে ৬০ মেগাওয়াটে নেমে আসার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন তারা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো: আবদুর রহমান জানান, কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানি থাকার কথা ১০৯ এমএসএল (মিন সি লেভেল)। কিন্তু এ সময় হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ৯৫.৩৮ এমএসএল, যা বর্তমানে রুলকার্ভ অনুযায়ী ১৪ ফুট কম। এ দিন কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ২৩০ মেগাওয়াট। এবারের বর্ষা মওসুমে শেষ মুহূর্তে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি আর সীমান্ত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। এতে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়ে। কিন্তু তা পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট নয়। এ অবস্থা আরো কিছুদিন চললে বিদ্যুৎ উৎপাদন সঙ্কটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment