Wednesday, September 10, 2014

সিটি ভেঙেই ভাঙল সড়ক:কালের কন্ঠ

রাজধানীতে নাগরিক সেবা বলে যেন আর কিছু নেই। রাস্তাঘাট ভেঙে পড়েছে, অলিগলির অবস্থা কাহিল, ম্যানহোলের ঢাকনা উপচে বেরিয়ে আসছে নোংরা ময়লা। মানুষের চলাফেরায় দুর্ভোগের শেষ নেই। পর পর দুইবার পৃথিবীর বসবাস-অযোগ্য শহরের তালিকায় দ্বিতীয় হয়েছে ঢাকা। এত দিন যা-ও বা জনপ্রতিনিধিদের কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলা যেত, কিন্তু অনির্বাচিত আমলাদের কাছে নালিশ জানানোরও সুযোগ নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীর নাগরিক সেবা ভেঙে
পড়ার মূল কারণ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে দায়িত্ব না থাকা। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন চালানো হচ্ছে প্রশাসক দিয়ে। তবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বে থাকা আমলারা রাজধানীর করুণ পরিস্থিতির কারণ হিসেবে দুষছেন বর্ষা মৌসুমকে। তাঁদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুম শেষ হলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বৃষ্টির সময় রাস্তার অবস্থা একুট খারাপ থাকে। এগুলো বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পর মেরামত করি। কিন্তু ফ্লাইওভার এলাকার রাস্তা মেরামতের দায়িত্ব নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের। তারা মেরামত করবে বলে আমরা আশাবাদী।’ তাঁর এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আহসান উল্লাহ হাসান। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন ভাগ হওয়ার পর রাজধানীতে নাগরিক সেবাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। একদিকে যেমন এলাকা ভাগ করা হয়েছে, অন্যদিকে করপোরেশনের শীর্ষ পর্যায়ে বসানো হয়েছে অনির্বাচিত ব্যক্তি। জনগণের কাছে সরকারের নিয়োগ করা ব্যক্তির সরাসরি কোনো জবাবদিহিতা নেই। তাই তাঁরা কাজ করছেন নিজেদের ইচ্ছামতো। এ ছাড়া এলাকাভিত্তিক কাউন্সিলর না থাকায় উন্নয়ন ও সেবার ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি এসব  ভোগান্তির ব্যাপারে সংক্ষুব্ধ লোকজন কোনো অভিযোগ করারও সুযোগ পায় না। জানা গেছে, আমলানির্ভর দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে যতটুকু উন্নয়নকাজ হয়, তা-ও দীর্ঘস্থায়ী হয় না নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে। এ ছাড়া নগরজুড়ে অবৈধ পার্কিং, সিএনজি স্ট্রেশনগুলোর দৌরাত্ম্য, ফুটপাত দখলের কারণে ঢাকার রাস্তায় বেড়েছে অসহনীয় যানজট। জ্যামে ৩০ মিনিটের পথ পেরোতে কখনো কখনো সময় লাগছে দুই ঘণ্টার বেশি। দুর্ভোগের হরেক চিত্র : সরেজমিন ঢাকা ঘুরে দেখা গেছে নাগরিকদের ভোগান্তির নানা চিত্র। মধ্য বাড্ডার পাঁচতলা মার্কেটে যাওয়ার রাস্তায় দেখা গেল, রাস্তা বলে সেখানে কিছু নেই। ইট-বালু-পিচ অনেক আগেই উঠে গেছে। ম্যানহোলে নেই ঢাকনা। রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে ছোটখাটো খালের মতো হয়েছে। আর ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল চিহ্নিত করতে স্থানীয় লোকজন বাঁশের মাথায় লাল কাপড় টাঙিয়ে সেখানে গুঁজে রেখেছে। অঞ্চলটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতায় পড়েছে। এ এলাকার বাসিন্দা মো. হালিম সিকদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এ রাস্তায় কোনো ম্যানহোলের ওপরই ঢাকনা নেই। বহুবার আমরা আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে রাস্তা মেরামত ও ম্যানহোলের ঢাকনা দেওয়ার জন্য ধরনা দিয়েছি। কিন্তু কারো সঙ্গে তো দেখাই করতে পারি না।’ হালিম সিকদার আরো বলেন, ‘ওয়ার্ড কমিশনার যতই খারাপ হোন, আমরা অন্তত তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারতাম। সমস্যার কথা তিনি শুনতেন। কিছু কাজও হতো। এখন আর সে উপায়ও নেই।’ একই রকম ভোগান্তিতে পড়েছে রামপুরা ডিআইটি আবাসিক এলাকার মানুষ। হাতিরঝিল উন্মুক্ত হওয়ার পর এ আবাসিক এলাকার ভেতর এখন ভয়াবহ যানজট লেগেই থাকে। গত তিন বছরে এলাকায় ম্যানহোলের কোনো ঢাকনা লাগায়নি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। রাস্তাঘাট খানাখন্দে ভরা। হেঁটেও পার হওয়া যায় না। প্রতিদিন হাতিরঝিলের হাজার হাজার গাড়ি এ এলাকার অলিগলিতে ভরে যায়। সব মিলিয়ে এলাকাটি এখন ‘নরকে’ পরিণত হয়েছে; কিন্তু দেখার কেউ নেই। ডিআইটি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মামুন আবদুল্লাহ বলেন, তিন বছর ধরে রাস্তা খারাপ, ম্যানহোলে কোনো ঢাকনা নেই। কিন্তু সিটি করপোরেশন নিশ্চুপ। তারা গত তিন বছরে এ এলাকায় মশার ওষুধও ছিটায়নি। এসবের কারণ হিসেবে আবদুল্লাহ আমলা পরিচালিত সিটি করপোরেশনের ওপরই দোষ দেন। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেল বিভিন্ন প্রয়োজনে নাগরিক সনদপত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ, ওয়ারিশন সনদ, মৃত্যু সনদ, ছবি সত্যায়নে ভোগান্তির কথা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকায় এসব সেবা সংকুচিত হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও জাল সনদ সরবরাহ করার কারণে প্রকৃত সনদধারীরা পড়েছেন বিপাকে। জানা গেছে, মিরপুর ৬ নম্বর সেকশনের বাসিন্দা আবদুল হালিম সম্প্রতি তাঁর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া একটি প্লট নিয়ে নামজারি করতে গিয়ে সনদের কারণে বেকায়দায় পড়েছেন। স্থানীয় সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহসানউল্লাহ হাসান একটি ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন আগেই। সেই সনদ নিয়ে তিনি যখন সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যান তখন সেখানে দেখা যায়, তাঁর তথ্য গোপন করে আরেকটি সার্টিফিকেট সেখানে দেওয়া আছে। আর এই ভুয়া সনদটি ঢাকা সিটি করপোরেশন উত্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়-২ থেকে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে গেলেও প্রতিকার পাননি তিনি। জানা গেছে, সনদের মতো এ রকম জরুরি সেবা পেতে মানুষ বাধ্য হয়েই এক শ্রেণির দালালের ওপর নির্ভর করছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া জাল সনদও দালালরা মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছে সাধারণ মানুষের কাছে। দম বন্ধ যানজটে : ফ্লাইওভার ছাড়া রাজধানীর গাড়ি চলাচলের পথ একটুও বাড়েনি। উল্টো ফুটপাত দখলে থাকায় হেঁটে চলা মানুষ মূল সড়কে এসে পড়েছে। এর ফলে গাড়ি চলাচলের জায়গা কমে গেছে। রাজধানীবাসী অতীতের যেকোনো সময় থেকে এখন যানজটে বেশি সময় আটকে থাকছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, শুধু রাজধানীতে যানজটের কারণে মানুষের কর্মক্ষমতা ও জ্বালানি বাবদ অপচয় হয় বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা। তবে এ হিসাব গত বছরের। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানের নিরিখে এ হিসাব আরো বাড়বে। রাস্তা কমে যাওয়ার পেছনে শুধু ফুটপাত দখলই একমাত্র কারণ নয়, এর সঙ্গে মূল রাস্তায় অবৈধ পার্কিং রয়েছে। কোথাও কোথাও সিটি করপোরেশনই রাস্তায় পার্কিংয়ের অনুমতি দিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিউ মার্কেট, কারওয়ান বাজার, মহাখালী, এলিফ্যান্ট রোড, ধানমণ্ডি, গুলশান ও গুলিস্তানে সবচেয়ে বেশি অবৈধ পার্কিং করা হয়। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দাবি, সিটি করপোরেশন থেকে ইজারা নিয়ে তাঁরা পার্কিং ব্যবস্থা করেছেন। বেশির ভাগ বহুতল ও বড় ভবনেরই পার্কিং নেই। ফলে এখানে আসা গাড়িগুলোও থাকে রাস্তায়। গুলশান-১-এর প্রধান সড়কে অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে গুলশান-২ পর্যন্ত বিশাল যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে। এ দৃশ্য প্রতিদিনের। এমন পরিস্থিতি গুলশান-১ থেকে শ্যুটিং ক্লাব পর্যন্ত। আবার ধানমণ্ডিতে ব্যাপক যানজটের কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা ব্যক্তিগত গাড়ি। এসব গাড়ি যত্রতত্রভাবে রাস্তার পাশে পার্ক করা হয়। এ অঞ্চলের প্রতিটি রাস্তায় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভয়াবহ জ্যাম থাকে। তবে পুলিশ থাকে নির্বিকার। রাজধানীতে জ্যামের আরেকটি কারণ হিসেবে সিএনজি স্টেশনকে দায়ী করেছে ভুক্তভোগীরা। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নিতে আসা যানবাহনের দীর্ঘ লাইন বেশির ভাগ সময়ই রাস্তার ওপর এসে পড়ে। এমন চিত্র কমলাপুর রেলস্টেশন, বাড্ডা, মহাখালী, মিরপুর, তেজগাঁও, গাবতলী এলাকায় চোখে পড়ে। কখনো এ লাইন এক থেকে দুই কিলোমিটার এলাকা ছাড়িয়ে যায়। ফলে রাস্তা সরু হয়ে চলাচল উপযোগী অংশ কমে যায়; যদিও নিয়ম রয়েছে একটি সিএনজি স্টেশনের দুই কিলোমিটারের ভেতর আর কোনো সিএনজি স্টেশন দেওয়া যাবে না; কিন্তু রামপুরা থেকে উত্তর বাড্ডা পর্যন্ত অন্তত ১০টি সিএনজি স্টেশন মালিকরা এ আইন মানেননি। একই অবস্থা রাজধানীর শ্যামলী থেকে গাবতলী পর্যন্ত। রাজধানীর সার্বিক বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনা বিভাগ নামে একটি দপ্তর রয়েছে। কিন্তু গত এক যুগে নগরীর যানজট ও রাস্তাঘাট নিয়ে তারা কোনো পরিকল্পনা প্রণয়ন করেনি বলে জানা যায়। এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের কাজ। কিন্তু মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কাজ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), যে ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিনিধি থাকলেও তেমন ভূমিকা রাখা সম্ভব হয় না।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকার ৮ শতাংশ রাস্তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত ও ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে গণপরিবহন বাড়াতে হবে।’ বর্জ্য থাকে রাস্তায় : রাজধানীবাসীর পক্ষ থেকে রাস্তা দখল করে বর্জ্য রাখার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে বলে জানা যায়। এ বিপুল পরিমাণ বর্জ্য রাস্তায় থেকে যায়। বর্জ্য সরানোরা ক্ষেত্রে করপোরেশনের উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য নেই বলে অভিযোগ নগরবাসীর। তবে এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা বলেন, ‘দৈনিক ময়লা অপসারণের কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা পুরোপুরি সম্ভব হয় না। আমরা বিভিন্ন স্টেশন নির্মাণের মাধ্যমে রাস্তা থেকে ময়লা সরানোর চেষ্টা করছি।’ ভাগেই ভোগান্তি : অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) সর্বশেষ নির্বাচন হয় ২০০২ সালের এপ্রিলে। ২০০৭ সালের মে মাসে এর মেয়াদ শেষ হয়। তৎকালীন নির্বাচন কমিশনও দুই দফা ভোটের উদ্যোগ নিলে আইনি জটিলতায় তা আটকে যায়। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বরে ৫৬টি ওয়ার্ড নিয়ে দক্ষিণ ও ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে উত্তর নামে দুই ভাগ হয় ডিসিসি। পরের বছর নির্বাচন কমিশন দুই করপোরেশনের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করলেও আইনি জটিলতায় তা আবার স্থগিত হয়ে যায়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২০১২ সালের ২৪ মে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ২০১৩ সালের মে মাসে নির্বাচনের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে গেলে নতুন করে তফসিল ঘোষণার উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একটি নতুন ওয়ার্ড যুক্ত হওয়ায় সীমানা জটিলতায় নির্বাচন আবারও ঝুলে যায়। এর পর থেকে রাস্তা মেরামত ও আধুনিকায়ন, মশা নিধন, সড়কবাতি স্থাপনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ছন্দপতন ঘটেছে। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম এনামুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রাজধানীর রাস্তা কিছুটা খারাপ, তা সত্য। তবে মশক নিধন ও অন্যান্য কার্যক্রম চলছে যথানিয়মেই। রাস্তায় অবৈধ দখল ঠেকাতে আমাদের দুজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়মিত উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু একদিকে উচ্ছেদ হয়, অন্যদিক দিয়ে দখল করে। ফলে উচ্ছেদের সুফলটা পাওয়া যায় না। আমরা নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ পর্যাপ্ত বাজেটেও ফল নেই  :  সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার পর এ পর্যন্ত পৃথকভাবে তিনটি বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। দুই করপোরেশনের এ বাজেট আগের তুলনায় কম নয়। কিন্তু উন্নয়নকাজের বেলায় আগের চেয়ে পিছিয়ে বর্তমান উত্তর ও দক্ষিণ নামে ভাগ হওয়া দুই সিটি করপোরেশন। জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দুই হাজার ৪১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছে উত্তর সিটি করপোরেশন। সংস্থাটির প্রশাসক মো. ফারুক জলীল এ বাজেট ঘোষণা করেন। একইভাবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. ইব্রাহিম হোসেন খান এক হাজার ৫৬৫ দশমিক ৭৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। পর্যাপ্ত বাজেট থাকলেও সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নেই উদ্যোগ।

No comments:

Post a Comment