এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সেসের (আফাদ) পঞ্চম কংগ্রেস গত ২২-২৫ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১০টি দেশের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন। তারা দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং গুমমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বৃহস্পতিবার আফাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। গুমবিষয়ক জাতিসঙ্ঘ ওয়ার্কিং গ্রুপের
চেয়ার অ্যারিয়েল ডুলিৎস্কি ও গুমবিষয়ক জাতিসঙ্ঘ কমিটির চেয়ার ইমানুয়েল ডিকক্স ছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের কর্মকর্তারা আফাদের এই কংগ্রেসে সংহতি বার্তা পাঠিয়ে সংগঠনটির কার্যক্রমের প্রতি জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের এই সমর্থন গুমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফাদের তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের প্রতি একটি বড় স্বীকৃতি। গত ১৬ বছর ধরে আফাদ গুমের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে। সংগঠনটি গুমবিরোধী সনদের খসড়া নিয়ে আলোচনা ও খসড়া প্রণয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আফাদের চেষ্টার ফলেই থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া সরকার এই সনদে স্বাক্ষর করেছে। গুমকে একটি দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করে ফিলিপাইন সরকার ২০১২ সালে একটি আইন প্রণয়ন করেছে এবং থাইল্যান্ড ও নেপাল এ ধরনের আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এশিয়ায় মানবাধিকারের সার্বিক চিত্র এ ক্ষেত্রে আফাদের কাছ থেকে আরো বেশি সক্রিয় ভূমিকা আশা করেছে। কেননা আফগানিস্তান, চীন, বাংলাদেশ, ভারতের জম্মু ও কাশ্মির, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিরিয়া ও থাইল্যান্ডে গুম অব্যাহত রয়েছে। এসব দেশে বিরোধীদের দমনে কঠোর আইন করছে এবং নাগরিকদের বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিনাবিচারে গ্রেফতার ও জেলে আটক রাখার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। আফাদের পঞ্চম কংগ্রেসে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের কাছে বিভিন্ন ধরনের আহবান জানানো হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং সুশীলসমাজের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকাণ্ডের প্রতি বিধিনিষেধ তুলে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
No comments:
Post a Comment