Wednesday, October 15, 2014

৩শ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হাতছাড়া:যুগান্তর

জালিয়াতির মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানায় ছেড়ে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। কৌশল হিসেবে এ সম্পত্তির আগের বরাদ্দ বাতিল করে সেখানে তৈরি করা হয় নতুন চারটি প্লট। এরপর চার ব্যক্তির নামে দেয়া হয় প্লটগুলোর বরাদ্দ। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রাজউকের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি দমন ক
মিশনের (দুদক) অনুসন্ধান ঠেকাতে গায়েব করে দেয়া হয়েছে প্লটটির আগের বরাদ্দের নথিও। দুদকের অনুসন্ধানে যাতে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব না হয়- এমন লক্ষ্য থেকেই রাজউকের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা নথি গায়েব করেছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। দুদক ও যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে উল্লিখিত সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালের ২২ ফেব্র“য়ারি তৎকালীন ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) ঢাকার গুলশান মডেল টাউনের ৮৩ নম্বর রোডের ৬ নম্বর প্লটটি (৪৮.৬০ শতক) পিপলস জুট মিলের নামে লিজ বরাদ্দ দেয়। খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত এ মিলটির মালিক ছিলেন প্রিন্স করিম আগা খান। ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে (পিও নং-১৬/১৯৭২) অবাঙালি আগা খানের জুট মিল এবং প্রতিষ্ঠানের সমুদয় সম্পত্তি ‘পরিত্যক্ত’ ঘোষিত হয়। একই বছর পৃথক এক আদেশে (পিও নং-২৭/১৯৭২) অবাঙালিদের সম্পত্তির মধ্য থেকে কিছু মিল-কারখানা রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়। এর মধ্যে পিপলস জুট মিলও ছিল। নিয়মানুসারে পিপলস জুট মিলের সম্পত্তি গুলশান মডেল টাউনের ৬ নম্বর প্লটটিও রাষ্ট্রীয়করণ হয়। জুট মিলের পক্ষে ওই বাড়িতে বসবাসকারী আবদুল আজিজকে বাড়ি খালি করে দিতে তৎকালীন ‘মিনিস্ট্রি অব পাবলিক ওয়ার্কস অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট, ঢাকা থেকে নোটিশ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) অধীনে চলে যায় পিপলস জুট মিলস। মিলটির অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তির মতোই এ প্লটটি ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’র তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ‘রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য করতে বিজেএমসির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। পরে সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে খুলনা পিপলস জুট মিলের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়। মামলা চলাকালে ১৯৮৮ সালে প্লটটির ওপর ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে রাজউকের কাছে একটি নকশাও জমা দেয় পিপলস জুট মিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্লটটি ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ গণ্য করে নকশা অনুমোদন দেয়া হয়নি। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ১৯৮৫ সালের ২৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির আদেশে (৫৪ নম্বর আদেশের ৫ নম্বর ধারা) পরিত্যক্ত সম্পত্তির একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়। তাতে গুলশান মডেল টাউনের ৭৮টি বাড়িও স্থান পায়। গেজেটের ৯ নম্বর বাড়িটি ছিল এনইজি-৬ নম্বর প্লট। ১৯৮৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্বতন গেজেট বাতিল করে সংশোধিত গেজেট প্রকাশ করা হয়। তাতেও এ প্লটটিকে ‘পরিত্যক্ত সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এরপরও প্লটটিকে পরিত্যক্ত সম্পত্তির আওতামুক্ত করতে পূর্ত মন্ত্রণালয় এবং পরিত্যক্ত সম্পত্তি পরিচালনা বোর্ডের কাছে একাধিক আবেদন করে পিপলস জুট মিলস কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্লটটি গ্রাস করতে নানা ফন্দি আটতে থাকে রাজউকসংশ্লিষ্টরা। পরে সুপরিকল্পিতভাবে ১৯৯২ সালের ১৮ মার্চ রাজউক (স্মারক নং-রাজউক/এস্টেট/৫৮৮) ‘এম.এস. জুট মিলস, খালিশপুর, খুলনা’র ঠিকানায় লিজ বরাদ্দ বাতিলের চিঠি পাঠায়। রাজউকের এ চিঠিতে নির্ধারিত সময়ে ইমারত নির্মাণ না করার কারণে প্লট বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। অথচ তখন ‘এম.এস. জুট মিলস’ নামক কোনো জুট মিলের অস্তিত্বই বাংলাদেশে ছিল না, এখনও নেই। প্লটটি নতুন করে বরাদ্দ দিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পিপলস জুট মিলের পরিবর্তে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেন রাজউক কর্মকর্তারা। বরাদ্দ বাতিলের চিঠিতে চেপে যাওয়া হয় পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকাভুক্তির বিষয়টি। বিজেএমসির সাবেক চেয়ারম্যান মিত্র বাবু নেপথ্যে থেকে পিপলস জুট মিলের নামে ভুয়া দলিল সৃষ্টি করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি গ্রাস করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে। অথচ সরকারি গেজেট অনুযায়ী এই প্লটটি প্রথমে পরিত্যক্ত সম্পত্তি এবং পরে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে পিপলস জুট মিল বরাবরে প্লটটি বরাদ্দ দেয়ার আগে এটি জনৈক কমান্ডার জাহিদির নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। পরে জাহিদির বরাদ্দ বাতিল করে গুলশান মডেল টাউনের রোড-৮৩, এনইজি-৬ নম্বর প্লটটি পিপলস জুট মিলকে বরাদ্দ দেয় রাজউক। ভূমি অফিসের রেকর্ডপত্রে ধারাবাহিকভাবে জাহিদি ও পিপলস জুট মিলসের নাম রেকর্ডভুক্ত ছিল। সেই রেকর্ড খারিজ না করেই ১৯৯২ সালে তড়িঘড়ি করে চারজনের নামে নতুন করে বরাদ্দ দেয় রাজউক। পরে ভূমি অফিসের নথিও গায়েব করে দেয়া হয়। বর্তমানে প্লটগুলোর হোল্ডিং নম্বর-২৮, ২৮(এ), ২৮(বি), ২৮(সি) হিসেবে নামজারি রয়েছে। কোন বিধিবিধান বলে প্লট নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছিল কিনা- এসব বিষয়ে দুদককে কোনো তথ্য দেয়নি রাজউক। দুদক সূত্র জানায়, জালিয়াতির মাধ্যমে মূল্যবান এই রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি আত্মসাতের ঘটনা অনুসন্ধান করছে দুদক। তবে এ ব্যাপারে রাজউকসংশ্লিষ্টরা চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা করছেন না। অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় দুদকের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার নথিপত্র চেয়ে চাহিদাপত্র দিয়েছেন বেশ ক’বার। রাজউকের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। কেউ তাতে সাড়া দেননি। ১৯৯২ সালে রাজউকের এস্টেট শাখায় দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের স্থায়ী ও হাল-ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়েছে। রাজউক তাও সরবরাহ করেনি। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্লটগুলো নতুন করে বরাদ্দ দেয়ার সময় রাজউকের এস্টেট বিভাগে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ৩০০ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বেহাত হওয়ার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব। এতে বেরিয়ে আসবে জড়িতদের নাম। আর এ কারণেই তথ্য-উপাত্ত দিতে রাজউক টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেন দুদক কর্মকর্তা। দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমারত নির্মাণ না করার অজুহাতে আগের লিজ বরাদ্দ গ্রহণকারীর (পিপলস জুট মিলস) অজ্ঞাতে বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। অথচ পিপলস জুট মিলে সংরক্ষিত নথিপত্র অনুযায়ী, সে সময় প্লটটিতে একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি ছিল। সম্পূর্ণ জালিয়াতির মাধ্যমে এখানে প্লট সৃষ্টি করে বিপুল অর্থের বিনিময়ে নতুন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পূর্বতন বরাদ্দের রেকর্ডপত্র পেলে পুরো ঘটনা উদ্ঘাটন সম্ভব হতো বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান জিএম জয়নুল আবেদীন ভূঁইয়া সোমবার যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি মাত্র কয়েক মাস ধরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। প্লট বরাদ্দের সময় যারা দায়িত্বে ছিলেন, তারা এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন। তবে কোনো নথি হারিয়ে গেলে তা খুঁজে বের করতে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এটি প্রয়োগ করার পরই এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে। ৩০০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা অনুসন্ধান সম্পর্কে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি দমনের অংশ হিসেবে আমরা এ ব্যাপারে একটি অনুসন্ধান শুরু করেছি। রাজউকের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত না পাওয়া গেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুদকের অনুসন্ধানের সত্যতা মিলেছে যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যেও। এতে দেখা গেছে, পিপলস জুট মিলের নামে গুলশানের উল্লিখিত প্লটটির বরাদ্দ বাতিল করে নতুন চারটি প্লট তৈরি করা হয়েছে। অথচ রাজউকের রেকর্ডরুমে পিপলস জুট মিলের নামে দেয়া বরাদ্দের মূল নথিই নেই। মূল নথি ছাড়াই তৈরি হয়েছে নতুন বরাদ্দের চারটি নথি। এরমধ্যে আবার ২৮, ২৮(এ) ও ২৮(সি), প্লটের নথি পাওয়া গেছে। ২৮(বি) নম্বর প্লটের নথির খোঁজ নেই ১৭ বছর ধরে। চারটি প্লটের ওপরই ছয় তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এসব প্লটের নথি ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ৩১ মে আমির হোসেন দেওয়ানের নামে গুলশান-২ এর ৮৩ নম্বর রোডের ২৮ নম্বর প্লটটি বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই সময় এই ব্যক্তি মোজাম্বিকে ‘জাম্বিয়া কোল্ড স্টোরেজের ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৭৫ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার পরিশোধের পর রেমিটেন্স আর্নার কোটায় তাকে এই বরাদ্দ দেয় হয়। পরে তিনি স্ত্রী মনিরা দেওয়ানের নামে প্লটটির আম-মোক্তারনামা দেন। তার কাছ থেকে প্লটটি কিনে নেন প্রকৌশলী একেএম শহিউজ্জামান হারেছ ও কামরুন্নেসা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শহিউজ্জামান মঙ্গলবার রাতে টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি মনিরা দেওয়ানের কাছ থেকে প্লটটি আইনসম্মতভাবেই কিনেছি।’ মোশাররফ হোসেনের নামে ২৮(এ) নম্বর প্লটটি বরাদ্দ হয়েছে। নথিতে তার ঠিকানা দেয়া আছে ১৫/৯/ডি, মধুবাগ, মগবাজার। স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম খান্দারপাড়া, থানা মকসুদপুর, গোপালগঞ্জ। পেশায় আয়কর আইনজীবী । এককালীন ২২ লাখ টাকা পরিশোধ করে ১৯৯৩ সালের ৩০ মে তিনি বরাদ্দ পান। সরেজমিন দেখা যায়, এই প্লটে ছয় তলা ভবনটিতে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী সোহেল জানান, বাড়ির মালিক এখন নেই। তার কোনো ফোন নম্বরও তার কাছে নেই। বাড়িটি এখন আইএফআইসি ব্যাংকের কাছে বন্ধক রয়েছে। ১৯৯৩ সালে ২৮(বি) প্লটটি বরাদ্দ দেয়া হয় সিলেটের ব্যবসায়ী মো. জাকারিয়া চৌধুরীর নামে। তবে ১৯৯৭ সাল থেকে রাজউকের রেকর্ডরুমে এই বরাদ্দের নথিটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রেকর্ড কিপার আবদুস সাত্তার বলেন, ‘বহু খোঁজাখুুঁজি করেও নথিটির কোনো তথ্য আমরা দুদককে দিতে পারিনি।’ রেকর্ড শাখার তত্ত্বাবধায়ক রওশন আলী জানান, নথিটি রাজউকের একজন কর্মকর্তা নিয়ে গেছেন। একাধিকবার চাওয়ার পরও নথিটি ফেরত দেননি ওই কর্মকর্তা। প্লটের ভোগ-দখল ও নথির বিষয়ে জানতে চাইলে জাকারিয়া চৌধুরীর স্ত্রী ফাতেমা চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, আমরা রাজউকের সব শর্ত পূরণ করেই ১৯৯৩ সালে প্লট বরাদ্দ পেয়েছি। বরাদ্দের নথি আমাদের কাছে আছে। তবে রাজউকের মাস্টার ফাইল খুঁজে না পাওয়ার বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। এছাড়া ১৯৯৩ সালে ২৮(সি) নম্বরের প্লটটি বরাদ্দ দেয়া হয় মো. মশিউর রহমানের নামে। তিনি প্যারাগন প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক। এখন প্যারাগন গ্র“পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ব্যবসায়ী কোটায় পাওয়া প্লটটি তিনি ২০০৭ সালে কৃষি ব্যাংকের বনানী শাখায় বন্ধক রেখে ঋণ নেন। সেটি পরিশোধ করে ২০০৮ সালে আবারও বন্ধক রাখেন স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে। মশিউর রহমান দেশের বাইরে অবস্থান করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, প্লটগুলো বরাদ্দের সময় রাজউকের রেকর্ড ইনচার্জ ছিলেন ইউনুস আলী। তিনি মারা গেলে এই পদের দায়িত্ব পালন করেন মনিন্দ্র নাথ ও পরবর্তীতে আবদুস সাত্তার। বর্তমানে দায়িত্বে আছেন আবদুস সাত্তার। তিনি বলেন, বলেন, পিপলস জুট মিলকে গুলশানে প্লট বরাদ্দ প্রদান সংক্রান্ত কোনো নথি আমার রেকর্ডরুমে নেই। তবে নথি ‘হারানো’র কথা স্বীকার করে রাজউক পরিচালক (এস্টেট) নাজমুছ সাদাত সেলিম যুগান্তরকে বলেন, ‘নতুন করে বরাদ্দ দেয়া কিছু প্লটের মূল নথি মিসিং হয়েছে। আমি এসেছি কিছুদিন হলো। মহাখালী রাজউক অফিসে স্টোররুম ভেঙে ভবন ওঠানোর সময় কিছু নথি ড্যামেজ হয়েছে। তবে পুরনো নথি স্ক্যান করে সফট কপি হিসেবে সংরক্ষণ করতে আমরা একটি সিস্টেম ডেভেলপ করেছি।’  

No comments:

Post a Comment