Tuesday, October 14, 2014

জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ভোগান্তি শেষ হচ্ছে:নয়াদিগন্ত

জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নাগরিকদের ভোগান্তি খুব শিগগিরই শেষ হচ্ছে। আগামী মাস (নভেম্বর) থেকে দেশজুড়ে পুরোদমে শুরু হবে ছবি তুলে ভোটার হওয়া, আইডি কার্ড উত্তোলন ও বিতরণসহ সব কাজ। দূর-দূরান্ত থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আর ঢাকায় দৌড়াতে হবে না। নিজ নিজ এলাকা  থেকে ভোটাররা পাবেন জাতীয় পরিচয়পত্র। পরিচয়পত্র সংশোধন, সংযোজন ও স্থানান্তর সবই হবে সেখানে। দেশব্যাপী ৯৯ শতাংশ সার্ভার স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে।
এখন শুরু হচ্ছে কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে মাঠপর্যায়ে সংযোগ স্থাপনের কাজ।  জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল হাফিজ বলেন, এটা হবে যুগান্তকারী ঘটনা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আইডি কার্ডের ভুল সংশোধনের জন্য ঢাকায় আসেন। কেন্দ্রীয় সার্ভার স্টেশনের সাথে মাঠপর্যায়ের লিংকের কাজ শেষ হলে ভোটারদের আর কষ্ট করে এখানে আসতে হবে না। লিংক স্থাপনের দরপত্র সম্পন্ন, এখন কেন্দ্রের সাথে সংযোগ স্থাপনের কাজ শুরু হচ্ছে। জাতীয় ভোটার পরিচয়পত্র এনআইডি ও আইডেনটিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস (আইডিয়া) প্রকল্পের পরিচালক (অপারেশন) মহসীন আলী বলেন, প্রায় শতভাগ সার্ভার স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী মাসের (নভেম্বর) মধ্যে ভোটাররা নিজ নিজ উপজেলা থেকেই আইডি সংশোধন, পরিচয়পত্র সংগ্রহসহ আনুষঙ্গিক সেবা পাবেন। ইসির কর্মকর্তারা জানান, চারটি জোনে ভাগ করে সার্ভার স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, জেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসের আওতায় সার্ভার স্টেশন স্থাপন হয়েছে। সারা দেশে ১০টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে ৯টি জোনে সার্ভার স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। ইতোমধ্যে সাতটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দু’টির কাজ শেষপর্যায়ে। একইভাবে ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৩টিতে স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় ইসি। ৪৫টি স্টেশন স্থাপন হয়েছে। ছয়টির কাজ চলমান। সাতটি থানার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় দৃশ্যমান স্থানে জমি পাওয়া যায়নি। চারটির কাজ শেষ, দু’টি চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ৩৯৪ উপজেলার মধ্যে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা বাদে সবগুলোর কাজ শেষ হয়েছে। অনেক সার্ভার স্টেশন অফিসে কমিশনের অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানান। তবে ঢাকার টঙ্গীসহ কয়েকটি এলাকায় জমি পাচ্ছে না ইসি; এ কারণে সার্ভার স্টেশন স্থাপনের কাজ ঝুলে রয়েছে। জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচির কারিগরি সহায়তায় ‘কনস্ট্রাকশন অব সার্ভার স্টেশন ফর ইলেক্টোরাল ডাটাবেজ’ (সিএসএসইডি) নামে এ প্রকল্পের নেটওয়ার্ক অবকাঠামো স্থাপনের কাজ শুরু হয় ২০০৮  সালে। পরবর্তী সময় বিশ্বব্যাংক, জাতিসঙ্ঘ (ইউএন) এবং ডিএফআইডি এ কাজে সম্পৃক্ত হয়। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. শামসুল হুদার যৌথ প্রচেষ্টার ফল এ সার্ভার স্টেশন। ২০১২ সালে এ প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এর মেয়াদ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফায় সংশোধিত হিসেবে সার্ভার স্টেশনের সংখ্যা আরো কমিয়ে ৪৬৪টির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬২ কোটি ২০ লাখ টাকা। পরে এ সংখ্যা আরো কমিয়ে ১০টি আঞ্চলিক অফিসের বদলে ৯টি, জেলা ৫৩, উপজেলা ৩৯৩টি করা হয়।

No comments:

Post a Comment