Monday, October 27, 2014

আদালত থেকে সাতজনকেই অব্যাহতি:প্রথম অালো

পদ্মা সেতু দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামিকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জহুরুল হক এ আদেশ দেন।  মামলার সাত আসামিকে অব্যাহতি চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতার শুনানির দিন ধার্য ছিল গতকাল। শুনানি শেষে আদালত সাত আসামিকে অব্যাহতি এবং মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উ
পপরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এর আগে দুদক সবাইকে দায়মুক্তি দেয়। গতকাল অব্যাহতি পেয়েছেন সাবেক সেতুসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগে দরপত্র মূল্যায়নে গঠিত কমিটির সদস্যসচিব কাজী ফেরদাউস, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজ আহমেদ জাবের, কানাডার প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল ও আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ এবং তাঁদের স্থানীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড প্ল্যানিং কনসালট্যান্ট কোম্পানি লিমিটেডের উপমহাব্যবস্থাপক মো. মোস্তফা। এর আগে দুদক থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী। মামলার বিবরণ অনুযায়ী, কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনকে পদ্মা সেতুর পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দিতে ‘ঘুষ লেনদেন ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছিল দুদক। তবে তদন্ত সঠিক হয়নি বলে বিশ্বব্যাংক চিঠি দেওয়ার পর একপর্যায়ে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। এতে দুদকের তদন্তেও ভাটা পড়ে। এরপর দুদক তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণÿনা পাওয়ার কথা বলে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। অব্যাহতি দেওয়া হলেও কানাডার আদালতে একই বিষয় নিয়ে মামলা চলছে। সামগ্রিক বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গতকাল বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিতর্ক এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। এই বিতর্ক চলতে থাকবে এবং সেটার দায়ভার দুদকের ওপর থাকবে। কারণ দুদকই সিদ্ধান্তটা নিল। এ কারণেই বলছি যে দুদকের নিজস্ব অনুসন্ধান ও তদন্তের ওপর ভিত্তি করেই একপর্যায়ে মামলা হয়। আবার একই মামলায় দুদক যথার্থ বা যথাযথ তথ্য পায়নি বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কাজেই এ দুটি বিষয়ের মধ্যে যে তফাত বা ফারাক রয়ে গেল, সেটার পেছনে কী যুক্তি থাকতে পারে, সেটা পরিষ্কার নয়। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বা অন্য কোনো চাপ রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন ওঠাও স্বাভাবিক।

No comments:

Post a Comment