কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকায় গতকাল রোববার সকালে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন কুমিল্লা শহরের অশোকতলা এলাকার বাবলু ইসলামের ছেলে রাব্বী ইসলাম (২৫) এবং একই এলাকার প্রয়াত কালু মিয়ার ছেলে মো. জনি (২২)। পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তিরা শহরতলির দৌলতপুর এলাকার মোহাম্মদ সুমন ওরফে জিরা সুমন বাহিনীর সদস্য। গত বৃহস্পতিবার সুমন ও তাঁর সহযোগীরা কুমিল্লা জেলা গো
য়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ হোসেনের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে পিস্তল ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। ছিনতাই হওয়া সেই পিস্তলসহ গতকাল বন্দুকযুদ্ধের পর তিনটি পিস্তল ও সাতটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ঘটনাস্থলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেনি। নিহতরা মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। পুলিশ তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করে। জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী, গতকাল সকালে পুলিশ খবর পায়, জিরা সুমন বাহিনীর সদস্যরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে দুটি মোটরসাইকেলে করে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার দিকে যাচ্ছেন। পুলিশ পদুয়ার বাজার থেকে তাঁদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে আলেখারচর কোকাকোলা কারখানার সামনে পুলিশ তাঁদের আটকে ফেলে। তখন জিরা সুমন বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রাব্বী ইসলাম। গুরুতর আহত হন মো. জনি। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল চারটার দিকে তিনি মারা যান। ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, বন্দুকযুদ্ধের সময় ডিবির এসআই সহিদুল ইসলাম ও এএসআই নজরুল ইসলাম বাঁ হাতে গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফেনীর সদর উপজেলার উত্তর বিরিঞ্জি এলাকার শাহাদাত হোসেন ওরফে দুলালকে (২০) গ্রেপ্তার করে। কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, রাব্বী ডিবির পিস্তল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলার আসামি। রাব্বী ও জনির নামে ছিনতাই-চাঁদাবাজির অভিযোগে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে।
No comments:
Post a Comment