য় বাসিন্দারা। ফিলিং স্টেশন নির্মাণের সময় নিচু জমি ভরাট করার কারণে এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা গগন আলী বলেন, তুরাগ থানাধীন ধউর বেড়িবাঁধ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমির (পাউবো) ওপর হাসপাতালের খানিকটা এবং ফিলিং স্টেশন গড়ে তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পাউবো ও ঢাকা জেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় এর কোনো সুরাহা হয়নি। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজের সম্মুখভাগে অবস্থিত ২৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ জমি পাউবো থেকে একসনা লিজ নেওয়া হয় রাস্তা নির্মাণের জন্য। শর্ত দেওয়া হয়, রাস্তা নির্মাণের পর তাতে চলাফেরার জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না। এ শর্ত ভেঙে কর্তৃপক্ষ পুরো জমি কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যবহার শুরু করে। এ জন্য গত বছর তাদের লিজ বাতিল করা হয়। এ জমির পশ্চিম পাশে উপস্থিত বাউবোর আরো প্রায় ১৫ কাঠা জমির ওপর লিজ ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফিলিং স্টেশন গড়ে তোলে। দখলকৃত জমির বর্তমান বাজার দর প্রায় ৩০ কোটি টাকা। বিষয়টি নিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, লিজ নিয়ে কোনো অনিয়ম নেই বলে দাবি করা হয়। পাউবো ঢাকা মহানগরী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে অবৈধ দখলদারদের যে তালিকা করা হয়েছে তাতে ২৭ ও ২৮ নম্বরে ইস্ট ওয়েস্টের নাম রয়েছে। ২৭ নম্বরে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজের বাগান। ২৮ নম্বরে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ফিলিং স্টেশন। বেড়িবাঁধ থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তা নির্মাণের কথা বলে সেখানে পাউবোর বিপুল পরিমাণ জমি দখল করে বাগান তৈরি করা হয়েছে। এর পাশেই বিনা অনুমতিতে গড়ে তোলা হয়েছে ফিলিং স্টেশন। এর মধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসন অবৈধ ফিলিং স্টেশনটি উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়; কিন্তু রহস্যজনক কারণে শেষ পর্যন্ত তা নোটিশ চালাচালির মাধ্যমে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়, পাউবোর অসহযোগিতার কারণে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ঢাকার সাবেক জেলা প্রশাসক ইউসুফ হারুনের লেখা গত ২ ফেব্রুয়ারির এক চিঠি সূত্রে জানা যায়, প্রত্যাশী সংস্থা পাউবোর অসযোগিতার কারণেই অবৈধ ফিলিং স্টেশনটি উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়নি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ফিলিং স্টেশনটি ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মালিকানায় গড়ে তোলা হয়েছে। ফিলিং স্টেশনের সিংহভাগই ভেড়িবাঁধের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ওপর গড়ে ওঠেছে। যার জন্য ২০১২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলা প্রশাসক সাত দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ওই জমি সরকারকে বুঝিয়ে দিতে বলে। সাত দিন তো দূরের কথা নোটিশ জারির দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ফিলিং স্টেশনটি বহাল তবিয়তে সেখানে ব্যবসা করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০১২ সালের ১৫ অক্টোবর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন, ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ ম্যাজিস্ট্র্রেট মো. মাহাবুব জামিল এবং ২০১৩ সালের ২৬ জুন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামকে ইস্ট ওয়েস্ট ফিলিং স্টেশনের স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু নানা অজুহাতে তাঁরা উচ্ছেদ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। সর্বশেষ নিয়োগকৃত ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানান, প্রত্যাশী সংস্থা পাউবোর অসযোগিতার কারণে তিনি উচ্ছেদ কাজ চালাতে পারেননি। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, মূলত পাউবোর কিছু কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীর যোগসাজশেই বেড়িবাঁধসংলগ্ন শত শত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে গেছে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ পেয়ে বর্তমানে তাঁরা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। পাউবোর একটি সূত্র জানায়, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ফিলিং স্টেশনের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের ভায়রা রেজাউল করিম হলেন পাউবোর বোর্ড সদস্য। মূলত তাঁর প্রভাবেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। ফাইল ঠিকঠাক মতো চললেও বোর্ড সদস্যের কাছে গিয়ে সব কিছু আটকে যায়। তবে মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক মোস্তাক হোসেইন এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাউবো সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৫ মার্চ পাউবোর গোড়ানচটবাড়ী পানি উন্নয়ন উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার পাল সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনে অবৈধভাবে ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করার কথা উল্লেখ করে বলেন, 'রাতের আঁধারে দেয়াল নির্মাণ এবং পাউবোর জমি ভরাট করা হচ্ছে। দেয়াল ভেঙে যেকোনো সময় জানমালের ক্ষতি হতে পারে।' এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ২৯ জানুযায়ি ঢাকা পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তারিক এ আল-ফায়াজ ঢাকা জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি চিঠি লিখে সিএনজি ও পেট্রল পাম্পটি উচ্ছেদ করে তাদের অধিগ্রহণকৃত জমি উদ্ধারের অনুরোধ করেন। পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসন থেকে ওই অবৈধ পাম্প উচ্ছেদের জন্য তিনবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট নিয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রতিবারই পাউবো থেকে ওই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে অসযোগিতা করা হয়। তাই কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ধউরের একাধিক ব্যক্তি জানান, সেখানে জমি কিনে তাঁরা মহাবিপদে আছেন। ইস্ট ওয়েস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবৈধ দখলিকাণ্ডের কারণে একটু বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকা জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যায়। ২৫টি পরিবারকে সব সময় অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। তাদের ধারণা, অবরুদ্ধ করে রেখে বিপদে ফেলে তাদের বাড়ি-ঘর দখল করে নেওয়া হবে একদিন। ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বিদেশে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইস্ট ওয়েস্ট সিএনজি স্ট্রেশন ও পেট্রল পাম্পের ব্যবস্থাপক মহিদুল ইসলাম বলেন. 'জমিজমার মালিকানা বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সব কিছু চেয়ারম্যান স্যার জানেন।' ইস্ট ওয়েস্ট হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে পরিচালক মোস্তাক হোসেইন বলেন, বাগানের জমির লিজ বাতিল হলেও বর্তমানে নতুন করে লিজ নেওয়া হয়েছে। লিজের টাকা নির্ধারণপূর্বক ইস্ট ওয়েস্ট হাসপাতাল ও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়েছে। যেকোনো সময় পাউবোর সঙ্গে লিজের চুক্তিপত্র সম্পাদন করা হবে।' জমি লিজ নেওয়ার আগে ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করা কতটা আইনগত সে প্রশ্নের সুনির্দিস্ট কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি ।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Saturday, November 29, 2014
সরকারি জমিতে মেডিক্যাল কলেজ, ফিলিং স্টেশন!:কালের কন্ঠ
য় বাসিন্দারা। ফিলিং স্টেশন নির্মাণের সময় নিচু জমি ভরাট করার কারণে এলাকায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা গগন আলী বলেন, তুরাগ থানাধীন ধউর বেড়িবাঁধ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমির (পাউবো) ওপর হাসপাতালের খানিকটা এবং ফিলিং স্টেশন গড়ে তোলা হয়েছে। এ বিষয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, পাউবো ও ঢাকা জেলা প্রশাসন বরাবর আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় এর কোনো সুরাহা হয়নি। কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে জানা যায়, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজের সম্মুখভাগে অবস্থিত ২৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ জমি পাউবো থেকে একসনা লিজ নেওয়া হয় রাস্তা নির্মাণের জন্য। শর্ত দেওয়া হয়, রাস্তা নির্মাণের পর তাতে চলাফেরার জন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না। এ শর্ত ভেঙে কর্তৃপক্ষ পুরো জমি কলেজ ক্যাম্পাসে ব্যবহার শুরু করে। এ জন্য গত বছর তাদের লিজ বাতিল করা হয়। এ জমির পশ্চিম পাশে উপস্থিত বাউবোর আরো প্রায় ১৫ কাঠা জমির ওপর লিজ ছাড়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফিলিং স্টেশন গড়ে তোলে। দখলকৃত জমির বর্তমান বাজার দর প্রায় ৩০ কোটি টাকা। বিষয়টি নিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও ফিলিং স্টেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, লিজ নিয়ে কোনো অনিয়ম নেই বলে দাবি করা হয়। পাউবো ঢাকা মহানগরী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে অবৈধ দখলদারদের যে তালিকা করা হয়েছে তাতে ২৭ ও ২৮ নম্বরে ইস্ট ওয়েস্টের নাম রয়েছে। ২৭ নম্বরে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজের বাগান। ২৮ নম্বরে রয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ফিলিং স্টেশন। বেড়িবাঁধ থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তা নির্মাণের কথা বলে সেখানে পাউবোর বিপুল পরিমাণ জমি দখল করে বাগান তৈরি করা হয়েছে। এর পাশেই বিনা অনুমতিতে গড়ে তোলা হয়েছে ফিলিং স্টেশন। এর মধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসন অবৈধ ফিলিং স্টেশনটি উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়; কিন্তু রহস্যজনক কারণে শেষ পর্যন্ত তা নোটিশ চালাচালির মাধ্যমে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়, পাউবোর অসহযোগিতার কারণে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ঢাকার সাবেক জেলা প্রশাসক ইউসুফ হারুনের লেখা গত ২ ফেব্রুয়ারির এক চিঠি সূত্রে জানা যায়, প্রত্যাশী সংস্থা পাউবোর অসযোগিতার কারণেই অবৈধ ফিলিং স্টেশনটি উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়নি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ফিলিং স্টেশনটি ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মালিকানায় গড়ে তোলা হয়েছে। ফিলিং স্টেশনের সিংহভাগই ভেড়িবাঁধের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ওপর গড়ে ওঠেছে। যার জন্য ২০১২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা জেলা প্রশাসক সাত দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে ওই জমি সরকারকে বুঝিয়ে দিতে বলে। সাত দিন তো দূরের কথা নোটিশ জারির দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ফিলিং স্টেশনটি বহাল তবিয়তে সেখানে ব্যবসা করে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০১২ সালের ১৫ অক্টোবর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেলিম হোসেন, ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ ম্যাজিস্ট্র্রেট মো. মাহাবুব জামিল এবং ২০১৩ সালের ২৬ জুন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামকে ইস্ট ওয়েস্ট ফিলিং স্টেশনের স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু নানা অজুহাতে তাঁরা উচ্ছেদ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। সর্বশেষ নিয়োগকৃত ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানান, প্রত্যাশী সংস্থা পাউবোর অসযোগিতার কারণে তিনি উচ্ছেদ কাজ চালাতে পারেননি। স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, মূলত পাউবোর কিছু কর্মকর্তা ও প্রকৌশলীর যোগসাজশেই বেড়িবাঁধসংলগ্ন শত শত কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে গেছে। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ পেয়ে বর্তমানে তাঁরা নীরব ভূমিকা পালন করছেন। পাউবোর একটি সূত্র জানায়, ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ফিলিং স্টেশনের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেনের ভায়রা রেজাউল করিম হলেন পাউবোর বোর্ড সদস্য। মূলত তাঁর প্রভাবেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না। ফাইল ঠিকঠাক মতো চললেও বোর্ড সদস্যের কাছে গিয়ে সব কিছু আটকে যায়। তবে মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক মোস্তাক হোসেইন এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। পাউবো সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৫ মার্চ পাউবোর গোড়ানচটবাড়ী পানি উন্নয়ন উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রণজিত কুমার পাল সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদনে অবৈধভাবে ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করার কথা উল্লেখ করে বলেন, 'রাতের আঁধারে দেয়াল নির্মাণ এবং পাউবোর জমি ভরাট করা হচ্ছে। দেয়াল ভেঙে যেকোনো সময় জানমালের ক্ষতি হতে পারে।' এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ২৯ জানুযায়ি ঢাকা পওর বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তারিক এ আল-ফায়াজ ঢাকা জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি চিঠি লিখে সিএনজি ও পেট্রল পাম্পটি উচ্ছেদ করে তাদের অধিগ্রহণকৃত জমি উদ্ধারের অনুরোধ করেন। পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসন থেকে ওই অবৈধ পাম্প উচ্ছেদের জন্য তিনবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্রেট নিয়োগ করা হয়। কিন্তু প্রতিবারই পাউবো থেকে ওই উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর ক্ষেত্রে অসযোগিতা করা হয়। তাই কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ধউরের একাধিক ব্যক্তি জানান, সেখানে জমি কিনে তাঁরা মহাবিপদে আছেন। ইস্ট ওয়েস্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবৈধ দখলিকাণ্ডের কারণে একটু বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকা জলাবদ্ধতায় তলিয়ে যায়। ২৫টি পরিবারকে সব সময় অবরুদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। তাদের ধারণা, অবরুদ্ধ করে রেখে বিপদে ফেলে তাদের বাড়ি-ঘর দখল করে নেওয়া হবে একদিন। ইস্ট ওয়েস্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বিদেশে থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইস্ট ওয়েস্ট সিএনজি স্ট্রেশন ও পেট্রল পাম্পের ব্যবস্থাপক মহিদুল ইসলাম বলেন. 'জমিজমার মালিকানা বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সব কিছু চেয়ারম্যান স্যার জানেন।' ইস্ট ওয়েস্ট হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে পরিচালক মোস্তাক হোসেইন বলেন, বাগানের জমির লিজ বাতিল হলেও বর্তমানে নতুন করে লিজ নেওয়া হয়েছে। লিজের টাকা নির্ধারণপূর্বক ইস্ট ওয়েস্ট হাসপাতাল ও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হয়েছে। যেকোনো সময় পাউবোর সঙ্গে লিজের চুক্তিপত্র সম্পাদন করা হবে।' জমি লিজ নেওয়ার আগে ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করা কতটা আইনগত সে প্রশ্নের সুনির্দিস্ট কোনো জবাব দিতে পারেননি তিনি ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment