গত ১২ নভেম্বর নয়া দিগন্তে বনানীতে স্বাক্ষর জাল করে ১৯ তলা ভবনের নকশা অনুমোদন শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টের একাংশের প্রতিবাদ করেছেন, রাজউকের জোন-২-এর অথরাইজড অফিসার মো: মিজানুর রহমান। প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, উল্লেখিত রিপোর্টে জোন-৪ (গুলশান, বনানী, মহাখালী ও পূর্বাচল)-এর আওতাধীন এলাকার বনানীতে ৩৫ ও ৩৭ নম্বর প্লটের নকশা অনুমোদনের সময় দুইজন সদস্যের স্বাক্ষর আমি জাল করেছি বলে অসত্য তথ্য পরিবেশন করা হয়ে
ছে। মূলত রাজউকের কোনো ভবনের নকশা অনুমোদন করার জন্য প্রথমে সম্ভাব্য ভবনের একটি নকশাসহ জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট জোনের ডেস্কম্যানের কাছে জমা করতে হয়। এরপর এই ফাইলটি একটি সিরিয়াল নম্বরসহ কম্পিউটারে এন্ট্রি করা হয়। পরে সংশ্লিষ্ট জোনের অথরাইজড অফিসারের কাছে ফাইলটি উপস্থাপিত হয়। এ সময় তিনি তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সাইট ভিজিটের জন্য ইমারত পরিদর্শকের কাছে পাঠান। ইমারত পরিদর্শক প্রস্তাবিত ভবনের সাইট ভিজিটসহ সব কাগজপত্র নিরীক্ষা করে একটি মতামতসহ সংশ্লিষ্ট জোনের প্রধান ইমরাত পরিদর্শকের কাছে পাঠান। এরপর প্রধান ইমরাত পরিদর্শক সব কাগজপত্র ও মতামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সহকারী অথরাইজড অফিসারের কাছে উপস্থাপন করেন। তখন তিনি আবার আগের মতো একইভাবে পরীক্ষা করে ফাইলটি অর্থরাইজড অফিসারের কাছে উপস্থাপন করে। অথরাইজড অফিসার সব কিছু পর্যালোচনা করে কেবল সন্তুষ্ট হলেই ফাইলটিকে বিসি কমিটির মিটিংয়ে উপস্থাপন করেন। বিসি কমিটি মিটিংয়ে সংশ্লিষ্ট জোনের অথরাইজড অফিসারসহ একজন আর্কিটেক্ট, একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, একজন প্লানার ও একজন সদস্য (বিসি কমিটি চেয়ারম্যান) উপস্থিত থাকেন। মিটিংয়ে কোনো নকশা অনুমোদন হতে হলে কমপক্ষে চারজনের উপস্থিতি এবং স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয়। এই প্রক্রিয়ায় কোনো ফাইল অনুমোদন পেলে, তা আবার অথরাইজড অফিসারের কাছে আসে। এ সময় অথরাইজড অফিসার সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্রের স্বাক্ষর সঠিক স্থানে প্রধান করা হয়েছে কি না, তা আবার নিরীক্ষা করে এবং ফাইলটি ড্রাফট ও কম্পিউটার এন্ট্রি করা হয়। পরে অথরাইজড অফিসার অনুমোদিত নকশাটি ইস্যু করে আবেদনকারীর কাছে হস্তান্তর করেন। আর এভাবেই রাজউক থেকে একটি ভবনের নকশা অনুমোদন করা হয়ে থাকে। কিন্তু পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে যে ভবনটির নকশা অনুমোদনে আমাকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তার কোনো অংশেই আমার সম্পৃক্তা নেই। কেননা ভবনটি ৪ নম্বর জোনের অধীন, যার অথরাইজড অফিসার ছিলেন সুকুমল চাকমা, যাকে ইতোমধ্যে এই পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর আমার দায়িত্বাধীন হচ্ছে জোন-২। আমি মনে করি আমার দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র আমার সামাজিক মর্যাদা ও কর্মক্ষেত্রে সুনাম নষ্ট করার হীন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই প্রচারণা চালাচ্ছে। আমি পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আর আমার মোবাইল বন্ধ থাকার যে অভিযোগ করা হয়েছে, তাও সঠিক নয়।
No comments:
Post a Comment