শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, ইউপিএ আমলে আনা এই সীমান্ত বিলের বিরোধিতা করেছিল। কেন্দ্রে পালাবদলের পর তৃণমূল কংগ্রেসেরও মন বদলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই চুক্তিকে সমর্থন করেছেন। তবে তিনি পুনর্বাসনের ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর দাবি, যেসব ভারতীয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ছিটমহল থেকে ভারতের নাগরিকত্ব পেতে চলে আসবে, তাদের পুনর্বাসনে কোনো ত্রুটি রাখা চলবে না। এর যাবতীয় দায়-দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতে হবে। মমতা চেয়েছেন, সীমান্ত বিল সংসদে পাস হওয়ার আগেই এ বিষয়ে রাজ্যকে যেন নিশ্চিত করা হয়। সে জন্যই এই বৈঠকের আয়োজন। তিন বছর আগে ২০১১ সালে সীমান্ত চুক্তি সই হওয়ার সময় পর্যন্ত ছিটমহলে যে মাথা-গুনতি করা হয়েছিল, তাতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জন বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় ছিটমহল ত্যাগ করে ভারতে চলে আসার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তিন বছর পর সেই সংখ্যা সামান্য কমবেশি হতে পারে। বৈঠকে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের আশ্বাস দেওয়া হয়, ছিটমহলবাসীর নাগরিকত্ব দেওয়াসহ পুনর্বাসনে রাজ্য সরকারের কোনো সুপারিশ থাকলে কেন্দ্র তা-ও বিবেচনা করতে প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মেনেই গতকালের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। সে জন্য কলকাতা থেকে রাজ্যের মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের পরিচালক জিএমপি রেড্ডি বুধবার রাতে দিল্লি আসেন। গতকাল বিকেল পাঁচটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ বিভাগীয় কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মহাপরিচালক ডি কে পাঠক, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সচিব স্নেহলতা কুমার এবং কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধীন জমি অধিকর্তা বিভাগের সচিব। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বিভাগের যুগ্ম সচিব শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথনসহ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শুরুর আগে মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছিটমহল নিয়েই এ বৈঠক, শুধু এটুকু বলতে পারি। এর বাইরে এখনই কিছু বলার নেই।’ পুনর্বাসন নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ রয়েছে কি না, জানতে চাইলে তাঁর জবাব, ‘আর কিছু বলার নেই।’
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Friday, December 12, 2014
ছিটমহলবাসীর পুনর্বাসনের দায় সরকারের:প্রথম অালো
শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, ইউপিএ আমলে আনা এই সীমান্ত বিলের বিরোধিতা করেছিল। কেন্দ্রে পালাবদলের পর তৃণমূল কংগ্রেসেরও মন বদলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এই চুক্তিকে সমর্থন করেছেন। তবে তিনি পুনর্বাসনের ওপর জোর দিয়েছেন। তাঁর দাবি, যেসব ভারতীয় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় ছিটমহল থেকে ভারতের নাগরিকত্ব পেতে চলে আসবে, তাদের পুনর্বাসনে কোনো ত্রুটি রাখা চলবে না। এর যাবতীয় দায়-দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতে হবে। মমতা চেয়েছেন, সীমান্ত বিল সংসদে পাস হওয়ার আগেই এ বিষয়ে রাজ্যকে যেন নিশ্চিত করা হয়। সে জন্যই এই বৈঠকের আয়োজন। তিন বছর আগে ২০১১ সালে সীমান্ত চুক্তি সই হওয়ার সময় পর্যন্ত ছিটমহলে যে মাথা-গুনতি করা হয়েছিল, তাতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জন বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় ছিটমহল ত্যাগ করে ভারতে চলে আসার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তিন বছর পর সেই সংখ্যা সামান্য কমবেশি হতে পারে। বৈঠকে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের আশ্বাস দেওয়া হয়, ছিটমহলবাসীর নাগরিকত্ব দেওয়াসহ পুনর্বাসনে রাজ্য সরকারের কোনো সুপারিশ থাকলে কেন্দ্র তা-ও বিবেচনা করতে প্রস্তুত। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মেনেই গতকালের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। সে জন্য কলকাতা থেকে রাজ্যের মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্য পুলিশের পরিচালক জিএমপি রেড্ডি বুধবার রাতে দিল্লি আসেন। গতকাল বিকেল পাঁচটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রসচিব অনিল গোস্বামীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ বিভাগীয় কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর মহাপরিচালক ডি কে পাঠক, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা সচিব স্নেহলতা কুমার এবং কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের অধীন জমি অধিকর্তা বিভাগের সচিব। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ বিভাগের যুগ্ম সচিব শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথনসহ কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শুরুর আগে মুখ্য সচিব সঞ্জয় মিত্র প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছিটমহল নিয়েই এ বৈঠক, শুধু এটুকু বলতে পারি। এর বাইরে এখনই কিছু বলার নেই।’ পুনর্বাসন নিয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ রয়েছে কি না, জানতে চাইলে তাঁর জবাব, ‘আর কিছু বলার নেই।’
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment