Tuesday, December 16, 2014

সিডনিতে জিম্মি নাটকের অবসান:নয়াদিগন্ত

অবশেষে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির জিম্মি নাটকের অবসান হয়েছে। ভারী অস্ত্রসজ্জিত পুলিশ লিন্ডট চকলেট ক্যাফেতে অভিযান চালিয়ে জিম্মিদের উদ্ধার করেছে। বিবিবি, আলজাজিরা ও এএফপি।   পুলিশের অভিযানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের লিন্ডট চকলেট ক্যাফের ভেতর আটকে রাখা লোকদের মুক্ত করা হয়েছে। যে বন্দুকধারী লোকজনকে আটক করে রেখেছিল, তিনি ইরানি শরণার্থী, নাম হারুন মনিস। তবে তার পরিণতি তাৎণিক জানা যায়নি।   পুলিশের অভিযানে বেশ ক
য়েকজন আহত হয়েছে। চিকিৎসাকর্মীদের স্ট্রেচারে করে বেশ কয়েকজনকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।   সোমবার ভারী অস্ত্রসজ্জিত পুলিশ ক্যাফেতে ঢুকে পড়ে। এর আগে পুলিশ শব্দ বোমা নিপে করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।   সোমবার সকালে ওই বন্দুকধারী সিডনির ব্যস্ত এলাকার ওই ক্যাফেতে প্রবেশ করে কয়েকজনকে পণবন্দী করে। পুলিশ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনের চেষ্টা চালালেও তা সফল না হওয়ায় অভিযানে নামে।   বন্দুকধারী হারুন মনিস রাজনৈতিক আশ্রয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন। তিনি যৌন হামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়ান সৈনিক পরিবারের কাছে বিদ্বেষপূর্ণ চিঠিও লিখেছিলেন। তিনি জামিনে ছিলেন। তবে কেন তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।   অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনবসতিপূর্ণ নগরী সিডনির কেন্দ্রস্থলে একটি ক্যাফের ভেতরে একমাত্র বন্দুকধারী বেশকিছু লোককে পণবন্দী হিসেবে আটক করে। শত শত পুলিশ ক্যাফেটি ঘিরে রাখে। বন্দুকধারীর সাথে পুলিশের আলোচনা অব্যাহত রাখলেও পণবন্দী সঙ্কট দিন পার হয়ে রাত পর্যন্ত গড়ায়। আস্ট্রেলিয়ার টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, পণবন্দীরা হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছেন এবং তাদের কালো রঙের আরবিতে লেখা একটি পতাকা ধরে রাখতে বাধ্য করা হয়েছে। সশস্ত্র পুলিশের একটি দল ক্যাফেটি ঘিরে রাখে।   ক্যাফে থেকে পাঁচজন পালিয়ে যায়।    প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট হামলার ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ উল্লেখ করে বলেছেন, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। জানালার সামনে একটি কালো ইসলামি পতাকা প্রদর্শন করা হয়। ক্যাফেতে পণবন্দী সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ার ছয় ঘণ্টা পর তিনজনকে ভবন থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। এর এক ঘণ্টা পর আরো দুইজন তাদের অনুসরণ করেন।

No comments:

Post a Comment