দিত হয়েছে সেগুলো বিক্রি করতে না পারায় কারখানায় জমা হয়ে গেছে। এ জন্য উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানো হলেও সংশ্লিষ্ট সব ধরনের ব্যয় অব্যাহত রয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া ‘দশম ঢাকা আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক, প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং মেলা-২০১৫’ উপলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। বিপিজিএমইএ সভাকে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ ও সামিম আহমেদ, বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন ও গোলাম কিবরিয়াসহ পরিচালকবৃন্দ এবং মেলার যৌথ আয়োজক প্রতিষ্ঠান তাইয়ানের চান চাও কোম্পানির প্রতিনিধি জিনা চাও উপস্থিত ছিলেন। অবরোধে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা তি হচ্ছে জানিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে বিদেশীরা অর্ডার দিচ্ছে না। বায়াররা মনে করেন, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সময়মতো তাদের পণ্য সরবরাহ পারেন। সে কারণে তারা অন্য উপায় খুঁজছেন। আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। দেশের রাজনীতির এ অস্থির পরিস্থিতি আমরা দেখতে চাই না। এভাবে দেশ চলতে পারে না। একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সব দলকে অনুরোধ জানান তিনি। বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রানা প্লাজা ধস ও তাজরীন ফ্যাশনে আগুনের ঘটনায় বাংলাদেশের প্রতি বিদেশী ক্রেতাদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। তারা বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন। ফলে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। এ থেকে মুক্তির উপায় বের করতে হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার পরও সেখানে বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতের বাজার ভালো। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতের জন্য সম্ভাবনাময় বাজারও। তাই রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে এই বাজার ধরে রাখতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৭ থেকে ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত চলবে এ মেলা। এতে সাধারণ দর্শনার্থীদের কোনো প্রবেশমূল্য লাগবে না। মেলায় মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। মেলায় ৩৫০টির মতো স্টল থাকবে। আয়োজকেরা জানান, শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে মেলার প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশী এবং বিদেশী স্টলের সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। তবে মেলায় আমেজ, নতুন পণ্য এবং প্রযুক্তির সমাবেশ আগের মতোই থাকবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। অভ্যন্তরীণভাবে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে জানিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, এ সেক্টর সরকারের কোষাগারে প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব দিয়ে থাকে। প্লাস্টিকের তৈরি প্রচ্ছন্ন রফতানি পণ্যের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা এবং সরাসরি রফতানির পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার বেশি। বর্তমানে রফতানিতে দেশের প্লাস্টিক শিল্প খাতের অবস্থান ১২তম। দেশে ছোট বড় মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। এই খাতের ওপর ১২ লাখের বেশি মানুষ নির্ভরশীল। প্লাস্টিক পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশসহ সমগ্র ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন চীন, ভারত, নেপালসহ অন্যান্য বাজারে রফতানি হয়ে আসছে। প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ২০ শতাংশ হারে। প্রায় সব ধরনের বিশ্বমানের আধুনিক পণ্যসামগ্রী এখন বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে এবং রফতানির মাধ্যমে বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়ছে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, January 26, 2015
আন্তর্জাতিক প্লাস্টিকমেলা শুরু কাল:নয়াদিগন্ত
দিত হয়েছে সেগুলো বিক্রি করতে না পারায় কারখানায় জমা হয়ে গেছে। এ জন্য উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানো হলেও সংশ্লিষ্ট সব ধরনের ব্যয় অব্যাহত রয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ঢাকায় শুরু হতে যাওয়া ‘দশম ঢাকা আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক, প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং মেলা-২০১৫’ উপলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি। বিপিজিএমইএ সভাকে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ ও সামিম আহমেদ, বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন ও গোলাম কিবরিয়াসহ পরিচালকবৃন্দ এবং মেলার যৌথ আয়োজক প্রতিষ্ঠান তাইয়ানের চান চাও কোম্পানির প্রতিনিধি জিনা চাও উপস্থিত ছিলেন। অবরোধে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা তি হচ্ছে জানিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে বিদেশীরা অর্ডার দিচ্ছে না। বায়াররা মনে করেন, উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সময়মতো তাদের পণ্য সরবরাহ পারেন। সে কারণে তারা অন্য উপায় খুঁজছেন। আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। দেশের রাজনীতির এ অস্থির পরিস্থিতি আমরা দেখতে চাই না। এভাবে দেশ চলতে পারে না। একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সব দলকে অনুরোধ জানান তিনি। বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, রানা প্লাজা ধস ও তাজরীন ফ্যাশনে আগুনের ঘটনায় বাংলাদেশের প্রতি বিদেশী ক্রেতাদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। তারা বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে অন্য দেশে চলে যাচ্ছেন। ফলে আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। এ থেকে মুক্তির উপায় বের করতে হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার পরও সেখানে বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতের বাজার ভালো। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতের জন্য সম্ভাবনাময় বাজারও। তাই রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে এই বাজার ধরে রাখতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৭ থেকে ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত চলবে এ মেলা। এতে সাধারণ দর্শনার্থীদের কোনো প্রবেশমূল্য লাগবে না। মেলায় মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। মেলায় ৩৫০টির মতো স্টল থাকবে। আয়োজকেরা জানান, শেষ মুহূর্তে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে মেলার প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশী এবং বিদেশী স্টলের সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। তবে মেলায় আমেজ, নতুন পণ্য এবং প্রযুক্তির সমাবেশ আগের মতোই থাকবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়। অভ্যন্তরীণভাবে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে জানিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, এ সেক্টর সরকারের কোষাগারে প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের রাজস্ব দিয়ে থাকে। প্লাস্টিকের তৈরি প্রচ্ছন্ন রফতানি পণ্যের পরিমাণ প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা এবং সরাসরি রফতানির পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার বেশি। বর্তমানে রফতানিতে দেশের প্লাস্টিক শিল্প খাতের অবস্থান ১২তম। দেশে ছোট বড় মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। এই খাতের ওপর ১২ লাখের বেশি মানুষ নির্ভরশীল। প্লাস্টিক পণ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশসহ সমগ্র ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন চীন, ভারত, নেপালসহ অন্যান্য বাজারে রফতানি হয়ে আসছে। প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ২০ শতাংশ হারে। প্রায় সব ধরনের বিশ্বমানের আধুনিক পণ্যসামগ্রী এখন বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে এবং রফতানির মাধ্যমে বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়ছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment