ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। তথ্য সংগ্রহকারীরা অনেক বাড়িতেই যাননি। বাড়ি বাড়ি না গিয়েই পাড়া-মহল্লার প্রভাবশালী ও পরিচিতদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছেন কেউ কেউ। রাজধানীসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তথ্য সংগ্রহকারীদের দেখা পাননি ভোটার হতে ইচ্ছুক অসংখ্য মানুষ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের বিধান থাকলেও অনেক তথ্য সংগ্রহকারী এ বিধানের তোয়াক্কাই করেননি। এছাড়া ভোটার তালিকা হালন
াগাদ কার্যক্রম সম্পর্কে চালানো হয়নি পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণা। ফলে অনেকের অজান্তেই শেষ হয়েছে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম। এসব কারণেই নির্ধারিত সময়ে ভোটার হতে পারেননি অসংখ্য মানুষ। দেরিতে তথ্য পেয়ে কয়েক দিন ধরে নির্বাচন কমিশন (ইসি), জেলা, উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসগুলোতে ভোটার হতে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ মতে, বয়স বাড়িয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারদলীয় সমর্থকদের ভোটার বানানো হয়েছে। বিপরীতে প্রাপ্তবয়স্ক অনেকেই ভোটার হতে পারেননি। ফলে এ কাজে ব্যয় হওয়া ৫৬ কোটি টাকার বেশির ভাগই এক অর্থে জলে গেছে। এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও দায়িত্বহীনতার প্রবল অভিযোগ রয়েছে। ইসি ও এনআইডি সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হালনাগাদে ভোটার হতে না পারায় ৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৫ দিনে দেশের ৫০৮টি উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসে গিয়ে প্রায় ৫৮ হাজার মানুষ তালিকাভুক্তির আবেদন করেছেন। এদের অনেকেই তথ্য সংগ্রহকারীদের দেখা পাননি। তাদের বাসায় তথ্য সংগ্রহকারীরা যাননি বলে জানান তারা। নতুন ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয় গত ১৫ নভেম্বর। ২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হয় খসড়া ভোটার তালিকা। এ তালিকা সম্পর্কে দাবি-আপত্তি, অভিযোগ ও নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির জন্য ১৫ দিনের সুযোগ দিয়ে ৩ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়। ইসির কর্মকর্তারা জানান, চূড়ান্ত হিসাবে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদনের সংখ্যা আরও বাড়বে। শুধু ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন জমা পড়েছে দেড় হাজারের কাছাকাছি। সর্বোচ্চ আবেদন জমা পড়েছে ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় ২৪৮ জন, গুলশান থানায় ২২৬ জন ও ধানমণ্ডি থানায় দুই শতাধিক। ১৮ জানুয়ারি থেকে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি কার্যত বন্ধ রয়েছে। জানতে চাইলে এনআইডির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের (ন্যূনতম ১৮ বছর) ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য তথ্য সংগ্রহ, কারও তথ্যে ভুল থাকলে তা সংশোধন, ভোটার এলাকা স্থানান্তর ও মৃতদের নাম কর্তন- এ চার প্রকারের তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করেছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব দেয়া হয় সুপারভাইজারদের। কেউ যদি ওই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ভোটার তালিকায় সবাই অন্তর্ভুক্ত হোক। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কেউ বাদ পড়ে থাকলে আগামীতেও ভোটার হতে পারবেন। এনআইডির ডাটাবেজের তথ্য অনুযায়ী, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৫১৪টি নির্বাচন অফিসের মধ্যে ৫০৮টির তথ্য একীভূত করা হয়েছে। ওই তথ্য অনুযায়ী, খসড়া হালনাগাদ ভোটার তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জমা পড়েছে ৮৬ হাজার ২১২টি। এর মধ্যে নতুন ভোটার হতে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৯৫১ জন, ভোটার এলাকা স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছেন ১১ হাজার ৯১৮ জন, তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন ১৫ হাজার ৬৩২ জন এবং ৭১১ জন ভোটারের বিরুদ্ধে আপত্তি জমা পড়েছে। ২২ জানুয়ারির মধ্যে এসব দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি হয়ে ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে। গত বছরের ১৫ মে থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত তিন ধাপে সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫৬ কোটি টাকা। হালনাগাদের তালিকায় ৪৬ লাখ ৭২ হাজার ১৭৬ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও মারা যাওয়ায় ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯০১ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। স্থানান্তর হয়েছে ৪ লাখ ৮ হাজার ১৮৫ জন। তথ্য সংগ্রহকারীদের বাড়ি বাড়ি না যাওয়ার তথ্য মিলেছে খোদ নির্বাচন কমিশন, এনআইডি ও ঢাকা জেলা নির্বাচন অফিসে আসা মানুষের সঙ্গে আলাপ করে। সরেজমিন সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা নির্বাচন অফিস ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনে অবস্থিত এনআইডিতে গিয়ে দেখা গেছে, হালনাগাদে বাদপড়া অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে ধরনা দিচ্ছেন। হালনাগাদের সময় পার হওয়ার পর ভোটার হওয়ার জন্য আবেদনকারীরা শুনানিতে অংশ নিতে ভিড় করছেন ঢাকা আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিসে। সেখানে ১৯ জানুয়ারি কথা হয় নতুন ভোটার হতে আসা গুলশান-২ নম্বরের ৫৫ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা দেওয়ান সিহাবউর রহমান ও তার বাবা দেওয়ান নাসিমউর রহমানের সঙ্গে। ভোগান্তির কথা জানিয়ে নাসিমউর রহমান বলেন, আমার বাড়িতে কোনো তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। প্রচারণা কম হওয়ায় কবে ঢাকায় ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাও জানতে পারিনি। পরে অনেক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলাম গুলশান থানা নির্বাচন অফিস মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত। ছেলেকে ভোটার তালিকাভুক্ত করার ফরম পূরণ ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দিতে ওই নির্বাচন অফিসে ৩ বার যেতে হয়েছে। আজ শুনানিতে অংশ নেয়া ও ছবি তুলতে ঢাকা জেলা নির্বাচন অফিসে এসেছি। একই অভিযোগ করেন গুলশান-১ নম্বরের ২৪ নম্বর সড়কের ৩৯ নম্বর বাড়ির মালিক মো. সাদিউল মনিম খান বলেন, আমার বাসায় কোনো তথ্য সংগ্রহকারী যাননি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে নির্বাচন অফিসে ভোটার তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করেছি। একই ধরনের অভিযোগ করেছেন গুলশানের আরও কয়েকজন বাসিন্দা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে গুলশান থানা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু রেজা মো. দেলোয়ারুল হক বলেন, তথ্য সংগ্রহের সময় আমার কাছেও এ ধরনের অভিযোগ এসেছিল। যেখান থেকে অভিযোগ পেয়েছি সেখানে তথ্য সংগ্রহকারীদের পাঠিয়েছি। তারপরও কিছু মানুষ বাদ পড়তে পারেন। ইসি ও এনআইডির কর্মকর্তারা জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য সারা দেশে ৪৮ হাজার ৩০০ জন তথ্য সংগ্রহকারী নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের দায়িত্ব ছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটার তালিকাভুক্ত করা, বিদ্যমান জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে সংশোধন, মৃতদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়া এবং স্থানান্তরের তথ্য সংগ্রহ করা। আর তথ্য সংগ্রহকারীদের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন প্রায় ১০ হাজার সুপারভাইজার। একেকজনের তথ্য সংগ্রহ বাবদ তথ্য সংগ্রহকারীরা ২০ টাকা ও সুপারভাইজারদের ৪ টাকা হারে সম্মানী দেয়া হচ্ছে। অনেক এলাকায় তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়িতে না গিয়ে এক স্থানে বসেই ফরম পূরণ করার বিস্তর অভিযোগ কমিশনে আসছে বলে জানান তারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের ছাত্রী কাজী ফারজানা হক জানান, পূর্ব রামপুরার ৩৩৫/ঙ টিভি রোডে সপরিবারে থাকেন তিনি। ওই বাসায় কোনো তথ্য সংগ্রহকারী না যাওয়ায় তিনি নিজেই নির্বাচন অফিসে এসে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে আবেদন করেছেন। বনানীর এ-ব্লকের ২৩ নম্বর রোডের ৮৬ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা তাহমিদ খান নাফী অভিযোগ করে বলেন, বাসায় কোনো তথ্য সংগ্রহকারী যায়নি। পত্রিকায় ইসির বিজ্ঞাপন দেখে ভোটার হতে এসেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অনেক বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীরা না যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে অনেক বাড়িতে গিয়ে বাসিন্দাদের পাওয়া যায়নি। কোনো বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। ওইসব বাড়িতে তথ্য সংগ্রহকারীর নাম, নম্বর ও রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রের ঠিকানা সংবলিত লিফলেট রেখে আসার জন্য তথ্য সংগ্রহকারীদের নির্দেশ দেয়া ছিল। এছাড়া পত্রিকায় ও টেলিভিশনে প্রচারণা এবং স্থানীয়ভাবে মাইকিং করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে প্রচারণার জন্য সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ড, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে দুই দফায় ১১ হাজার টাকা হারে দেয়া হয়েছে। সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটে গত বছর শুরু হওয়া হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি অনেকে। বাসাবাড়িতে না গিয়ে ঘরে বসে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। প্রচার-প্রচারণা কম হওয়ায় ভোটার হালনাগাদ সম্পর্কে জানতে পারেননি বাদপড়া মানুষ। নগরীর বড়বাজারের সোহেল অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ বিষয়ে তার বাসায় কেউ যায়নি। সিলেট মহানগরী এলাকায় সোহেলের মতো হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ভোটার হতে পারেননি। হালানাগাদ ভোটার তালিকা প্রণয়নে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি ও প্রচারণার অভাবের বিষয়টি অস্বীকার করেন সিলেট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম। তিনি জানান, হালনাগাদের আগে পত্রপত্রিকায় ব্যাপকভাবে বিষয়টি প্রচার করা হয়েছে। যশোর ব্যুরো জানায়, তথ্য সংগ্রহকারী শিক্ষকদের বাড়ি বাড়ি না গিয়ে ঘরে বসে তথ্য সংগ্রহ করার অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে ভোটারদের তথ্যের গরমিল খসড়া তালিকায় উঠে এসেছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। শহরের ঘোপ এলাকার বাসিন্দা কলেজছাত্র সুজন মাহমুদ বলেন, খসড়া ভোটার তালিকায় আমার বেশ কয়েকজন বন্ধুর ভুল তথ্য এসেছে। অভিযোগের বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার তারেক আহম্মেদ জানান, তথ্য সংগ্রহকারী অনেক শিক্ষক বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেননি- এমন অভিযোগ আমি পেয়েছি। এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কমিটির সভায় একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। শরীয়তপুর প্রতিনিধি জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ না করা এবং পর্যাপ্ত প্রচার-প্রচারণার অভাবে নির্ধারিত সময়ে ভোটার হতে পারেননি জেলার অসংখ্য তরুণ-তরুণী। শরীয়তপুর সদর, গোসাইরহাট, ডামুড্যা, নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও জাজিরা উপজেলাসহ ৫টি পৌরসভার সহস্রাধিক মানুষ ভোটার হতে পারেননি। তাদের অভিযোগ, প্রচার-প্রচারণার অভাব ও বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহকারীরা না যাওয়ায় কখন কবে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু ও শেষ হয়েছে তা জানেন না। শরীয়তপুর পৌরসভা এলাকার দক্ষিণ বালুচরা গ্রামের মিন্টু ঘোষের স্ত্রী সোমা ঘোষ বলেন, আমরা জানি না কবে থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে বা কবে শেষ হবে। এ কারণে আমি ভোটার হতে পারিনি। পালং ইউনিয়নের পাটনীগাঁওয়ের মো. আবুল হোসেন সরদারের মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রী তানিয়া আক্তার (২০) বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ প্রচার না করায় আমি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারিনি। হবিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি না যাওয়া এবং প্রচারণার অভাবে ভোটার হতে পারেনি অসংখ্য মানুষ। এসব মানুষ জানেন না কোথায়, কার কাছে, কখন ভোটার তালিকাভুক্ত হতে আবেদন করতে হয়। কেউ যায়নি তাদের কাছে। শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকার গৃহিণী মাজেদা আক্তার শিমু জানান, বাসায় তথ্য সংগ্রহকারী না যাওয়ায় তিনি ভোটার হতে পারেননি। মাইকিং করতেও শোনেননি। শ্যামলী এলাকার শওকত আকবর সোহেল জানান, তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ভোটার হওয়ার সুযোগ পাননি। কখনও কেউ তাদের বাসায় যায়নি। কোথায় গিয়ে ভোটার হতে হবে, কবে শুরু হয়েছে, কখন শেষ হয়েছে তা জানি না। একই দাবি করেছেন সদর উপজেলার তিতোখাই গ্রামের গৃহিণী সৈয়দা ফাহমিদা জাহান নুছরাত, দক্ষিণ শ্যামলীর বিএ তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী উম্মে হাবিবা সুমি, নিউ মুসলিম কোয়ার্টারের শিক্ষক মোস্তফা কামালের মেয়ে অনার্সের ছাত্রী ফয়জুন্নাহার, গোসাইপুরের গৃহিণী মোসাম্মদ রাশিদা বেগম, বাণিজ্যিক এলাকার তুহিন চৌধুরী। আর সদর উপজেলার সুলতানশী যমুনাবাদ গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী মর্তুজ আলী জানান, তিনি ভোটার হতে পারেননি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার রাজু আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, মাইকিং করে প্রচারণা করা হয়েছে। তবে এ দায়িত্ব ছিল উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, আমরা ইউপি চেয়ারম্যানদের বলে দিয়েছি।
No comments:
Post a Comment