Sunday, January 18, 2015

মহানবী সা:কে নিয়ে কার্টুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভকালে নাইজারে নিহত ৪:নয়াদিগন্ত

  মহানবী সা:কে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র বা কার্টুন প্রকাশ করার প্রতিবাদে দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে বিক্ষোভকালে চারজন নিহত ও বহু আহত হয়েছে। পাকিস্তান, জর্দান, আলজেরিয়া সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। এসব দেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বহু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।   সাবেক ফরাসি উপনিবেশ নাইজারে বিক্ষোভকালে জনতা খ্রিষ্টানদের গির্জায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং খ্রিষ্টানদের দোকানপাটে হামলার ঘটনা ঘটে। মিলি শহ
রে বিক্ষোভকালে তিন বিক্ষোভকারী ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। নাইজারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাসুমি মাসাউদো বলেন, সংঘর্ষে অপর ২০ জন পুলিশ অফিসার ও ২৩ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন।  শুক্রবার শার্লি এবদু পত্রিকায় রাসূল সা:-এর অবমাননার প্রতিবাদে পাকিস্তানে বিক্ষোভকালে তিনজন আহত হয়। বিক্ষোভকারীরা এ সময় ফরাসি পতাকায় অগ্নিসংযোগ করেন। পাকিস্তানজুড়ে কালো দিবস পালন করা হয়।   শুক্রবার আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। তারা স্লোগান দেন, ‘আমি শার্লি নই, আমি মুহাম্মাদ’।   জর্দানের রাজধানী আম্মানে মুসলিম ব্রাদারহুডের দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। সুদানের রাজধানী খার্তুমে ফরাসি দূতাবাস বহিষ্কারের দাবিতে সমাবেশ করেছে শত শত লোক।   শুক্রবার পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পেশোয়ার আর্মি পাবলিক স্কুলে আক্রমণের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিবাদ সমাবেশ করে হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করা হয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে তালেবানের প্রতি সহানুভূতি দেখানো মোল্লাকে গ্রেফতার, ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণ এবং ধর্ম অবমাননা আইনের সমালোচনা করেছে তারা।   শার্লি এবদু প্রত্রিকার ধর্ম অবমাননার নিন্দা জানাতে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে ধর্মীয় ২০টি দলের জোট। এই সংবাদ পাকিস্তানের নিউজ চ্যানেলগুলোতেও বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। করাচিতে সমাবেশ করেছে নাগারিক সমাজ। প্রতিবাদকারীদের বেশির ভাগই ছিল বিনম্র, যাদের মধ্যে অনেক নারী ছিলেন।   আন্দোলনের সময় দণি বন্দরনগরীয় শহরটিতে জামায়াত-ই-ইসলামী দলের সদস্যরা ফরাসি কন্সুলেট অফিসে হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।   পাকিস্তানে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ও পানিকামান ব্যবহার করে। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সংবাদ সংস্থা এএফপির ফটোসাংবাদিক আসিফ হাসানের অবস্থা গুরুতর। তিনি বুকে মারাত্মক আঘাত পেয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা ফ্রান্সের পতাকা পোড়ান এবং ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক আইন প্রণয়নের দাবি জানান।   ইসলামবাদে বিক্ষোভরত সংগঠন জামায়াত-উদ-দাওয়ার একজন ঊর্ধ্বতন নেতা বলেন, ‘কেউ ধর্ম অবমাননাকারীদের হাত কিংবা মাথা কেটে ফেলতে পারলে আমরা তাকে পুরস্কৃত করব। আমরা সেই সব দেশের মতো নয়, যেখানে ধর্মগুরুদের অবমাননা সহ্য করা হয়।’ এ ছাড়া শুক্রবার পাকিস্তানি তালেবানদের একটি সংগঠন ফ্রান্সের হামলাকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে এবং শার্লি এবদুর কর্মকাণ্ডের যথাযথ নিন্দা না করার জন্য মুসলিম বিশ্বের শাসক ও মিডিয়ার সমালোচনা করে। এক বিবৃতিতে তারা জানান, ‘কিছু কিছু মিডিয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে মহানবী সা:কে সন্ত্রাসী হিসেবে উপস্থাপন করা।’      

No comments:

Post a Comment