অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও বিভিন্ন জেলায় হরতালের প্রভাবে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে প্রায় সব ভোগ্যপণ্য, কৃষিপণ্য ও নিত্যপণ্যের স্বাভাবিক সরবরাহ ব্যবস্থা। সারা দেশ থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গোটা রাজধানী। দেশজুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ, সহিংসতা ও চোরাগোপ্তা হামলা। এতে আতংকিত সারা দেশ ও সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে অচল হয়ে পড়েছে পরিবহন ব্যবস্থাও। আর এতেই কপাল পুড়েছে দে
শের লাখ লাখ কৃষকের। বাড়তি পকেট কাটা যাচ্ছে দেশের ভোক্তাসাধারণের। সেই সঙ্গে কোটি কোটি টাকার কৃষিপণ্যের আর্থিক মূল্যও হারাচ্ছে দেশ। যুগান্তরের হাতে আসা অবরোধের প্রভাবে সারা দেশের ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সরাসরি সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কৃষক। সময়মতো কৃষিপণ্যের চালান মোকামে, গুদামে কিংবা বাজারজাত করতে না পারায় সার্বিকভাবে তাদের কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে হয়েছে। কঠোর পরিশ্রমে ফলানো কৃষকের ফসল ক্ষেতে পচেই নষ্ট হচ্ছে। যেটুকুই বা বিক্রি হচ্ছে তার দামও মিলছে না। দাম না পাওয়ায় ও উৎপাদন খরচ উঠে না আসায় এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে দিনযাপন করছেন এসব কৃষক। পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ঢাকায় প্রতি কেজি মুলা যেখানে ১০ থেকে ১৮ টাকা কেজি, সেটি কৃষক বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ১ টাকায়। সরবরাহ করতে না পেরে এসব কাঁচাপণ্য পচে নষ্ট হচ্ছে। মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে। যশোরে পাইকারি বাজারে পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে এক টাকা পিস। বেগুন ১২-১৪ টাকা, শিম ৬-৭ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এরপরও ক্রেতার দেখা মিলছে না। পণ্য পরিবহনের অভাবে এসব দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। একইভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ কেজি বেগুনের দাম মাত্র ৩-৪ টাকা, ফুলকপির দাম ৩ টাকা, পাতাকপির দাম ২ টাকা, কাঁচামরিচের দাম কেজিপ্রতি ২০ টাকা, টমেটোর কেজি ১৫ টাকা, শিম ১০ টাকায়। বাজারজাতের অভাবে বিভিন্ন এলাকায় পানির দরে বিক্রি হচ্ছে দুধ। বগুড়ায় টানা অবরোধে হাট-বাজারে ক্রেতা নেই। ফলে ধানের দাম কমে যাচ্ছে। কাক্সিক্ষত মূল্য না পাওয়ায় লোকসান গুনছেন কৃষক। জয়পুরহাটে আলুর দাম অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন আলু চাষীরা। কৃষকের প্রতি মণ আলুর উৎপাদন খরচ ৪শ’ টাকা থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা হলেও বিক্রিতে দাম পাচ্ছেন মাত্র ২৫০ টাকা থেকে ২৭০ টাকা। নরসিংদীতে পাইকারশূন্য হয়ে পড়েছে সবজির হাটগুলো। একই সঙ্গে কমে গেছে বিদেশে সবজি রফতানি। এতে দাম ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সবজি চাষীরা। বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার যুগান্তরকে বলেন, সরবরাহ চেইনে ভয়াবহ বিপর্যয়ই এর অন্যতম কারণ। আগের তুলনায় কারওয়ানবাজার মুখী কাঁচামালের ট্রাক আসার সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যারা আসছে চরম ঝুঁকি নিয়ে আসছে। কিন্তু এসেও দাম নিতে পারছে না। কারণ ক্রেতার বড় অভাব। পাইকার নেই। পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না। অনেক মালের ভাড়া উঠানোই দায় হয়ে গেছে। বিশেষ করে মুলা, ফুলকপি ও সিমের বেপারীরা কাক্সিক্ষত দাম না পেয়ে বাধ্য হয়ে অনেক বেপারীই ট্রাক ফেলে পালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, ঢাকায় সবজি পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি থাকলেও তেমন বেঘাত ঘটাতে পারেনি। কারণ আশপাশের জেলাগুলো থেকে এখন অনেকটাই ঢাকার চাহিদা পূরণ হচ্ছে। ওদিকে অবরোধের প্রভাবে সড়কপথের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় শুধু নদীপথে কিছু পণ্য সরবরাহ হচ্ছে। সেটি খুবই নগন্য পরিমাণে। এতে ত্যাক্ত-বিরক্ত উৎপাদকরাও। তাদের সরবরাহ চেইনেও বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সিটি গ্র“পের সরবরাহ ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটির একজন উধ্বৃতন কর্মকর্তা জানান, আগে প্রতিদিন তাদের ২৯শ’ টন চিনি সরবরাহ হতো। এখন তা কমে ১২শ’ টনে, সয়াবিন ও পামঅয়েল মিলে প্রতিদিন ১২শ’ টন সরবরাহের বিপরীতে এখন হচ্ছে মাত্র ৩শ’ টন। টানা ১১ দিনের অবরোধও হরতালে এ পর্যন্ত ৭০ গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে সাড়ে তিনশ’র বেশি গাড়ি। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার প্রতিবেদন চিত্রেই বলা হয়েছে, গত এক সপ্তার ব্যবধানে ভোজ্যতেল, ডাল, মুরগি, গরুর মাংস, পেঁয়াজ ও রসুনের দাম বেড়েছে। এছাড়া বেড়েছে শিশুখাদ্যের দাম। তবে রাজধানীতে সবজির সরবরাহ আগের মতোই রয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও কৃষিপণ্যের খবর পাঠিয়েছেন যুগান্তরের ব্যুরো ও প্রতিনিধিরা- বগুড়া : একদিকে ধানের মূল্য কমে যাচ্ছে; অন্যদিকে জ্বালানী তেলের সংকট দেখা দেয়ায় ইরি চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন কৃষক। অধিকাংশ চালকল বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা কষ্টে আছেন। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে বগুড়ার ধান উদ্বৃত্ত নন্দীগ্রাম উপজেলার হাট-বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিআর-৩৪ চালের বাজার দর প্রতি মণ (৪০ কেজি) এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা। অবরোধের আগে ছিল এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া বিআর-৩২, ৪৯, ৩৯ ও বিনা-৭ চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে সাড়ে ৭৫০ টাকা মণ। কয়েকদিন আগে দাম ছিল ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। উপজেলার দলগাছা গ্রামের কৃষক আলী আজম জানান, এ ক’দিনে ধানের দাম পরে গেছে। ফড়িয়া (আড়ৎদার) বা মহাজনরা ধান কিনতে আসতে পারছে না। ফলে তাদের প্রতি মণ ধানে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। ডিজেল সংকটে জমিতে সেচ দেয়া যাচ্ছে না। তারা ক’জন জানান, অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার না হলে তাদের ধান বিক্রি হবে না। ফলে ধানের দাম আরও কমে যাবে। বগুড়া জেলা অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির সভাপতি আমিনুল হক জানান, মোটা ধান গুটিস্বর্ণা ও মামুন স্বর্ণার দাম প্রতি মণে ৫০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা কমে গেছে। অবরোধের আগে প্রতি মণ ৭৭৫ টাকা থাকলেও এখন ৭২৫ টাকা। জয়পুরহাট : সবজির প্রধান হাট আক্কেলপুর উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে কাঁচামালের ব্যবসায় ধস নেমেছে। পরিবহনের অভাবে দাম অর্ধেকেরও নিচে নেমে গেছে। বর্তমানে ১ মণ আলু দামে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ কেজি গরু কিংবা আধা কেজি ছাগলের মাংস। বর্তমানে প্রতি মণ আলু বিক্রি (পাইকারি) হচ্ছে জাত ও আকার ভেদে ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৭০ টাকায়। অপরদিকে বেশি দামের আলু বীজ কিনে উৎপাদন খরচ না ওঠায় মহাজন ও আলু বীজ ব্যবসায়ীদের সময়মতো দেনা পরিশোধ করতে না পারায় পাওনাদারের ভয়ে এখন নিজ বাড়ি ছেড়ে অনেক আলু চাষীকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। ১০ দিন আগে এ অঞ্চলে প্রতি মণ আলুর বাজার দর ছিল সাড়ে ৬শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা। প্রতিটি লাউয়ের দাম যেখানে ছিল ১৫ টাকা এখন তা কমে হয়েছে ৭ টাকা। বেগুন ছিল প্রতিমণ ৫শ টাকা, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায়,গাজর প্রতি কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকা। কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজি। আক্কেলপুর কলেজ বাজার বণিক সমিতির ক্রীড়া সম্পাদক মামুনুর রশিদ বলেন, যে দু’চারটি ট্রাক কাঁচা মালামাল নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছে, তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। নরসিংদী : বৃহস্পতিবার সরেজমিন শিবপুরের পালপাড়াসহ সবকটি সবজির হাটে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের গ্রাম থেকে সবজি চাষীরা ভ্যান ও রিকশায় ঝুড়ি ভর্তি করে বিভিন্ন প্রকার সবজি নিয়ে হাটে জড়ো হয়েছে। পাইকারি ক্রেতা ছিল খুব কম। শিবপুর উপজেলার ঘাশিরদিয়া গ্রামের সবজি চাষী শামসুদ্দিন বলেন, হরতাল-অবরোধের আগে প্রতি কেজি শিম বিক্রি করেছি ২০-২৫ টাকায় আর এখন হয়েছে ১৫ টাকা। যশোর : টানা অবরোধ ও হরতালে যশোরের সবজি জোনে নীরবতার সৃষ্টি হয়েছে। বারীনগর এলাকা ঘুরে কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষক যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি সবজি বাজারজাতকরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। বারীনগর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান বলেন, পাইকারি বাজারে বেগুন ১২-১৪ টাকা, শিম ৬-৭ টাকা বিক্রি হয়েছে। পাতাকপি এক টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। বারীনগর বাজারে ট্রাকচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, অবরোধকারীরা গাড়িতে ইট মারে, আগুন দেয়, ভাংচুর করে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছি। কিন্তু ভাড়া বেশি পাচ্ছি না। লোনের কিস্তি আছে, বাধ্য হয়ে গাড়ি চালাই। চাঁপাইনবাবগঞ্জ : কৃষিপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক কমে যাওয়া ও আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। অবরোধের আগে যেখানে ১ কেজি বেগুনের দাম ছিল ১৫ টাকা সেখানে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ টাকা, ফুলকপির দাম ছিল কেজিপ্রতি ১০ টাকা এখন ৩ টাকা, পাতাকপির দাম ছিল ৬ টাকা এখন ২ টাকা ,কাঁচামরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪০ টাকা এখন ২০ টাকা, টমেটো ছিল কেজিপ্রতি ৩০ টাকা এখন ১৫ টাকা, ৪০ টাকার শিম ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ভোজ্য ও জ্বালানি তেলের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। ৮৮ টাকা দরের সয়াবিন এখন গ্রামগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩২ টাকা দরে, ৬৬ টাকার পাম অয়েল ১০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে জেলার অটোরাইস মিলগুলোতে উৎপাদিত চাল বিক্রির জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাতে না পারায় মিলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় নবাব অটোরাইস মিলের মালিক আকবর হোসেন জানান, আমরা ব্যাংক ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করি। কিন্তু উৎপাদিত চাল বিক্রি করতে না পারায় একদিকে যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি তেমনি ঋণের সুদও গুনতে হচ্ছে আমাদের। কুমিল্লা : স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কুমিল্লার নিমসার কাঁচাবাজারের কেনাবেচা। নাশকতার আশংকায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বাজারে না আসায় সবজির পাইকারি মূল্য হ্রাস পাচ্ছে। শুক্রবার নিমসার বাজারে গিয়ে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অবরোধের কারণে এ বাজারে পাইকারি দরে প্রতি কেজি আলু ৭ টাকা, ফুলকপি ১ থেকে ২ টাকা, বাঁধাকপি ১ থেকে দেড় টাকা, টমেটো ১৫ থেকে ১৬ টাকা, শিম ৮ টাকা, বেগুন ৬ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৮ থেকে ৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও : এক সপ্তাহে ধানের দাম মণপ্রতি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে। ফলে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন মোকামে চাল পাঠাতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা জানান, ঠাকুরগাঁও বাজারে এক সপ্তাহ আগে ধানের বাজারমূল্য ছিল মণপ্রতি ৭০০ টাকা। অবরোধের কারণে সেই ধান এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৪০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা ধান কিনে মজুদ করলেও গত এক সপ্তাহ ধরে তা বগুড়া, ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানের মোকামগুলোতে তারা পাঠাতে পারছেন না। নতুন করে তারা ধান না কেনায় দাম পড়ে গেছে। সিরাজগঞ্জ : তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটির বিখ্যাত মাছের আড়ত স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে প্রতিদিন তাদের প্রায় ৫ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। প্রতিদিন এই মাছের আড়ত থেকে পাঙ্গাশ, রুই, কাতলা, সিলভার কার্প, বিগ্রেডসহ নানা প্রজাতির শত শত মণ মাছ বিক্রি হতো। অবরোধের কারণে এলাকার মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষীরা স্বল্প পরিমাণে মাছ ধরে স্থানীয়ভাবে চাহিদা মেটালেও ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে মাছ পৌঁছতে পারছে না। যদিও বা নিকটবর্তী শহরগুলো অল্প পরিমাণে মাছ নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে কিন্তু ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৩-৪ গুণ বেশি। একাধিক মৎস্য আড়তদাররা জানান, অবরোধের কারণে আড়তে প্রতিদিন তাদের প্রায় ৫ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment