Wednesday, January 21, 2015

এই প্রাণহরণের নাম রাজনীতি!:কালের কন্ঠ

হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি এখন মূলত মানুষ হত্যার কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক জোটের অবরোধ কর্মসূচি এখনো চলছে; চলছে সহিংসতা-নাশকতা-রক্তপাত। রাজনৈতিক দলগুলোর মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক তৎপরতা না থাকলেও অবরোধ এবং তা প্রতিহতের নামে পথে পথে চোরাগোপ্তা হামলা-পাল্টাহামলা, পেট্রলবোমা ছোড়াসহ সহিংসতা-নাশকতার বহুমুখী কায়দায় লাশ পড়ছে রাস্তায়। গাড়িতে চড়তে গিয়ে যাত্রীর, গাড়ি
চালাতে গিয়ে চালকের প্রাণ মুহূর্তে নিভে যাচ্ছে পেট্রলবোমায়। ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণ নিয়ে আবার ঘরে ফেরা দায় হয়ে উঠেছে। সচেতন মানুষের মনে তাই প্রশ্ন জেগেছে, এভাবে অবলীলায় মানুষের প্রাণহরণের নামই কি রাজনীতি? গত ৫ জানুয়ারি রাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫ দিনে সহিংসতা ও নাশকতায় প্রাণহানি ঘটেছে ২৮ ব্যক্তির। তাদের মধ্যে ১১ জন পরিবহন শ্রমিক, ছয়জন রাজনৈতিক কর্মী ও বাকিরা যাত্রীসহ সাধারণ মানুষ। চলমান অবরোধ জিইয়ে রাখতে প্রতিদিন আগুন লাগানো ও ভাঙচুর করা হচ্ছে গাড়িতে। কোটি টাকা দামের গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে, গত ২২ মাসের ব্যবধানে সাত দফা অবরোধ, হরতালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি চলাকালে সহিংসতায় দেশে ৩২৩ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ছাড়া অবরোধকালীন নাশকতায় পঙ্গু হয়ে কাতরাচ্ছে ১৩ হাজার ৩২৩ ব্যক্তি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩১ হাজার ১৬৯টি গাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মধ্যে ভাঙচুর চালিয়ে ক্ষতি করা হয়েছে ২৯ হাজার ৫৯৮টি আর আগুনে পুড়িয়ে অঙ্গার করা হয়েছে ৮৪৫টি গাড়ি। আগুন লাগানোয় আংশিক ক্ষতি হয়েছে এক হাজার ৭২৬টি গাড়ির। গত রবিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। দগ্ধ ১০ জনের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর লালমাটিয়ার সিটি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি হন শিশুসন্তানসহ ডাক্তার দম্পতি। সেখানে এখনো চিকিৎসা চলছে আড়াই বছরের শিশু সাফিন, তার মা ডা. শারমিন সিদ্দিকী ও বাবা ডা. সাইফুল ইসলামের। ছবি : লুৎফর রহমান বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হিসাবে, ১৯৯৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণহানি ঘটেছে দুই হাজার ২৩৪ জনের। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণহানি ও যানবাহনের ক্ষতিসংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আজ বুধবার প্রকাশ করবে। এ জন্য রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি মিলনায়তনে দুপুরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রাস্তায় নিরাপদে চলাচলের শতভাগ অধিকার রয়েছে সাধারণ মানুষের। আমাদের দেশে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি চলছে তাতে রাস্তা বন্ধ করে, গাড়ি পুড়িয়ে যাত্রী অধিকার হরণ করে রাজনীতি করা হচ্ছে। এটা বহু আগে থেকেই চলে আসছে। অবরোধ যদি প্রাণ হরণের অস্ত্র বা কৌশল হয় তাহলে এ সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে।’ তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের জানুয়ারির পর থেকে সহিংসতা তেমনটা ছিল না। ২০১৩ সালে সহিংসতা ছিল ভয়ানক। এবার অবশ্য ২০১৩ সালের মতো সব জেলায় বিস্তৃত হতে পারছে না সহিংসতা। আমরা ২০১৩ সাল থেকে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের ক্ষতি নিয়ে কাজ শুরু করতে গিয়ে দেখেছি, রাজনৈতিক আন্দোলনে নিরীহ যাত্রীদেরই বলি দেওয়া হয়েছে।’    মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওমর ফারুক সহিংসতার ধরন বিষয়ে কালের কণ্ঠকে বলেন, জনগণের প্রতি সহিংসতা ঘটছে বেশি। এটা ক্ষমতাকেন্দ্রিক সহিংসতা। অপকৌশল ও অপতৎপরতার মাধ্যমে জনগণকে দুর্দশায় ফেলে ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্য থেকেই এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এখানে সরকারও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে। রাজনীতি জনস্বার্থকেন্দ্রিক না হওয়ায় সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে। গত ২২ মাসে অবরোধ-হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলাকালে সহিংসতায় যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের প্রাণহানি ঘটেছে বেশি। তার মধ্যে রাস্তায় বের হয়ে গাড়িতে ওঠার পর পেট্রলবোমায় ঝলসে গেছে ২৩৯ নিরীহ যাত্রীর শরীর। জীবিকার প্রয়োজনে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার পর গাড়িতে নাশকতাকারীদের ছোড়া বোমা বা আগুনে পুড়ে মরতে হয়েছে ৮৪ জন পরিবহন শ্রমিককে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারির মধ্যে ছয় দফায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। চলতি বছর ৫ জানুয়ারি রাত থেকেই শুরু হয়েছে টানা অবরোধ। গতকাল পর্যন্ত ১৫ দিন পার হয়েছে অবরোধের। অবরোধে দেশের সড়ক পরিবহন খাত প্রায় অচল রয়েছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মুখ থুবড়ে পড়েছে। ভরা মৌসুমে বিদেশ থেকে পর্যটকরাও আসার সাহস পাচ্ছে না। অবরোধ বা হরতালে রাজনৈতিক সহিংসতায় ব্যাপক প্রাণহানির পাশাপাশি স্তব্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিপর্যস্ত হয় শিক্ষা ও চিকিৎসা খাত। ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয় অর্থনীতি। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর হিসাব মতে, হরতাল-অবরোধে অস্থির এ সময়ে দিনে ক্ষতি হচ্ছে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা। তবে ২০১৩ সালের অবরোধের চেয়ে এবারের অবরোধে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল করছে অপেক্ষাকৃত বেশি।  ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে বিএনপি-জামায়াত জোট হরতাল-অবরোধকেই প্রধান কর্মসূচি হিসেবে বেছে নিয়েছে বারবার। এর আগে ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি দুই দিন বাদ দিয়ে ১০ দিন অবরোধ পালন করে এই জোট। তারও আগে ২০১৩ সালে বিএনপি জোট ২৬ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ ধাপে ২৪ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। ওই সময়ে সহিংসতায় প্রাণ যায় ১২৭ ব্যক্তির। ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ২৬ থেকে ২৮ নভেম্বর, ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর, ৭ থেকে ১৩ ডিসেম্বর, ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর, ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দফা অবরোধ হয়েছিল। তার আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষণার পর থেকে শুরু হয়েছিল টানা সহিংসতার। ওই সময়ে ‘বাঁশের কেল্লা’ নামে ফেসবুকের একটি পেইজে প্রচারণা চালিয়ে রেলে নাশকতায় নেমেছিল জামায়াত-শিবির। ২০১৩ সাল থেকে চালানো সহিংসতায় রেলে ৪০০ হামলায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল। মহাসড়ক কেটে দেওয়া, গাছ কেটে নেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সড়ক খাতে ক্ষতি করা হয়। অবরোধ ছাড়াও ওই বছর থেকে বিভিন্ন সময়ে হরতাল ডাকা হয়েছিল। চলতি অবরোধে ২৮ প্রাণহানি : গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূতি পালনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে বছরের শুরু থেকে ঘোলাটে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ৫ জানুয়ারি রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করলে আবারও অচল হয়ে পড়ে গোটা  দেশ। ওই রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় গাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো নাশকতা। অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার রাত থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৫ দিনে নাশকতায় প্রাণহানি ঘটেছে যে ২৮ ব্যক্তির, এর মধ্যে ১১ জনই পরিবহন শ্রমিক। গত ১৪ জানুয়ারি রংপুরের মিঠাপুকুরে যাত্রীবাহী বাসে নাশকতায় প্রথমে পাঁচ ও গতকাল মঙ্গলবার একজনসহ মোট ছয়জনের প্রাণহানি ঘটে। রাজনীতির নামে এসব মানুষ মারা হয়েছে পেট্রলবোমা মেরে, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, চলমান অবরোধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাস, ট্রাক, সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের ৫৬৪টি যানবাহনে আগুন লাগানোয় আংশিক ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগিয়ে ৬৪টি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে পোড়ানো হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে তিন হাজার ২২৪টি গাড়ি। এবারের অবরোধে পর পর চার দফা নাশকতা চালানো হয়েছে রেলে। অবরোধ চলাকালে সহিংসতায় আহত হয়েছে ৫৫ হাজার ২০৭ জন। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আহতদের এই পরিসংখ্যান পায় যাত্রী অধিকার রক্ষায় কর্মরত এই সংস্থা।   ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পেট্রলবোমার আগুনে পুড়ে মারা গেছে ২২২ জন যাত্রী। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ ১৯৬ জন। একই সময়ে প্রাণ দিতে হয়েছে ৭৩ পরিবহন শ্রমিককে। তাদের বেশির ভাগই গাড়িচালক। ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে কাতরাতে কাতরাতে মরতে হয়েছে বেশির ভাগকে। জেলায় জেলায় দগ্ধদের অনেককে ঢাকায় আনার আগেই প্রাণ হারায়। আক্রোশ গাড়িতে : বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির তৈরি করা প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২২ মাসের বিভিন্ন সময়ে রাস্তায় ও সেতুতে সহিংসতা চালিয়ে ২৬ হাজার ৩৭৪টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এক হাজার ১৬২টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে আংশিক ক্ষতিসাধন করা হয়। এ ছাড়া ৭৮১টি গাড়ি সম্পূর্ণ পোড়ানো হয়। ৩০টি নাশকতার ক্ষেত্রে গাড়িসহ চালক ও চালকের সহকারীকে পুড়ে মরতে হয়েছে আগুনে।  প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে রেলে নাশকতা চালানো হয় ২১ দফায়। তিন দফা নাশকতার চেষ্টা করা হয় নৌপথে। একই সময়ের মধ্যে এসব নাশকতায় পঙ্গু হয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে ১৩ হাজার ২২৩ জন মানুষ। এবার ‘নরম’ অবরোধ : তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ২৪ দিন অবরোধ  ছিল। এর বাইরে হরতাল কর্মসূচিও ছিল। ওই সময় কমপক্ষে ১২৭ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের বেশির ভাগই ছিল পরিবহন শ্রমিক। ওই বছর ২৬ নভেম্বর শুরু হওয়া প্রথম দফা অবরোধের তৃতীয় দিন রাজধানীর শাহবাগে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা ছোড়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে। ১২ বছরের শিশুকেও প্রাণ দিতে হয়েছে গুলিবিদ্ধ হয়ে। ২০১৩ সালের বিএনপি জোটের অবরোধে এক দিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটে ৯টি। প্রথম দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন ২৭ নভেম্বর, দ্বিতীয় দফা অবরোধের চতুর্থ দিন ৩ ডিসেম্বর ও পঞ্চম দিন ৪ ডিসেম্বর ৯টি করে প্রাণ ঝরে গেছে সহিংসতার শিকার হয়ে। নৃশংস ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায়। তবে ২০১৩ সালের মধ্য ডিসেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান ও ১৯ ডিসেম্বর থেকে সেনা টহলের পর থেকে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে। কমতে থাকে অবরোধে সহিংসতার মাত্রা। এবার নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, গাইবান্ধা, চট্টগ্রামের মিরসরাই, লক্ষ্মীপুরে প্রাণহানি ঘটেছে। ২০১৩ সালে সাতক্ষীরায় যেমন বাইরে থেকে কেউ ঢুকতে পারেনি- এমন অবস্থা সেখানে নেই। গত ১২ জানুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে।

No comments:

Post a Comment