Friday, January 9, 2015

নাশকতার আগুনে পুড়ছে ৩২৭টি পরিবার:কালের কন্ঠ

মাজেদুর রহমান ছিলেন ট্রাকচালকের হেলপার। ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর চলছিল হরতাল। জীবিকার তাগিদে মাজেদুর চালকের অনুপ্রেরণায় বেরিয়েছিলেন ট্রাক নিয়ে। নওগাঁ থেকে কুমিল্লায় যাচ
্ছিলেন তাঁরা। সিরাজগঞ্জের গাড্ডার মোড় এলাকায় হরতাল সমর্থকরা তাঁদের ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যান মাজেদুর রহমান। এক বছর পর নওগাঁ সদর উপজেলার উল্লাসপুর গ্রামে মাজেদুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল এক করুণ চিত্র। পেটে টিউমারে আক্রান্ত মাজেদুরের বাবা ইসহাক মণ্ডল শয্যাশায়ী। চিকিৎসা করানো তো দূরের কথা, দু-বেলা দুমুঠো খাবার জোগানোর সামর্থ্যও তাঁর নেই। অভাবের কশাঘাতে জর্জরিত মাজেদুলের স্ত্রী আশরাফুন নেসা। জীবন বাঁচাতে একমাত্র সন্তান মাসুদ রানাকে (৬) নিয়ে কুমুড়িয়া গ্রামে ভাই আশরাফুলের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। ছেলেকে স্কুলে পাঠানোর খুব ইচ্ছে মায়ের। বাবা মাজেদুরও চাইতেন তাঁর ছেলে লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হবে। তবে সে স্বপ্ন আর জীবনে পূরণ হবে না বলেই মেনে নিয়েছেন মা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, 'মানুষটা পোড়া গেছে আর আমাগো সব পোড়া গেছে। এই বাচ্চাডারে নিয়া আমি কই দাঁড়াই?' মাজেদুরের ভগ্নিপতি সুরুজ-উজ-জামান বলেন, 'এত গরিব একটা মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো, অথচ তারা সহায়তা পায়নি। একটা মানুষের আয়ে পরিবারটা কোনোমতে চলত। এখন তারা বাঁচবে কিভাবে?' একই রকম সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে হরতাল-অবরোধের আগুনে প্রাণ হারানো শ্রমজীবীদের স্বজনরা। পরিবারের উপার্জনক্ষম বা সম্ভাবনাময় মানুষটিকে হারিয়ে শোকে আর কষ্টে দিনের পর দিন পার করছে তারা। আগুনে পুড়ে যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁরাও ডুবে আছেন নানা সংকটে। পরিবারের উপার্জনক্ষম মানুষটি এখন পরিবারের বোঝা। অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও নিতে পারছেন না অনেকে। এক বছর পর আবার অবরোধ-সহিংসতা শুরু হওয়ায় উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সবার মাঝে। ক্ষতিগ্রস্ত স্বজনরা বলছেন, তাঁদের এ অবস্থার জন্য তারাই দায়ী, যারা সহিংস রাজনীতির চর্চা করে। পরিবারগুলো এখন সহযোগিতার হাত চায়; পাশাপাশি এ ধরনের সহিংসতা বন্ধের আহ্বানও জানায়। বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভের সময় প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় দুই শতাধিক সাধারণ মানুষ। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের হরতাল-অবরোধের আগুনে দগ্ধ ৩২৭ জন সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সংকটাপন্ন অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছেন ১০৭ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ওই এক বছরে রাজধানীসহ সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছে তিন হাজার ৪০০ গাড়ি। এগুলোর মধ্যে আগুনে পোড়ানো হয়েছে প্রায় এক হাজার যানবাহন। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এলিনা খান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আন্দোলন-সংগ্রামের নামে মানুষের সাধারণ চলাচল বাধাগ্রস্ত করা, জীবন সংকটে ফেলে দেওয়া মানবাধিকারের পরিপন্থী। তার পরও জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। যারা সহিংসতায় নিহত বা আহত হয়েছে, তাদের ও পরিবারগুলোর দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে। সহিংসতায় একেকটি পরিবার মহাদুর্যোগে পড়ছে। তাদের পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।' পুড়ছে শাহীনের পরিবারও : নওগাঁর মহাদেবপুরের মকবুল শাহর ছেলে শাহীন ছিলেন নিহত ট্রাক হেলপার মাজেদুলের ট্রাকের চালক। ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর পেট্রলবোমার আগুনে দগ্ধ হওয়ার পর তাঁকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। সেখানে ২৪ ডিসেম্বর রাতে মারা যান শাহীন। তাঁর ছোট ভাই শাহাজাদা জানান, মৃত্যুর এক বছর আগে সেতু নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন শাহীন। তাঁর মৃত্যু পরিবারটিকে মহাবিপর্যয়ে ফেলেছে। ছয় মাস পর সামাজিক চাপে শাহীনের ছোট ভাই শাহীদ বাবুর সঙ্গে সেতুর বিয়ে দেন অভিভাবকরা। শাহিনের বাবাও ছিলেন ট্রাকচালক। সংসারের বড় ছেলের করুণ মৃত্যুর পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। একপর্যায় কাজ ছেড়ে দেন মকবুল শাহ। শাহীনের দুই ভাই শাহাজাদা ও বাবু তেমন কোনো পেশার সঙ্গে জড়িত নয় বলেও জানায় স্বজনরা। 'যুদ্ধ করেও পারছি না' : 'এক বছর ধইরা আমরা একটা যুদ্ধ করতাছি। ওরা আমার বাপেরে একা পোড়ায় নাই। পোড়াইছে পুরা সংসারটারে। যুদ্ধ কইরাও পারতাছি না। এই ঘাও কবে শুকাইব?' কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন স্বপন-উর-রহমান। তাঁর বাবা ফরিদ মিয়া ফল ব্যবসা করতেন। তাঁর আয়ে ভালোই চলছিল সংসার। অবরোধের আগুনে থামিয়ে দেয় এই সংসারের চাকা। গত বছর ৩ জানুয়ারি বিভিন্ন ধরনের ফল আনতে বাসে করে সদরঘাট যাচ্ছিলেন ফরিদ মিয়া। পরিবাগ এলাকায় যেতেই দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় জ্বলে ওঠে বাসটি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হেরে যান ফরিদ মিয়া। রাজধানীর বালুঘাট বাজারের ঢালে ১২০৬ নম্বর বাড়িতে থাকে নিহত ফল ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়ার পরিবার। সেখানে গিয়ে জানা গেল, ফরিদের স্ত্রী হালিমা বেগম স্বামীর শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের তিন ছেলের মধ্যে বড় স্বপন। মেজ ছেলে সুজন (১০) চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে ছোট ছেলে লিটন (৮)। স্বপন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আব্বা মারা যাওয়ার পর আমরা বিপদে পড়ে যাই। দুই ভাইয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। লিফটম্যানের চাকরি করে কোনো মতে সংসারটা চালাচ্ছি।' স্বপন যোগ করেন, 'এটা চুক্তির চাকরি। যেকোনো সময় চলে যেতে পারে। তখন না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।' 'আমার সংসারটা শেষ' : শাহীনা আক্তার ছিলেন বীমা কর্মকর্তা। খুলনার তুতপাড়ার বাসা থেকে ঢাকায় এসেছিলেন পেশাগত কাজে। তাঁর অসুস্থ স্বামী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ কারণে হরতালের মধ্যেই ফিরছিলেন তিনি। গেল বছরের ৩ জানুয়ারি পরিবাগে বাসে আগুনে তিনিও প্রাণ হারালেন। শাহীনার স্বামী ফকরুজ্জামান বলেন, তিনি খুলনার সাংবাদিক। স্ত্রী আর ফকরুজ্জামানের যৌথ আয়েই চলছিল সংসার। তাঁদের একমাত্র সন্তান আসিফুজ্জামান মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ছেন। মায়ের মৃত্যুর পর লেখাপড়াও সংকটে পড়েছে। তিনি এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। ফকরুজ্জামান বলেন, 'হরতালের আগুন আমার সংসারটা শেষ করে দিয়েছে। জীবনটাকে তছনছ করে দিয়েছে। ছেলেটার চিকিৎসার জন্য এখন ঢাকায় আছি। ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো সহায়তা পাইনি।' 'আমি কী নিয়ে বাঁচি?' : '১৫ বছর সংসার করেছিলাম আমরা। একটা সন্তানও নেই আমাদের। মানুষটাকে এইভাবে পুড়িয়ে মারল...! এখন আমি কী নিয়ে বাঁচি?'- কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন সঞ্জু রানী পাল। তাঁর স্বামী মন্টু চন্দ্র পাল ছিলেন রাজধানীর তাঁতীবাজারের সোনার দোকানের কারিগর। ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর রাতে পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে চলন্ত লেগুনায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ হন তিনি। পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হেরে যান মন্টু। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কালামপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। মণ্টুর বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুরে। তাঁর মৃত্যুর পর স্ত্রী সঞ্জু পাল বাবা পরেশ পালের কাছে আছেন। পরেশ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তাদের ১৫ বছরের সংসার ছিল। চার বছর আগে তাদের একটি সন্তান হলেও তিন দিনের মাথায় মারা যায়। আমার জামাই অনেক পরিশ্রম করে সংসার চালাত। তার মৃত্যুর পর থেকে মেয়েটি পাগলপ্রায়। ও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।' 'কী হবে তানিয়া ও আসিফের?' : আসাদুজ্জামান গাজী ছিলেন সিএনজি অটোরিকশাচালক। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বুড়িভাসা গ্রামের মৃত সেকান্দার গাজীর ছেলে আসাদ ঢাকার যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগে বাড়া বাসায় থাকতেন। স্ত্রী মদিনা বেগম এবং দুই শিশু সন্তান তানিয়া ও আসিফকে নিয়ে চলছিল তাঁর সুখের সংসার। হরতালের আগুন ছারখার করে দেয় সব। ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর রাতে সাভার ক্যান্টনমেন্টের মুন্সী আবদুর রউফ গেটের সামনে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আসাদের অটোরিকশায়। এতে দগ্ধ হয়ে ১২ দিন যন্ত্রণায় ভুগে মারা যান তিনি। যোগাযোগ করা হলে আসাদের ভাই ফোরকান গাজী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পেটের তাগিদে অটোরিকশা চালাত আমার ভাই। গরিব মানুষ। একদিন কাজ না করলে সংসার চলে না। তাই হরতালেও সিএনজি নিয়ে বের হয়েছিল। এখন তার পরিবারটাই মইরা বাঁইচা আছে।' ফোরকান গাজী জানান, সন্তানদের লেখাপড়ার আর সংসারের খরচের অভাবে আসাদের স্ত্রী গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। সেখানে তানিয়া ও আসিফের লেখাপড়া এখন অনিশ্চয়তায়। 'বাঁচার জন্য ঢাকায় আইছিল' : নাসিমা বেগম ছিলেন গার্মেন্টকর্মী। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বড় বোন রহিমা বেগমের সঙ্গে থাকতেন তিনি। ২০১৩ সালের ২৬ অক্টোবর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে মিনিবাসে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতাল সমর্থকরা। এতে নাসিমা দগ্ধ হয়ে ১৯ দিন পর মারা যান। বড় বোন রহিমা কালের কণ্ঠকে জানান, তিনিও গার্মেন্টকর্মী। বরিশালের বাবুগঞ্জে তাঁদের বাড়ি। নাসিমাকে ফেলে তাঁর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে। এরপর জীবনসংগ্রাম চালাতে ঢাকায় বোনের কাছে এসে চাকরি নেন তিনি। রহিমা কেঁদে বলেন, 'এই হরতাল মানুষরে বাঁচতে দেয় না। আমার বোনটা বাঁচার জন্য ঢাকায় আইছিল। হরতাল ওরে বাঁচতে দিল না।' চিকিৎসায় ফুরাচ্ছে সহায়-সম্বল : ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হন বাসের হেলপার বিল্টু শেখ। এক বছর ধরে চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ হননি তিনি। তাঁর স্ত্রী হাসিনা ছেলে আবু তালেব (৩) ও মেয়ে বিথীকে (৭) নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। মানিকগঞ্জের শিবালয়ের ওতলী গ্রামের আব্দুর রহমান শেখের ছেলে বিল্টুর পরিবার তাঁর চিকিৎসার খরচ চালিয়ে পড়েছে অনটনে। যোগাযোগ করা হলে বিল্টুর ভগ্নিপতি ফারুক ভুঁইয়া বলেন, 'পরিবারটির একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তির এই অবস্থায় তাদের কিভাবে চলে, বলেন?' ২০১৩ সালের ১২ নভেম্বর বাসযোগে ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে রায়েরবাগ এলাকায় পেট্রলবোমার শিকার হন রাজমিস্ত্রি আবুল কালাম। তিনিও এখন কাজ করতে পারেন না আগের মতো। আবুল কালাম কালের কণ্ঠকে বলেন, বার্ন ইউনিটে ভর্তি থাকার সময় প্রধানমন্ত্রী দেখতে গিয়েছিলেন তাঁদের। ওই সময় আবুল কালাম দাবি করেছিলেন সংসার চালানোর জন্য তাঁর বড় মেয়ের একটি সরকারি চাকরির জন্য। কিন্তু সেই চাকরি মেলেনি আজও। রাহাজুল ইসলাম ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্র। পাবনার সফুনিয়া এলাকার এ তরুণ গুলিস্তানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার পাশাপাশি অনেক কষ্টে লেখাপড়া করছেন। ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর শাহবাগে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দগ্ধ হন তিনি। পুড়ে যায় শরীরের ২৮ শতাংশ। এরপর হাসপাতাল ও বাসায় থেকে প্রায় সাত মাস চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। রাহাজুল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এই দুর্ঘটনা আমার তিনটি সেমিস্টার নষ্ট করে দিয়েছে। আমার বাবা একজন শ্রমজীবী। তিন ভাইয়ের মধ্যে আমিই বড়। অনেক কষ্টে লেখাপড়া করছি। এখন আমার চিকিৎসা করেই পরিবার পথে বসতে বসেছে।' দগ্ধ ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যাঁরা সহিংসতায় আহত হয়েছিলেন তাঁদের চিকিৎসা বিনা পয়সায়ই করা হয়। তাঁদের প্রায় সবাই এখন সুস্থ। তাঁদের মধ্যে চার-পাঁচজন সামান্য সমস্যা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসেন।' (প্রতিবেদনটির জন্য কিছু তথ্য দিয়েছেন কালের কণ্ঠের নাঁওগা প্রতিনিধি ফরিদুল করিম)    

No comments:

Post a Comment