ঞাতনামা আসামি করা হয় আট হাজার ২৩১ জনকে। আসামিদের মধ্যে আছেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হোসেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মোমিনুল হক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেন প্রমুখ। এঁদের প্রায় সবার নামেই একাধিক মামলা রয়েছে। মোমিনুল হকের নামে রয়েছে ১৩টি মামলা। এ ছাড়া সদর উপজেলা জামায়াতের আমির এ বি এম আজিজুর রহমানসহ জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতা-কর্মীকে এসব মামলার আসামি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগপত্র না দেওয়া পাঁচটি মামলার মধ্যে লালমনিরহাট সদর থানার দুটি ও পাটগ্রাম থানার তিনটি মামলা রয়েছে। পুলিশ, আদালত ও রাজনৈতিক দলগুলো সূত্রে জানা যায়, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ৫৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে লালমনিরহাট সদর থানায় ২২টি, আদিতমারীতে আটটি, কালীগঞ্জে একটি, হাতীবান্ধায় তিনটি এবং পাটগ্রামে ১৯টি। আর নির্বাচনের পর সদর থানায় ছয়টি এবং পাটগ্রাম থানায় আটটি মামলা হয়। লালমনিরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনছুর আলী জানান, ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বুড়িরবাজার এলাকায় পুলিশকে মারধরের অভিযোগ এবং ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন একই ইউনিয়নের নিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট বাক্স ছিনতাইসহ পুলিশকে মারধরের ঘটনায় করা দুটি মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারির আগেই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। লালমনিরহাট পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম জেলায় মোট ৬৭টি মামলার মধ্যে ৬২ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অন্য পাঁচটির অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, একতরফা নির্বাচন বন্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করার সময় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী আহত হন। অনেক নেতা-কর্মীকে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি- জামায়াতের সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়সহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী ও সমর্থকের বাড়িতে হামলা করেছে, যানবাহন পুড়িয়ে দিয়েছে। সংগত কারণেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আশা করি সাজাও হবে।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Saturday, January 3, 2015
লালমনিরহাটে ৬৭ মামলার ৬২টিতে অভিযোগপত্র:প্রথম অালো
ঞাতনামা আসামি করা হয় আট হাজার ২৩১ জনকে। আসামিদের মধ্যে আছেন জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জাহিদ হোসেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মোমিনুল হক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি আফজাল হোসেন প্রমুখ। এঁদের প্রায় সবার নামেই একাধিক মামলা রয়েছে। মোমিনুল হকের নামে রয়েছে ১৩টি মামলা। এ ছাড়া সদর উপজেলা জামায়াতের আমির এ বি এম আজিজুর রহমানসহ জামায়াত-শিবিরের অনেক নেতা-কর্মীকে এসব মামলার আসামি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, অভিযোগপত্র না দেওয়া পাঁচটি মামলার মধ্যে লালমনিরহাট সদর থানার দুটি ও পাটগ্রাম থানার তিনটি মামলা রয়েছে। পুলিশ, আদালত ও রাজনৈতিক দলগুলো সূত্রে জানা যায়, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ৫৩টি মামলা হয়। এর মধ্যে লালমনিরহাট সদর থানায় ২২টি, আদিতমারীতে আটটি, কালীগঞ্জে একটি, হাতীবান্ধায় তিনটি এবং পাটগ্রামে ১৯টি। আর নির্বাচনের পর সদর থানায় ছয়টি এবং পাটগ্রাম থানায় আটটি মামলা হয়। লালমনিরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনছুর আলী জানান, ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বুড়িরবাজার এলাকায় পুলিশকে মারধরের অভিযোগ এবং ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন একই ইউনিয়নের নিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট বাক্স ছিনতাইসহ পুলিশকে মারধরের ঘটনায় করা দুটি মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারির আগেই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। লালমনিরহাট পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম জেলায় মোট ৬৭টি মামলার মধ্যে ৬২ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অন্য পাঁচটির অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, একতরফা নির্বাচন বন্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করার সময় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী আহত হন। অনেক নেতা-কর্মীকে সাজানো মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি- জামায়াতের সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়সহ আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী ও সমর্থকের বাড়িতে হামলা করেছে, যানবাহন পুড়িয়ে দিয়েছে। সংগত কারণেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আশা করি সাজাও হবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment