বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করতে এবং তাকে কেন আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী রোববারের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), র্যাবের মহাপরিচালক, এসবির (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) প্রধান, সিআইডির প্রধান, ডিএমপি কমিশনার, উত্তরা থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদের করা এক ফৌজদারি আবেদনের পরি
প্রেক্ষিতে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রুল জারি করেন। এদিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। সালাহ উদ্দিনকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে এখন অস্বীকার করছে বলেও দাবি করেন তিনি। এদিকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়ার ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এছাড়া সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজিরের দাবিতে ১৫ মার্চ কক্সবাজারে হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি। হাসিনা আহমেদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, রাগিব রউফ চৌধুরী, মাসুদ রানা প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরউল্লাহ। আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রুল জারি করেছেন। এরই মধ্যে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে পাওয়া গেলে তাকে আদালতের সামনে হাজির করতে হবে। বৃহস্পতিবার সকালে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯১ ধারায় আবেদনটি করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী। আবেদনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবেদনটি দায়েরের পরপরই সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চে নিয়ে যান। আদালত আবেদনটির ওপর বেলা আড়াইটার সময় শুনানির জন্য ধার্য করে দেন। পরে শুনানি শুরু হলে শুরুতে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ১০ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে উত্তরার একটি বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। কিন্তু তাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী কোনো আদালতে হাজির করা হয়নি। তার পরিবারের সদস্যরা তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না। আমরা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতের সামনে হাজির করার জন্য রুল জারির আবেদন করছি। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, আইজিপির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ তাদের হেফাজতে নেই। তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ দুই মাস ধরে আত্মগোপনে থেকে ই-মেইলের মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করছিলেন। এখন তিনি নিজেই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে আত্মগোপন করেছেন, নাকি কেউ তাকে তুলে নিয়ে গেছে তা জানা নেই। এটি পলিট্যিক্যাল গেম হতে পারে। তাই এ বিষয়ে রুল জারির প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ যদি আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে আটক থাকত তাহলে তাকে হাজির করার প্রশ্ন উঠত। যেহেতু সালাহ উদ্দিন আহমেদ পুলিশের হেফাজতে নেই তাই এই আবেদন চলতে পারে না। এ সময় আদালত বলেন, পুলিশ কাস্টডিতে না থাকলে অন্য কোনো সংস্থার কাস্টডিতে আছে। তাও না হলে অবৈধ কোনো ব্যক্তিগত কাস্টডিতে আছে। রাষ্ট্রের একজন নাগরিক নিখোঁজ হলে তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃংখলা বাহিনীর। যদি তিনি (সালাহ উদ্দিন আহমেদ) নিজেই নিজেকে আত্মগোপনে নিয়ে থাকেন তারপরও তাকে খুঁজে বের করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে না থাকলে হাজির করবে কোথা থেকে? এক পর্যায়ে তিনি বলেন, রোববার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখা হোক। এ সময়ের মধ্যে তার বিষয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে যে তথ্য পাওয়া যাবে তা আমি আদালতকে অবহিত করব। সে অনুযায়ী আদালত আদেশ দেবেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। খন্দকার মাহবুব বলেন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ধরে নেয়ার পর পুলিশ একই কথা বলেছিল। কিন্তু কয়েকদিন পর তার খোঁজ মেলে। তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল দায়িত্ব নিক যে, এর মধ্যে কোনো অঘটন ঘটবে না? তাহলে আমরা রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি আছি। তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর জিডি করার জন্য গুলশান ও উত্তরা থানায় যাওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ জিডি নেয়নি। আমাদের উদ্বেগের জায়গা হচ্ছে, আদালত যদি কোনো আদেশ না দেন তাহলে এরই মধ্যে যদি তাকে হত্যা করা হয় তবে তার দায় কে নেবে? তিনি বলেন, এটা সালাহ উদ্দিন আহমেদের বাঁচা-মরার সম্পর্ক। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় দুটি বেঞ্চ যে আদেশ দিয়েছেন সরকার তা পালন করেছে। এক্ষেত্রেও আদালত যে আদেশ দেবেন তা পালন করা হবে। তিনি বলেন, অন্য কেউ যদি মেরে ফেলে থাকে তবে কি কেউ বাঁচাতে পারবে? অভিজিৎকে কি কেউ বাঁচাতে পেরেছে? এজন্যই রোববার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখার আবেদন করছি। তিনি বলেন, এটা নিয়ে বিরোধী দল রাজনৈতিক খেলা খেলতে চায়। খালেদা জিয়ার উদ্বেগ : বৃহস্পতিবার রাতে পাঠানো এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে গ্রেফতার, আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে হাজির না করা এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আটক করার কথা অস্বীকৃতির ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ। আমি এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও অন্যতম যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের পর থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদ দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের হয়ে কেউ কথা বললেই বর্তমান শাসকগোষ্ঠী তাকে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় জাড়িয়ে দেয়ার এক স্বৈররীতি চালু করেছে। সে কারণে সালাহ উদ্দিন আহমেদ গ্রেফতার এড়িয়ে দল-জোটের পক্ষ থেকে বক্তব্য-বিবৃতি প্রদান ও কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছিলেন। এতে ক্ষমতাসীনরা যে তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিল তা তাদের শীর্ষ পর্যায় থেকে ব্যক্ত ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়াতেই স্পষ্ট হয়েছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে মঙ্গলবার রাতের আঁধারে দরজা ভেঙে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে চোখ বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে তুলে নেয়ার ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের সেই ক্রোধেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন : ডিবি পরিচয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তুলে নেয়া হয়েছে দাবি করে তাকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত চেয়েছেন তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। হাইকোর্টের আদেশের পর ল’ রিপোর্টার্স ফোরামে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আজ দু’দিন হয়েছে, আমার স্বামীর কোনো হদিস নেই। আমরা যখন থানায় জিডি করতে গেলাম, আমার জিডি নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমি জাতির কাছে এতটুকুই চাওয়া, আমার স্বামীকে আমার কাছে ফেরত দেয়া হোক। আমার শুধু এতটুকুই চাওয়া। তিনি বলেন, একটি মানুষকে তুলে নিয়ে যাবে, আর তার কোনো হদিস থাকবে না, আইনশৃংখলা বাহিনী অস্বীকার করবে যে, তাকে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তারা না নিয়ে গেলে কে নিয়ে গেল? দেশ থেকে মানুষকে এভাবে তুলে নিয়ে যাবে, আর কেউ কিছু বলবে না, আর আমরা থানায় থানায় ঘুরব, কোনো প্রতিকার পাব না। আমরা কোন দেশে বাস করছি? হাসিনা আহমেদ বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমি আরও কিছু দেশবাসীকে জানাতে চাই, শনিবার রাত পৌনে তিনটা থেকে চারটার দিকে আমার বাড়ির দুই ড্রাইভার, আমার স্বামীর ব্যক্তিগত সহকারীকে যার যার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। দু’দিন তাদের পরিবারবর্গ তাদের কোনো খোঁজ জানতে পারেনি। তাদের অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছে। তিনদিন পর তাদের গুলশান থানায় দিয়ে আসে। তাদের বোমা বিস্ফোরণের মামলায় দিয়েছে। এখন তারা তিনদিনের রিমান্ডে আছে। সর্বশেষ যোগাযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসিনা বলেন, ওনারা বাসায় দরজা ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করছিল, তখনই উনি আমাকে ফোন করে জানানোর চেষ্টা করেন। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় আমি তখন বুঝতে পারিনি। আমরা আবার চেষ্টা করতে থাকি। না পেয়ে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখি, যদি পাই কিনা। সকাল পর্যন্ত না পেয়ে আমি বাড়ির মালিককে খোঁজার চেষ্টা করি। মালিক ভয়ে দুবাই চলে যায়, ওনাকে যদি আবার গ্রেফতার করে, ওনার বাসায় রাখার জন্য। দুবাই পৌঁছানোর পর দুপুরে ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনা জানতে পারি। ‘গ্রেফতার’ হওয়ার আগে ওইদিনই রাত সাড়ে নয়টার দিকে স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান হাসিনা আহমেদ। ডিবি আসার পর সাড়ে ১০টার দিকে স্বামীর থেকে সর্বশেষ ফোন পান বলে জানান তিনি। আক্কাস যা বললেন : তিনটি সাদা মাইক্রোবাস বাড়ির সামনে এসে থামামাত্রই চোখ যায় আক্কাস আলীর। তিনি প্রধান গেটে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে দেখতে পান গাড়ি থেকে সাদা পোশাকধারী লোকজন একে একে নামছেন। গাড়ি থেকে নামা লোকদের লক্ষ্য যে এই বাসাটিই তার ধারণা ছিল না। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সাদা পোশাকের লোকেরা গেটের সামনে এসে ধাক্কা দেন। বলেন, ‘গেট খোল’। এতে হতভম্ব হয়ে যান আক্কাস আলী। রাজধানীর উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি রোডের ৪৯/বি বাড়ির কেয়ারটেকার হলেন মো. আক্কাস আলী আখতার। বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় শুরু ও শেষ পর্যন্ত সব দেখেছেন তিনি। আখতার আলী যুগান্তরকে বলেন, ‘গত মঙ্গলবার আনুমানিক রাত সোয়া ৯টায় ৩টি সাদা মাইক্রোবাস হঠাৎ বাড়ির সামনে থামিয়ে প্রায় ২৫-৩০ জন সাদা পোশাকধারী লোক গাড়ি থেকে নামেন। পরে তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাকে পিস্তল দেখিয়ে গেট খুলতে বলেন। ভয়ে আমি তৎক্ষণাৎ গেট খুলে দিই, তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে বলে তোমার কোনো ভয় নাই। পরে তারা বাড়ির দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন সাহেবকে চোখ বেঁধে নিয়ে যান।’ আক্কাস আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসিনা বেগম দ্বিতীয় তলার ওই ফ্ল্যাটটিতে বসবাস করে আসছেন। হাসিনা বেগম উত্তরার ‘স্টুডিও ২০০০’ পার্লারের মালিক বলে পরিচয় দেন। ৬-৭ দিন আগে হাসিনা বেগম বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিনকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তার ফ্ল্যাটে তুলে দিয়ে যান। যাবার সময় বলেন, ‘সালাহ উদ্দিন সাহেব আমার নিকটাত্মীয়। তিনি এ বাসায় কিছুদিন থাকবেন।’ গত মঙ্গলবার রাতে ডিবি পরিচয় দানকারীরা কয়েকজন এসে আমাকে জিম্মি করে দোতলার ফ্ল্যাটে যান। তাদের মধ্যে ১০-১২ জন গেটে অবস্থান করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সালাহ উদ্দিন সাহেবকে একটি গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে দু’জনে দু’হাত ধরে নামিয়ে আনেন। এ সময় সালাহ উদ্দিন সাহেবের পরনে ছিল সাদা শার্ট ও সাদা প্যান্ট। ঘটনার পরের দিন বুধবার উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ এসে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কে বা কারা তাকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে তা আমার জানা নাই। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’ কক্সবাজারে ১৫ মার্চ হরতাল : সালাহ উদ্দিন আহমদকে আদালতে হাজির করার দাবিতে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কক্সবাজার বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৪ মার্চ জেলা ও উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ১৫ মার্চ জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। ১২ মার্চ বিকালে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী। এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা, অ্যাডভোকেট আবু ছিদ্দিক ওসমানী, অধ্যাপক আকতার চৌধুরী, অধ্যাপক আজিজুর রহমান, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি পৌর প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
No comments:
Post a Comment