Friday, March 13, 2015

হরতাল উপেক্ষিত:কালের কন্ঠ

বছর তিনেক আগে জাপানের একজন সড়ক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে এসে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বলেছিলেন, ‘আমি আগে ঈশ্বরে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু ঢাকায় আসার পর আমার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে যে নিশ্চয়ই ঈশ্বর আছেন। না হলে ঢাকার রাস্তায় এত এত গাড়ি; এদের কেউ চালাচ্ছে না, তবু চলছে। নিশ্চয়ই ঈশ্বরই মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন।’ জাপানের ওই বিশেষজ্ঞ যখন ঢাকায় এসেছিলেন, তখন ঢাকায় কোনো হরতালের ডাক ছিল না। ক
িন্তু সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা চলমান হরতালেও পরিস্থিতি যেন তেমনই রয়ে গেছে। এই হরতালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের উপপ্রধান রডরিগো কুবেরো তাঁর কয়েকজন সহকর্মী নিয়ে এ মাসেই এক সপ্তাহ ঢাকা ঘুরে যাওয়ার আগে গত ১০ মার্চ সংবাদ সম্মেলনে হরতাল প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বললেন, ‘ঢাকায় হরতালের কোনো চিহ্ন আমি দেখিনি। খুবই স্বাভাবিক মনে হয়েছে এবং আমার বেশ ভালোই লেগেছে।’ কেবল বিদেশিদেরই নয়, ঢাকার রাস্তায় চলতে-ফিরতে হরতাল এখন আর কারো জন্যই কোনো সমস্যা নয়। যানবাহনের সংকট নেই, বরং রয়েছে তীব্র যানজট। এর চেয়েও বড় কথা, মানুষের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রত্যেকেই বের হচ্ছে ঘর থেকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলতে শুরু করেছে। শপিং সেন্টার ও বিপণিবিতানগুলোও এখন খোলা থাকছে। ঢাকার মতোই স্বাভাবিক যান চলাচল করছে চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়াসহ দেশের বড় শহরগুলোতেও। ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থবিরতাও কমতে শুরু করেছে। ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, এক দিন-দুই দিন হলে কথা। প্রায় আড়াই মাস ধরে হরতাল-অবরোধ পালন করা হচ্ছে। এত দিন মানুষকে বন্দি করে রাখা সম্ভব নয়। তাই মানুষ আতঙ্ক ভুলে জীবিকার তাগিদেই ঘরের বাইরে আসছে। আর মানুষের ভিড়ে হরতাল ‘পালিয়েছে’। ঢাকার অভ্যন্তরীণ যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সরেজমিন পরিদর্শন, বাসচালক ও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরতাল-অবরোধের প্রথম দুই সপ্তাহ পর্যন্ত যান চলাচল কম ছিল। কিন্তু এর পর থেকেই পুরনো কায়দায় সকাল হলেই সারি সারি গাড়ি নেমে আসে রাস্তায়। দীর্ঘ যানজট ঢাকার মানুষের সঙ্গ ছাড়েনি এই হরতালেও। কেবল ঢাকাই নয়, অন্য শহরগুলোতেও দিনে হরতালের তেমন নাম-গন্ধ নেই। তবে রাতের বেলায় পেট্রলবোমার আতঙ্ক রয়েছে সর্বত্রই। ফলে রাত যত বাড়ে, গাড়ির সংখ্যাও তত কমে যায়। তাই স্বাভাবিক অবস্থায় ঢাকার ব্যস্ততম ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে যেখানে পালাক্রমে সারা রাত ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্বে থাকতে হতো, এখন রাত ১১টার পর রাস্তা ছেড়ে ব্যারাকে ফিরতে পারে তারা। দীর্ঘ পাঁচ বছর ঢাকার রাস্তায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন তেজগাঁও জোনের ট্রাফিক কনস্টেবল হাবিবুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ফার্মগেটের ব্যস্ত রাস্তায় তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে যানজট কমানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। চলমান হরতাল আর স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে পার্থক্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। দ্যাখেন না, যানজট লেগে আছে?’ এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখা গেল, সাধারণ যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ি এমনকি বিএমডাব্লিউ, লেক্সাসের মতো দামি গাড়িও নির্ভয়ে চলছে রাস্তায়। গত দুই দিন ধরে ঢাকার মিরপুর, গাবতলী, মতিঝিল, গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে যানবাহনের স্বাভাবিক চিত্রই দেখা গেছে। স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় চলমান হরতালে প্রতিদিন কী পরিমাণ যানবাহন ঢাকার রাস্তায় চলছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই পরিবহন ব্যবসায়ী ও ট্রাফিক পুলিশের কাছে। তবে পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দিনের বেলায় পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থার মতোই ঢাকায় যান ও মানুষের চলাচল। স্বাভাবিক সময়ে রাজধানী ও আশপাশে দিনে প্রায় পাঁচ হাজার বাস-মিনিবাস চলাচল করে। এখন এ সংখ্যা কোনোমতেই চার হাজারের কম হওয়ার কথা নয়। ঢাকা পশ্চিম জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট এস এম জুয়েলের কাজ রাস্তায় চলা যানবাহনকে শৃঙ্খলার মধ্যে রেখে জনযাতায়াত স্বাভাবিক রাখা। পাঁচ বছর ধরে ঢাকায় এ কাজে নিয়োজিত এই সার্জেন্টের কাছে চলমান হরতালে যান চলাচল পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে একটি গল্প বলে ফেলেন তিনি- ‘এক লোক গেছেন সুন্দরবন ঘুরে দেখার জন্য। পরে স্বজনরা তাঁর কাছে জানতে চাইলেন তিনি সুন্দরবনে গিয়ে কী কী দেখলেন। জবাবে লোকটি বিরক্ত হয়ে বললেন, কিছুই দেখতে পারি নাই। চারদিকে শুধু গাছ আর গাছ। এত গাছ থাকলে আর কোনো কিছু দেখা যায় নাকি?’ এ গল্প বলার পর তিনি বলেন, ঢাকায় হরতালের অবস্থাও তাই। রাস্তায় এত বেশি গাড়ি যে যানজট ছাড়া আর কিছুই দেখার উপায় নেই। গাবতলী থেকে সায়েদাবাদ রুটের ৮ নম্বর বাসের চালক সোহেল রানা বলেন, ‘প্রথম প্রথম কয়েক দিন ভয়ে গাড়ি চালাইনি। কিন্তু এভাবে আয়-রোজগার ছাড়া কয়দিন থাকা যায়? ঘরে বউ-বাচ্চা রয়েছে। তাই মনে ভয় নিয়ে জানুয়ারির শেষের দিকে রাস্তায় নেমেছি। অনেক দিন ধরে চালাতে চালাতে এখন ভয়ও কেটে গেছে। তবে রাতে গাড়ি চালাই না।’ সোহেল রানা জানান, সায়েদাবাদ-গাবতলী রুটের কোনো বাসই এখন বন্ধ নেই। কিন্তু গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে আগের মতো যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত সারা দেশ থেকে ঢাকায় যানবাহন ও যাত্রী পরিবহন কম হওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। সোহেল রানার মতো রাতের ভয় রয়ে গেছে সবার মধ্যেই। কারণ চলমান হরতাল-অবরোধে পেট্রলবোমার আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনাগুলো রাতেই ঘটেছে। ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল হাবিবুর রহমান জানান, আগে ঢাকার ব্যস্ততম পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টাই দায়িত্ব পালন করতে হতো। এখন রাত ১১টার পর আমাদের আর থাকতে হয় না। রাতে বাস আর প্রাইভেট কার চলাচল অনেক কমে যায়। কিছুদিন ধরে বন্ধ থাকলেও ককটেল ও পেট্রলবোমার আতঙ্ক মানুষের মধ্যে এখনো আছে। হরতাল-অবরোধের কোনো প্রভাব চট্টগ্রাম শহরে নেই। এমনকি দেশের আমদানি-রপ্তানির মূল পথ চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমও স্বাভাবিক রয়েছে। হরতাল-অবরোধের শুরু থেকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ নিরাপত্তা দেয় সরকার। এ মহাসড়কটিতে এখন যান চলাচল খুবই স্বাভাবিক। এ ছাড়া শিডিউলে কিছুটা সমস্যা থাকলেও ঢাকার সঙ্গে ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। বাণিজ্য নগরীর ব্যবসায়িক কার্যক্রমও প্রায় স্বাভাবিক রূপ ফিরে পাচ্ছে। রাজশাহীর রাস্তাঘাটেও হরতাল-অবরোধের কোনো চিহ্ন নেই; জনজীবনেও কোনো প্রভাব নেই। রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজারেও মানুষের উপস্থিতি বাড়ছে। ১৫ দিন আগেও যেখানে প্রতিদিন রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ২০০-এর বেশি বাস ছাড়ত না, এখন তা কমপক্ষে ৫০০-তে পৌঁছেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহারা ছাড়াই দিনের বেলায় বাস-ট্রাক প্রায় স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। হরতালে এত দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ক্লাস হতো, এখন পরীক্ষাও নেওয়া শুরু হয়েছে। ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী দেশ ট্রাভেলসের টিকিট ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান, তাঁদের কম্পানির ২০টি বাস প্রতিদিন চলছে। কোনো সিটও খালি যাচ্ছে না। রাজশাহী কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখন আর ট্রাক, কাভার্ডভ্যান বসে থাকছে না। দিনে তো চলছেই, রাতেও চলছে। তবে কোথাও কোথাও পুলিশের সহায়তা দরকার হচ্ছে। কেবল বিবৃতি দিয়ে হরতাল ডাকা ছাড়া বরিশাল বিভাগীয় শহর ও অন্যান্য জেলা শহরে বিএনপি ও ২০ দলের নেতা-কর্মীদের কোনো উপস্থিতি নেই। জনজীবনে যেমন স্বস্তি ফিরছে, তেমনি স্বাভাবিক হয়ে আসছে যান চলাচলও। হরতাল-অবরোধের গত দিনগুলোতে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যেখানে দৈনিক ৯টি লঞ্চ চলাচল করত, এখন তা বেড়ে ১৩টিতে দাঁড়িয়েছে। লঞ্চ মাস্টার মো. মজিবর রহমান বলেন, প্রথম দিকে নাশকতার কারণে যাত্রীরা আতঙ্কে ছিল। এখন তা নেই। লঞ্চ চলাচলও বেড়েছে। আর রাতে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চের যাত্রী অনেক বেশি। বরিশাল বাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. আফতাব হোসেন বলেন, ‘রাতে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকে। তাই দিনের বেলায় আগের চেয়ে বেশি বাস চলছে। সড়কপথে হরতাল-অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। হরতালের কথা শুনলেই সিলেটের গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ থাকে, দোকানপাটও খোলে না। এটাই যেন নিয়ম ছিল বছরের পর বছর ধরে। সেই সিলেটেই এখন হরতালের কোনো আমেজ নেই। নগরে দুপুর পর্যন্ত দোকান-পাট কিছুটা বন্ধ থাকলেও বিকেল গড়াতেই খুলে যাচ্ছে সব। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমও স্বাভাবিক। নগরের ভেতরে যান চলাচল স্বাভাবিক। ফলে অন্য সময়ের মতো যানজটও লেগে থাকে শহরজুড়ে। তবে রাত ৯টার পর যানবাহন চলাচল কমে যায়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দিনের বেলায় দূরপাল্লার বাস স্বাভাবিকভাবেই চলছে। তবে সন্ধ্যার পর চলা বাসের সংখ্যা হাতে গোনা। শিডিউল ঠিক না থাকলেও ঢাকা-সিলেট ও সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল করছে। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, সড়কে যান চলাচল আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ হালকা যান চলাচল করছে। আর দিনের বেলায় স্বাভাবিকভাবে চললেও রাতে আতঙ্কের কারণে কেউ যান চালানোর ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। রংপুরে যান চলাচল এখনো স্বাভাবিক না হলেও উত্তাপ কমছে হরতালের। প্রথম দিকে যুবদল ও ছাত্রদলের কর্মীদের মিছিল করতে দেখা গেলেও এখন তারাও মাঠে নেই। ফলে নগরের কোথাও হরতালের সমর্থনে পিকেটিংও নেই। অটোরিকশা চলছে আগের মতোই। বড় বড় বিপণিবিতান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো হরতাল-অবরোধের আগের দিনগুলোতে বন্ধ থাকত, এখন সেগুলো যথারীতি খোলা রাখা হচ্ছে। পুলিশ পাহারায় দিনের বেলায় দূরপাল্লার বাস ও রাতে ট্রাক চলাচল করছে। ময়মনসিংহে হরতাল বোঝার উপায় নেই ময়মনসিংহ শহর ও উপজেলাগুলোতে হরতাল বোঝার কোনো উপায় নেই। স্থানীয়ভাবে সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক। দোকানপাট খোলা। ব্যবসাবাণিজ্যও চলছে যথারীতি। ক্লাস-পরীক্ষা চলছে স্কুল-কলেজেও। গাঙিনার পাড় মোড়ে দিনভর যানজট লেগে থাকে। চড়পাড়া এলাকাতেও যানবাহনের ভিড় লেগে থাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। শহরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ের বাসস্ট্যান্ডেও যানজটের একই অবস্থা। বৃহত্তর ময়মনসিংহের সব জেলা শহরের সঙ্গে যান চলাচলও স্বাভাবিক। ঢাকামুখী গেটলক বাস এখনো কম-বেশি ছেড়ে যাচ্ছে। বাড়তি ভাড়া লাগলেও পণ্য পরিবহনও হচ্ছে আগের মতোই। ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সম্পাদক (কোচ) বিকাশ সরকার বলেন, ময়মনসিংহের অভ্যন্তরীণ রুট ও আন্তজেলা বাস চলাচল এখন প্রায় স্বাভাবিক। হরতালের মোটেই কার্যকারিতা নেই কুষ্টিয়াসহ আশপাশের জেলাগুলোতে। শুরু থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা ছিল। একমাত্র কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া তিন জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে। কুষ্টিয়া বাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান আবুল ফজল সেলিম জানান, শুধু উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা ছাড়া ঢাকাসহ সারা দেশে কুষ্টিয়া থেকে বাস চলাচল নিয়মিত রয়েছে।  

No comments:

Post a Comment