Thursday, March 19, 2015

এপ্রিলে সরগরম আদালত অঙ্গন:যুগান্তর

এপ্রিল মাসে সরগরম হয়ে উঠবে আদালত অঙ্গন। এ মাসেই খালেদা জিয়ার ৯টি আবেদনসহ গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি মামলা শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকছে। মাসটির প্রথম সপ্তাহে মামলাগুলোর অধিকাংশই উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুটি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিতের আবেদনসহ কমপক্ষে ৮টি আবেদনের ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
erve/www/delivery/ck.php?n=acd94d5f' target='_blank'> উচ্চ আদালতের এসব সিদ্ধান্ত দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। একটি মাসে এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানির দিন নির্ধারিত হওয়ায় এ মাসজুড়েই প্রায় সবার দৃষ্টি থাকবে আদালত অঙ্গনের ওপর। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় এসব মামলা মোকাবেলা করব। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বর্তমান সংকট আরও ঘনীভূত করার জন্য খালেদা জিয়ার মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা করছে।’ ২০ দলীয় জোট নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সবগুলোই রাজনৈতিক মামলা- এ দাবি করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও বহু দুর্নীতির মামলা ছিল। ক্ষমতায় আসার পর সেই মামলাগুলো হাওয়া হয়ে গেছে। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর অনেক মামলা হয়। আবার যখন তারা ক্ষমতায় আসেন তখন তাদের মামলাগুলো আর সামনে এগোয় না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা এসব মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করলে দেশ আরও উত্তপ্ত হবে বলে শংকা প্রকাশ করেন তিনি। এদিকে সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম যুগান্তরকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মামলা, কামারুজ্জামানের মামলা, মুজাহিদের মামলাসহ অনেকগুলো মামলায় আসামিপক্ষে সময় নেয়া হয়েছে। যার কারণে কাকতালীয়ভাবে সেগুলো এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শুনানির জন্য নির্ধারিত রয়েছে।’ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা খালেদার পরোয়ানা স্থগিত ও আদালত বদল এবং সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানি : ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের অধীনে বিচারাধীন জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। ২৫ ফেব্র“য়ারি আদালতে হাজির না থাকায় খালেদা জিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে ২৮ জানুয়ারি এ বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে মামলা দুটি অন্য কোনো আদালতে স্থানান্তরের জন্য হাইকোর্টে পৃথক দুটি আবেদন জানান খালেদা জিয়া। ২৮ ফেব্রুয়ারি আবেদন দুটি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়। পরে তিন মার্চ খালেদা জিয়া বিচারিক আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে পৃথক দুটি সম্পূরক আবেদন দায়ের করেন। হাইকোর্ট এসব আবেদনের ওপর সুপ্রিমকোর্টের অবকাশ শেষে অর্থাৎ ৩১ মার্চের পরে শুনানি করবেন বলে জানিয়েছেন। তার আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল জানান, ‘এসব আবেদনের ওপর এপ্রিলের ১ অথবা ২ তারিখে শুনানি হতে পারে।’ আর এ শুনানির পর উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত আসবে। অন্যদিকে আগামী ৫ এপ্রিল বিশেষ জজ আদালত-৩ এ মামলা দুটিতে সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে। খনি দুর্নীতি মামলা বাতিল আবেদনের রায় : ওয়ান-ইলেভেনে জরুরি অবস্থা চলাকালে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় করা এ মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। পরে এ মামলা দায়ের ও অনুমোদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে বাতিল আবেদন করা হয়। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। সম্প্রতি এ মামলাটি সচল করার জন্য রুলের চূড়ান্ত শুনানির উদ্যোগ নেয় দুদক। দুদকের আইনজীবীকে দুই কার্যদিবস শুনানি গ্রহণ করে ৫ মার্চ বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ১০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় শুধু দুদকের আইনজীবীর বক্তব্য শুনেই রায়ের দিন ধার্য করা হয়। এ অবস্থায় ৮ মার্চ খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপরোক্ত বেঞ্চ ১৫ মার্চ শুনানি ও রায়ের জন্য ধার্য করেন। কিন্তু ১৫ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন থাকায় এবং ওই নির্বাচনে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সেদিন তাদের পক্ষে শুনানি সম্ভব হয়নি। এ কারণে আদালত আগামী ৫ এপ্রিল পরবর্তী শুনানি ও রায়ের জন্য ধার্য করেছেন। এদিকে ১১ মার্চ হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশংকার কথা তুলে ধরে খালেদা জিয়ার বাতিল আবেদন ও এ বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য অন্য কোনো বেঞ্চে পাঠাতে প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি আবেদন করা হয়েছে। এ আবেদনে ফইলিং ল’ইয়ারকে (আবেদন দাখিলকারী আইনজীবী) না শুনেই রায়ের দিন ধার্য করা, পরবর্তী সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের দিন পিছিয়ে ১৫ মার্চ ধার্য এবং ওই দিন শুনানির সুযোগ রাখা, উপরোক্ত বেঞ্চের একজন বিচারপতির আওয়ামী লীগের দলীয় ব্যানারে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবীর নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়াসহ বেশকিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এ ব্যাপারে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা আবেদনটি এফিডেভিট আকারে সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করেছি। কিন্তু প্রধান বিচারপতির দফতরে উপস্থাপন করা হয়নি। অবকাশের মধ্যে অথবা ৩১ মার্চের পর এটি প্রধান বিচারপতির কাছে উপস্থাপন করা হবে।’ গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় চট্টগ্রাম বন্দর ও কমলাপুরের কনটেইনার টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য মেসার্স গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। মামলাটির অনুমোদনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই আদালত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং রুল জারি করেন। এছাড়া এ মামলা জরুরি ক্ষমতা বিধিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৭ সালে আলাদা একটি রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট এ বিষয়েও রুল জারি করেন। ওই দুটি রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য দুদক আলাদা আবেদন করে, যা শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নাইকো মামলা : কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ১০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি সাধনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট এবং রুল জারি করেন। ওই রুলের ওপর শুনানির জন্য দুদক আবেদন করেছে, যা হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চের কার্যতালিকায় রয়েছে। কামারুজ্জামানের রিভিউ শুনানি : ১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনায় (রিভিউ) জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আবেদনের শুনানি। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানির এ তারিখ নির্ধারণ করে রেখেছেন। ২০১৩ সালের ৯ মে যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে আপিল বিভাগ গত বছরের ৩ নভেম্বর তার ফাঁসি বহাল রাখেন। ১৮ ফেব্র“য়ারি ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়। এরপর ১৯ ফেব্র“য়ারি কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছায়। ৫ মার্চ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় কামারুজ্জামানের পক্ষে রিভিউ আবেদন করা হয়। সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে বের করে আদালতে হাজির করার বিষয়ে শুনানি : ১০ মার্চ রাত থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ। তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ দাবি করেন উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩-বি রোডের ৪৯/বি নম্বর বাসা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। খোঁজ না পেয়ে ১২ মার্চ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজিরের নির্দেশনা চেয়ে তার স্ত্রী হাসিনা আহমেদ হাইকোর্টে একটি ফৌজদারি আবেদন দায়ের করেন। ওই দিনই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯১ ধারায় করা এ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট সালাহ উদ্দিন আহমেদকে খুঁজে বের করে আদালতের সামনে হাজির করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ১৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী ১৫ মার্চ অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে পুলিশ সদর দফতর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), এসবি, র‌্যাব ও সিআইডি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তাদের হেফাজতে নেয়া হয়নি।’ পরে এ বিষয়ে চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয় ১৬ মার্চ। ওইদিন শুনানি শেষ করতে না পারায় আদলত আগামী ৮ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির জন্য দার্য করেছেন। ফখরুলসহ ২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি : গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২০ দলীয় জোটের ২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। আসামিপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া ১০ মার্চ এই দিন ধার্য করেন। ২৬ মার্চ এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমানসহ ২০ দলীয় জোটের ২৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এখন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে কি হবে না সে বিষয়ে শুনানি হবে। এসব মামলা ছাড়াও এপ্রিল মাসে শুরু হবে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত আমীর মতিউর রহমান নিজামীর করা আপিল শুনানি। পাশাপাশি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রয়েছে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ও বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল। রাষ্ট্রপক্ষ ইচ্ছে করলে চলমান হরতাল-অবরোধ নিয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুলের শুনানিও এ মাসেই শুরু করতে পারেন।  

No comments:

Post a Comment