আগামী ২৮ এপ্রিল একই দিনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকার দুই সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। গতকাল বুধবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়ে দিয়েছে। ইসির ঘোষণা অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের কাছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ আগামী ২৯ মার্চ, রবিবার; মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১ ও ২ এপ্রিল (বুধ ও বৃহস্পতিবার); প্রার্থিতা প্
রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার; ভোটগ্রহণ ২৮ এপ্রিল, মঙ্গলবার। নির্বাচন কমিশনাররা জানিয়েছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্র ও শনিবার বাদে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করতে বলেছিল। এদিকে নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পাঁচ দিন সময় লাগবে। এ জন্য ভোটের আগে ও পরে দুই দিন করে গ্যাপ রেখে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল ইসি সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এ তফসিল ঘোষণা করেন। এ সময় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, আবদুল মোবারক, জাবেদ আলী, মো. শাহ নেওয়াজ ও নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ঢাকার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহ আলমকে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পেয়েছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন। এ ছাড়া এ নির্বাচনে ঢাকার আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে থাকবেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার এবং চট্টগ্রাম সিটির জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য প্রার্থীরা তিন দিন সময় পাবেন। নিয়ম অনুযায়ী আগামী ২৮ এপ্রিল ভোটের দিন দুই মহানগরে সাধারণ ছুটি থাকবে বলে কমিশন জানিয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় সাধারণ ওয়ার্ডভিত্তিক সিডি সংগ্রহ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি ওয়ার্ডের জন্য ৫০০ টাকা পে-অর্ডার বা চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগেই যেকোনো তফসিলি ব্যাংকে একটি নতুন হিসাব নম্বর খুলে তা মনোনয়নপত্রে উল্লেখ করতে হবে। এর আগে কাজী রকিবের নির্বাচন কমিশন ২০১২ সালের ৬ এপ্রিল ভোটার হালনাগাদ না করেই ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করেছিল। এর তিন দিনের মাথায় ৯ এপ্রিল আদালতের নির্দেশে ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। বাদীপক্ষ তখন আদালতে এই অভিযোগ উপস্থাপন করেন যে ডিসিসির ভোটার তালিকা হালনাগাদ না হওয়ায় ২০০৯ সালের পর থেকে পাঁচ লাখ যোগ্য নাগরিক ভোটার হতে পারেনি। এ অভিযোগের পক্ষে ওই বছরের ১৬ মার্চ একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ঢাকার দুই সিটির সীমানা নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট আইন অনুসরণ না করারও অভিযোগ আনা হয়। পরে আদালতের স্থগিতাদেশ উঠে গেলেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতায় এ নির্বাচন ঝুলে থাকে। সর্বশেষ ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস পরে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী অংশ নেননি। ফলে প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী সাদেক হোসেন খোকা নির্বাচিত হন এবং পরে যথাসময়ে নির্বাচন না হওয়াতে তিনি দীর্ঘদিন মেয়র পদে বহাল থাকেন। সে হিসেবে দীর্ঘ ১৩ বছর পর ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন আগের নির্বাচন কমিশন বেশ কয়েকবার এ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকা সিটিকে দুই ভাগ করে উত্তর ও দক্ষিণে আলাদা দুটি সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার। আর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সর্বশেষ অনুষ্ঠিত হয় ২০১০ সালের ১৭ জুন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি সমর্থিত মোহাম্মদ মনজুর আলম আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ৯৫ হাজার ৫২৮ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। এরপর এই সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ২৬ জুলাই। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুসারে নির্বাচিতদের মেয়াদ হবে প্রথম সভা অনুষ্ঠানের দিন থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর পর্যন্ত। তার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে পরবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সে হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন গত ২৬ জানুয়ারি থেকে আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, আগামী ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হলেও ওই নির্বাচনে বিজয়ীদের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ২৫ জুলাই বর্তমান মেয়র-কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় তিন মাস অপেক্ষায় থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন আগামী জুনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিকল্পনা করলেও গত বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে প্রাক-নির্বাচনী সমন্বয় সভার পর ইসির সে পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসে। পরে গত সোমবার পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ঢাকা মেট্রোপলিট্টন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামানসহ ইসি কার্যালয়ে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তাঁরা ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই তিন সিটির নির্বাচন সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন। সিইসির সঙ্গে বৈঠকের পর আইজিপি সাংবাদিকদের জানান, তিন সিটিতে একাধিক দিনে ভোট গ্রহণ করার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে তাতে ইসি রাজি হয়নি। সম্ভবত একই দিনে তিন সিটিতে ভোটের আয়োজন করতে যাচ্ছে ইসি। এ ছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- ৩০ এপ্রিলের মধ্যে তিন সিটির নির্বাচন শেষ করলে তাদের জন্য ভালো হয়। কারণ এরপর ক্রিকেট খেলা রয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের সময়সূচির প্রসঙ্গ টেনে আইজিপি বলেন, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ক্রিকেটের আয়োজন করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের মে মাসের শুরুতে খেলার আয়োজন করতে বলা হয়েছে। গতকাল এপ্রিলেই তিন সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা এইচএসসি পরীক্ষা, ক্রিকেট খেলা ও রোজার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এপ্রিলের মধ্যেই এক দিনে তিন সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' নির্বাচন কমিশন এবার এমন একসময়ে তিন সিটির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করল যখন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশে টানা অবরোধ ও ঘন ঘন হরতাল চলছে। এ ছাড়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিটি নির্বাচনে নিজেদের মেয়র পদপ্রার্থী সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলেও এ নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি বা তাদের শরিকদের অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়। এর পরও এবার উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা প্রকাশ করে সিইসি তিন সিটির ৬১ লাখ ভোটারকে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে প্রার্থীদের অনুরোধ করেন আচরণবিধি মেনে চলার জন্য। সিইসি বলেন, 'আমরা চাই, আগের সিটি নির্বাচনের মতো এ নির্বাচনেও সবাই অংশগ্রহণ করুক। রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য আমাদের কিছুই করার নেই। ভোটারদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাশে থাকবে। হঠাৎ করে চোরাগোপ্তা হামলা হতে পারে। এসব সন্ত্রাসীর কোনো দল নেই। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।' প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে চললে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। সিইসি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আগাম প্রচারণামূলক সব পোস্টার, বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে সরিয়ে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট সাম্ভাব্য প্রার্থীদের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়ে বলেন, তা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত পরে : তিন সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে গতকাল সিইসি বলেন, অনেকগুলো নির্বাচন সেনাবাহিনী ছাড়া করেছি। সেনাবাহিনী প্রয়োজন না হলে মোতায়েন করি না। তবে পরিস্থিতি বুঝে আরো একটু পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করব। তবে নির্বাচনী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে মোবাইল ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার নিয়োজিত থাকবে। র্যাবও মোবাইল ফোর্স হিসেবে কাজ করবে, তবে বিজিবি নিয়োগের বিষয়টি পরবর্তী সময়ে বিবেচনা করা হবে। প্রতিটি মোবাইল টিমের সঙ্গে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। মোবাইলে কেন্দ্র ও ভোটার নম্বর : ভোটাররা একটি নির্দিষ্ট নম্বরে মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস পাঠালে ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে তার ভোটকেন্দ্র ও ভোটার নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে। এতে ভোটাররা জানতে পারবে তাকে কোন ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। এবার ইভিএম নয় : সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, আগে বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেছি। সর্বশেষ রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিল। সেখানে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেয়। যন্ত্রগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। এখনো সুফল পাইনি। সুফল না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার স্থগিত থাকবে। প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা : সিইসি বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী আইনানুগভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না। প্রতীক বরাদ্দের পর সব প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন। ভোটার কার্যক্রম স্থগিত : সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণা হওয়াতেই তিন সিটিতে ভোটার অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম আপাতত স্থগিত থাকবে। তফসিল ঘোষণার পর ভোটারের স্থানও পরিবর্তন করা যায় না। তফসিলের আগে যাঁরা আবেদন করেছেন তাঁদেরটা আইন অনুযায়ী করে দেওয়া হবে। তিন সিটির নির্বাচনী তথ্য : নির্বাচন কমিশন গতকাল এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেও ভোটার ও ভোটকেন্দ্র সম্পর্কে চূড়ান্ত তথ্য দিতে পারেনি। এ বিষয়ে গত ১ মার্চ বা ১৭ দিন আগের সংগ্রহ করা তথ্য জানানো হয়। সে তথ্য অনুসারে, নারীদের জন্য সংরক্ষিত ১২টি ওয়ার্ডসহ ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৩ জন। এর মধ্যে নারী ১১ লাখ ২১ হাজার ৭৪২ জন এবং পুরুষ ১২ লাখ ২৭ হাজার ৫৭১ জন। সাম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র (২০১২ সালে নির্ধারণ করা) এক হাজার ৮৭টি এবং ভোটকক্ষ পাঁচ হাজার ৮২৫টি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাধারণ ওয়ার্ড ৫৭টি। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংখ্যা ১৯। গত ১ মার্চ পর্যন্ত এ সিটির মোট ভোটার ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৩ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার আট লাখ ৬১ হাজার ২৯৩ জন এবং পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৯ হাজার ৭০ জন। সাম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র (২০১২ সালে নির্ধারণ করা) ৮৭৩টি এবং ভোটকক্ষ চার হাজার ৪৩৯টি। ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২৮ লাখ ৬৯ হাজার ২৮ জন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ২০১০ সালের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ২৮ লাখ ৬৯ হাজার ২৮ জন। বর্তমানে ১৯টি সংরক্ষিতসহ ৫৭টি ওয়ার্ডের এই সিটির মোট ভোটার ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৩ জন। এর মধ্যে নারী আট লাখ ৭৮ হাজার ৩২৯ এবং পুরুষ ৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫৬৩। সাম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ৭৫০টি এবং ভোটকক্ষ পাঁচ হাজার ২৫০টি।
No comments:
Post a Comment