Tuesday, March 24, 2015

ইয়েমেনের সংঘাতের প্রধান পক্ষগুলো:প্রথম অালো

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইয়েমেনে চলমান সংকটে যেমন রয়েছে রাজনৈতিক বিভিন্ন পক্ষ, তেমনি রয়েছে বিভিন্ন উপজাতি, আঞ্চলিক এবং সাম্প্রদায়িক পক্ষ। বিচিত্র স্বার্থের নানা পক্ষের অংশগ্রহণ এই সংঘাতকে জটিল করে তুলেছে। হুতি বা আনসারুল্লাহ: ‘বিশ্বাসী যুবা’ নামে ১৯৯২ সালে প্রথম কার্যক্রম শুরু করে এই সংগঠনটি। প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল শিয়াদের শাখা জাইদিদের অধিকারে সমর্থন। আঞ্চলিক প্রভাবশালী দেশ ইরানের মিত্র হুতি শিয়া ব
িদ্রোহীরা ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ইয়েমেন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে। সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে তারা রাজধানী সানা দখল করে নিয়ে আলোচনায় আসে। আবদরাব্বো মানসুর হাদি: গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দিতে ২০১২ সালে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হন হাদি। তবে নিরাপত্তা বাহিনীতে বিভাজনের কারণে দুর্বল হয়ে পড়া হাদি বেশি দূর এগোতে পারেননি। সানা দখলের পর হুতিরাই কার্যত দেশের ক্ষমতায়। হাদিকে তারা গৃহবন্দী করে রাখে। জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। তবে গত মাসে পালিয়ে এডেনে গিয়ে সরকারের কার্যক্রম শুরু করেন। আলী আবদুল্লাহ সালেহ: উত্তর ইয়েমেনের শাসক ছিলেন ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত। ১৯৯০ সালে উত্তর ও দক্ষিণ এক হওয়ার পর তিনিই হন পুরো ইয়েমেনের নেতা। ২০১১ সালে গণবিক্ষোভের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সালেহ। তবে দেশের সেনাবাহিনীসহ সব খানে এখনো বিরাট প্রভাব রয়েছে তাঁর। ক্ষমতায় ফিরতে হুতিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তিনিই সংকটের কলকাঠি নাড়ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একিউএপি: গত কয়েক বছর ধরে আল–কয়েদা ইন দি অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলাই (একিউএপি) আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আল-কায়েদার সবচেয়ে সক্রিয় শাখা হিসেবে পরিচিত। ইয়েমেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে শক্ত ভিত রয়েছে তাদের। সংগঠনটিকে নির্মূল করতে ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মার্কিন বাহিনীও জোরালো তৎপরতা চালিয়ে আসছে। তথ্যসূত্র: রয়টার্স

No comments:

Post a Comment