একাত্তরে রংপুর অঞ্চলের আলবদর কমান্ডার হিসেবে খ্যাত জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে
বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় গণহত্যা ও ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এসব সাজা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আজহারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনা ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি প্রমাণিত হয়। এসবের মধ্যে তিনটি অভিযোগে আলাদাভাবে মৃত্যুদণ্ড, ধর্ষণের একটি অভিযোগে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং নির্যাতনের একটি অভিযোগে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একটি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সেই অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। রায়ে বলা হয়েছে, একাত্তরে নিরস্ত্র ও নিরীহ বাঙালিদের ওপর যেভাবে নির্বিচারে হত্যা, গণহত্যা চালানো হয়েছে, তাতে তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডই প্রাপ্য। অপরাধের ধরন বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ড যথোপযুক্ত শাস্তি। এ শাস্তি দেওয়া না হলে ভিকটিমদের এড়িয়ে যাওয়া হবে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল মঙ্গলবার এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, আটক, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার ছয়টি অভিযোগে বিচারকাজ শেষ হলে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। এর তিন মাসেরও বেশি সময় পর গতকাল রায় ঘোষণা করা হলো। এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ১৫তম মামলায় ১৬ জনকে সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করা হলো। এ নিয়ে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় আট নেতার বিচার সম্পন্ন হলো। রায়ে বলা হয়, যেহেতু তাঁকে তিনটি অভিযোগে আলাদাভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাই একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। তাঁর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার আদেশ দেওয়া হয়। একটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলে অন্য দুটি মৃত্যুদণ্ড বা অন্য সাজা কার্যকরের প্রয়োজন নেই। রায়ে একাত্তরে স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় যৌন নির্যাতনের শিকার নারীদের বীরাঙ্গনা হিসেবে উল্লেখ করে তাঁদের পুনর্বাসন করতে এবং তাঁদের অবদানের কথা স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অভিমত দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে আসামির কাছ থেকে বীরাঙ্গনাকে ক্ষতিপূরণ দিতে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের আবেদনের বিষয়ে রায়ে বলা হয়, আইনে সুযোগ না থাকায় ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। গতকাল ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান সাজা ঘোষণা করলেও ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই বিচারকের মধ্যে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক ভূমিকাসহ অভিযোগ অংশ পাঠ করেন। গত বছরের ১২ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয় আজহারের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ছয়টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটিও (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) রয়েছে। এর আগে গত বছরের ১৮ জুলাই আজহারের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২৫ জুলাই ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নেন। গত ২৭ আগস্ট থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ কার্যদিবসে আসামিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আবদুস সোবহান তরফদার ও শিশির মো. মুনির। অন্যদিকে গত ১৮ আগস্ট থেকে সাত কার্যদিবসে আজহারের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, ড. তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে গত ৬ জুলাই পর্যন্ত আজহারের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এম ইদ্রিস আলীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৯ জন সাক্ষী। তাঁদের মধ্যে ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য দেন একজন বীরাঙ্গনাও। অন্যদিকে গত ৩ ও ৪ আগস্ট একমাত্র সাফাই সাক্ষী হিসেবে আজহারের পক্ষে সাক্ষ্য দেন আনোয়ারুল হক। এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। এ মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট আজহারকে গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন বিচারক রায় ঘোষণার জন্য গতকাল সকাল ১১টা ১০ মিনিটে এজলাসে আসন গ্রহণ করেন। এরপর রায় ঘোষণা শুরু করেন। ১৫৬ পৃষ্ঠার এ রায়ের অভিযোগ ও আদেশের অংশ সংক্ষিপ্তভাবে পড়ে শোনান বিচারকরা। দুপুর ১২টা ৪২ মিনিটে আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান। আজহারকে সকাল ১০টা ৫৭ মিনিটে ট্রাইব্যুনালে আসামির কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। কাঠগড়ায় বসেই রায় শোনেন আজহার। এর আগে সকালে তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে রাখা হয়। ওই সময় তাঁর পরনে ছিল পাঞ্জাবি ও পাজামা। রায় শুনে উত্তেজিত আজহার : তিনি পুরো রায় নিবিড়ভাবে শোনেন। মৃত্যুদণ্ডের ঘোষণা শুনেই চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে সামনের দিকে হাত উঁচিয়ে আজহার উত্তেজিত ভাষায় বলেন, 'এটা ফরমায়েশি রায়।' এরপর তিনি আবার চেয়ারে বসে পড়েন। রায় ঘোষণা শেষ হলে আজহার আবার দাঁড়িয়ে বিচারকদের উদ্দেশ করে বলেন, 'আল্লাহ আপনাদের বিচার করবেন।' এরপর তাঁকে দ্রুত হাজতখানায় নিয়ে রাখা হয়। পরে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তাঁর আইনজীবীরা। মুক্তিযুদ্ধকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘের রংপুর জেলা সভাপতি, পরে ঢাকা মহানগর জামায়াতের আমির এবং কেন্দ্রীয় জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের বাতাসন গ্রামে। তাঁর বাবা ডা. নাজির হোসেন, মা রমিচা বেগম। রায় ঘোষণা উপলক্ষে গতকাল সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল এলাকায় আইনজীবী, বুদ্ধিজীবীসহ সাধারণ মানুষ ও সংবাদকর্মীরা ভিড় করেন। সকাল থেকে সেখানে কড়া নিরাপত্তা বসানো হয়। রায় শোনার জন্য গতকাল ট্রাইব্যুনাল কক্ষে উপস্থিত হন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, জেয়াদ আল মালুম, মোহাম্মদ আলী, মোখলেসুর রহমান বাদল, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজসহ প্রসিকিউটররা। এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হকসহ বেশ কয়েকজন পর্যবেক্ষক উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খানসহ সংস্থার অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন আবদুস সোবহান তরফদার, তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ শিশির মুনিরসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। রায় ঘোষণা শেষে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আলাদাভাবে প্রতিক্রিয়া জানান। রাষ্ট্রপক্ষের সন্তোষ : রায়ের পর প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও ড. তুরিন আফরোজ সন্তোষ প্রকাশ করেন। মালুম বলেন, একাত্তরের 'সবচেয়ে বড়' গণহত্যার হোতার যথাযথ শাস্তি হয়েছে। এই 'ভয়ংকর অপরাধী' দণ্ড পাওয়ায় রংপুরের শহীদদের আত্মা ও তাঁদের স্বজনরা সান্ত্বনা পাবে। প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের একজন বীরাঙ্গনা সাক্ষী ছিলেন। রংপুর টাউন হলে অনেক নারীর মধ্যে তিনিও ধর্ষণের শিকার হন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, ওই বীরাঙ্গনার স্বামী যুদ্ধের পর তাঁকে স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলতে কোনো দ্বিধা করেননি। স্বামী-স্ত্রী দুজনই ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সমাজের সঙ্গে লড়াই করে ওই বীরাঙ্গনাকে নিয়ে সংসার করছেন বীরাঙ্গনার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা। ড. তুরিন বলেন, বীরাঙ্গনাদের জন্য ক্ষতিপূরণের বিধান ট্রাইব্যুনাল আইনে না থাকায় তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারেননি ট্রাইব্যুনাল। রাষ্ট্রের গর্ব বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ দিতে প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করতে হবে। আসামিপক্ষের দাবি, সুবিচার পাননি : রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, প্রসিকিউশন যে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করেছে, তার ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় সুবিচার পাননি এ টি এম আজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'যে তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাঁদের একজন ছয় কিলোমিটার, একজন তিন কিলোমিটার, একজন দেড় কিলোমিটার দূর থেকে আজহারকে দেখে চিহ্নিত করেছেন। এ রকম সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ফৌজদারি মামলায় বিচার করা যায় না।' তিনি সাংবাদিকদের জানান, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। যেসব অভিযোগে সাজা : ছয়টি অভিযোগের মধ্যে ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগে সাজা দেওয়া হয়েছে আজহারকে। অভিযোগ ও সাজা নিম্নরূপ- দুই. একাত্তরের ১৬ এপ্রিল রংপুরের বদরগঞ্জের ধাপপাড়ায় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে এ টি এম আজহারুল ইসলাম অংশ নেন। ওই ঘটনায় শহীদদের মধ্যে ১৪ জনের নাম-পরিচয় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এই গণহত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তিন. একাত্তরের ১৭ এপ্রিল রংপুরের ঝাড়ুয়ার বিল এলাকায় নারকীয় গণহত্যার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন মারা যান, যাঁদের মধ্যে ৩৬৫ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধ- কেউ ওই হত্যাকাণ্ড থেকে রেহাই পাননি। নিহতদের মধ্যে ২০০ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন, যা প্রমাণ করে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ওই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন। চার. ৩০ এপ্রিল আজহারের নেতৃত্বে রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষক কালাচাঁদ রায় ও তাঁর স্ত্রী মঞ্জুশ্রী রায়, শিক্ষক সুনীল বরণ চক্রবর্তী, রামকৃষ্ণ অধিকারী ও চিত্তরঞ্জন রায়কে দমদমা সেতুর কাছে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাঁচ. একাত্তরের ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত আজহারের পরিকল্পনায় রংপুর শহর ও আশপাশের এলাকা থেকে নানা বয়সী নারীদের ধরে নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দেওয়া হতো। রংপুর টাউন হলে নারীদের আটক রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হতো। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর টাউন হলের পেছনে ইন্দারায় অনেক নারীর লাশ পাওয়া যায়। এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে ২৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। ছয়. একাত্তরে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে রংপুর শহরের গুপ্তাপাড়ায় একজনকে নির্যাতন করেন আজহার। ১ ডিসেম্বর রংপুর শহরের বেতপট্টি থেকে একজনকে অপহরণ করে রংপুর কলেজের মুসলিম ছাত্রাবাসে নিয়ে আটক রেখে নির্যাতন করে গুরুতর জখম করার সঙ্গেও জড়িত তিনি। এ অভিযোগ আংশিক প্রমাণিত হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। যে অভিযোগ থেকে খালাস : একাত্তরের ২৪ মার্চ রংপুরের আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মাহফুজ আলীসহ ১১ জনকে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের পর ৩ এপ্রিল শহরের দখিগঞ্জ শ্মশানে নিয়ে গুলি করে তাঁদের হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। এ অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল আজহারকে খালাস দেন।
No comments:
Post a Comment