৪৬ রানেই ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মনে হচ্ছিল, আরব আমিরাত হয়তো এক শও পেরোতে পারবে না। কিন্তু নাসির আজিজ ও আহমেদ জামাল সপ্তম উইকেটে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুললেন। জুটিটা কিছুতেই ভাঙতে পারছিলেন না জেসন হোল্ডার, শেষ পর্যন্ত ৩০তম ওভারে নিয়ে এলেন ড্যারেন স্যামিকে। সাবেক অধিনায়ক ১ ওভারে দিলেন ৪ রান। কিন্তু হোল্ডার এরপরই তাঁকে সরিয়ে নেন আক্রমণ থেকে। স্যামির অসন্তোষ বোঝা গিয়েছিল মাঠেই। দুজনের মধ্যে হয়ে যায় একপশল
া বাক্যবিনিময়। সেটা যে প্রীতিকর কিছু ছিল না পরে হোল্ডার নিজেই স্বীকার করেছেন। তবে দাবি করেছেন খুব বড় কিছু নয়, ‘সামান্য কথা-কাটাকাটি হয়েছিল আমাদের, এটা খেলারই অংশ। দিন শেষে আমরা হাত মিলিয়েছি। একসঙ্গেই হেসেছি।’ ২৩ বছর বয়সী হোল্ডার এই দলের অধিনায়ক হলেও বয়সে সবার ছোট। স্বাভাবিকভাবেই দলের অন্য সবার কাছ থেকে অধিনায়কের যোগ্য সম্মান পান কি না, সেই প্রশ্ন বেশ কয়েকবারই উঠেছে। কালকের ঘটনার পর সেটি আরও জোরেশোরেই উঠবে। ম্যাচ শেষে হোল্ডার অকুণ্ঠ ধন্যবাদ দিয়েছেন সতীর্থদের, ‘আমি সবার কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আর চাইতে পারতাম না। এই ম্যাচে আমাদের জয় পেতেই হতো, সেটাও বড় ব্যবধানে। যেভাবে সবাই নিজেদের মেলে ধরেছে সেটা আমার চাওয়ার থেকেও বেশি।’ তবে কাল ম্যাচ শেষে হোল্ডার ইনস্টাগ্রামে স্যামির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানেই লিখেছেন, ‘জীবনে এ রকম হতেই পারে। যা পেয়েছি সেটার জন্য ধন্যবাদ।’ পরে স্যামিও সেটি রিটুইট করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই ছবিটাকেই সত্যি বলে ধরে নিতে চাইবে! এএফপি।
No comments:
Post a Comment