Wednesday, April 1, 2015

এইচএসসি পরীক্ষা আজ শুরু, হরতাল-অবরোধেও চলবে:প্রথম অালো

উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি), সমমানের আলিম, এইচএসসি (বিএম) ও ডিআইবিএস পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। অবরোধ ও হরতাল থাকলেও ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ীই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার পৌনে ১১ লাখ পরীক্ষার্থী এসব পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আজ হরতাল না থাকলেও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ অব্যাহত রয়েছে।
এর সঙ্গে আজ থাকছে সারা দেশে বিরোধী জোটের বিক্ষোভ কর্মসূচি। এ ছাড়া কাল বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাইরে সকাল ছয়টা থেকে ২৪ ঘণ্টার হরতাল দিয়েছে ২০-দলীয় জোট। কাল পরীক্ষা না থাকলেও রাজনৈতিক অস্থিরতায় পরীক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার উদ্বেগ রয়েছে। আজকের পর ৬ এপ্রিল সোমবার পরবর্তী পরীক্ষা। সময়সূচি অনুযায়ী আজ শুরু হয়ে লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ জুন। তবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের কারণে ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিলের পরীক্ষা পরিবর্তন করে সুবিধাজনক সময়ে দেওয়া হবে। এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে ৬৭ হাজার ৪৯০ জন কমেছে। এ ছাড়া দুই বছর আগে নিবন্ধন করেও দুই লক্ষাধিক নিয়মিত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে না। ঢাকা মহানগর পুলিশ গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী ছাড়া জনসাধারণের অনধিকার প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল এক শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক জোটের বিবেকবর্জিত অব্যাহত হরতাল-অবরোধের কারণে এসএসসির রুটিন অনুযায়ী প্রায় ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর একটি পরীক্ষাও নেওয়া সম্ভব হয়নি। সব পরীক্ষা নিতে হয়েছে শুক্র ও শনিবার। তারা খেলার বিজয়-আনন্দে হরতাল বন্ধ করলেও তোমাদের পরীক্ষা বা লেখাপড়ার জন্য তাদের কোনো দায় নেই, কোনো ছাড় তারা দেয় না।’ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দাবি, মতামত ও পরামর্শের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে রুটিনমাফিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’ ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য, সাধারণ জনগণ পরীক্ষার্থীদের পাশে আছেন বলেও জানান তিনি। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, একটি অশুভ চক্র রাজনৈতিক ও আর্থিক ফায়দা লোটার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস বা প্রশ্নপত্রের নামে সাজেশন ফেসবুকে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে কোনোভাবেই বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি পরীক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ জানান।

No comments:

Post a Comment