ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ভোটযুদ্ধ আগামীকাল। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হবে। তিন সিটি মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে ৪৮ জন মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১ হাজার ১৮৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ই
সি)। রোববার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রচার। এখন অপেক্ষা ভোটের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তিন সিটি এলাকায় নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মাঠে নামানো হয়েছে বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় ৮০ হাজার সদস্য। ক্যান্টনমেন্টে প্রস্তুত রয়েছে তিন ব্যাটালিয়ন সেনা সদস্য। তাদের সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৬টি ক্যান্টনমেন্টে ১৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট অবস্থান করছেন। নির্বাচনে যে কোনো পরিস্থিতিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ডাকলে ম্যাজিস্ট্রেটদের সহায়তায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় মাঠে নামবেন সেনা সদস্যরা। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন প্রায় ৫০০ জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। খাতা-কলমে এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও বাস্তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি জোটের ব্যাপক তৎপরতা এ নির্বাচনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বিবেচনায় এ নির্বাচন ১৪ দলীয় জোটের কাছে মর্যাদার লড়াই এবং ২০ দলীয় জোটের কাছে সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করার সুবর্ণ সুযোগ। নির্বাচনে জয় পেতে দুই জোটই সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই জোটের এই অতিমাত্রার সম্পৃক্ততা ও নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে ভোটাররা শঙ্কার মেঘ দেখতে পাচ্ছেন। যদিও ‘উৎসবমুখর পরিবেশে’ ভোট গ্রহণ হবে- এমন আশা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন দাবি করেছে, অন্য যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় তিন থেকে চারগুণ বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে কমিশনের এমন বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছেন না বিরোধী মতের প্রার্থীরা। এরই মধ্যে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছে। এছাড়া নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তিন ব্যাটালিয়ন সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের একদিন পরই কমিশন ওই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সেনা সদস্যদের ক্যান্টনমেন্টে রিজার্ভ রাখার ঘোষণা ভোটারদের মধ্যে সংশয়-শংকার জন্ম দিয়েছে। রোববার পর্যন্ত গণসংযোগকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর, ঢাকা উত্তরে মেয়র প্রার্থী মাহী বি. চৌধুরী ও চট্টগ্রামে ২০ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলমসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনা ভোটারদের মনে নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা। সর্বশেষ ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচন বর্জন করে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। ভোটের লড়াইয়ে সহজে জয় পেয়ে যান বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা। ওই সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ ছিল ২০০৭ সালের ১৪ মে পর্যন্ত। ওই সময়ে নানান জটিলতায় আর নির্বাচন হয়নি। ২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ডিসিসিকে উত্তর ও দক্ষিণ- এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হলে মেয়র পদ হারান খোকা। এরপর থেকে প্রশাসকরা চালাচ্ছেন দুই সিটি কর্পোরেশন। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর ব্যালটের সিদ্ধান্তে ‘নগরপিতা’ পেতে যাচ্ছেন রাজধানীবাসী। অন্যদিকে চট্টগ্রাম সিটিতে সর্বশেষ ২০১০ সালের ১৭ জুন ভোট হয়। ৬০ লাখের বেশি ভোটার অধ্যুষিত তিন সিটিতে এবার রেকর্ড সংখ্যক এক হাজার ১৮৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৪৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮৯১ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৪৯ জন প্রার্থী হয়েছেন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বেশির ভাগ দল মেয়র পদে প্রার্থী সমর্থন দিয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থনে ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে আনিসুল হক, দক্ষিণে সাঈদ খোকন ও চট্টগ্রামে আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং বিএনপির সমর্থনে ঢাকা উত্তরে তাবিথ আউয়াল, দক্ষিণে মির্জা আব্বাস ও চট্টগ্রামে এম মনজুর আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি ঢাকা উত্তরে বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল, দক্ষিণে হাজী সাইফুদ্দিন আহম্মেদ মিলন ও চট্টগ্রামে মো. সোলায়মান আলম শেঠকে সমর্থন দিয়েছে। একইভাবে কাউন্সিলর পদেও প্রার্থী সমর্থন দিয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে তিন সিটিতেই আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একইভাবে বিএনপিরও এ রকম কিছুসংখ্যক প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচন কমিশন তিন সিটি নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জানিয়ে রোববার ইসি সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, আমরা সব ভোটারকে অনুরোধ করব তারা যেন ভোট কেন্দে গিয়ে ‘ফেসটিভ মুডে’ ভোট দেন। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। অন্য যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে তিন সিটি নির্বাচনে তিন থেকে চারগুণ বেশি আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকছে। আশা করি কোনো গোলমাল হবে না। হলে তা রোধ করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও প্রস্তুত থাকবে। প্রস্তুত ইসি : সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ভোট গ্রহণের জন্য প্রায় অর্ধলক্ষ প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচনী মালামাল প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে দেবেন। রাতে কেন্দ্রে ওই মালামালসহ অবস্থান করবে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা। সাধারণ কেন্দ্রে পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর ২২ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। এ নির্বাচনে বেশির ভাগ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক কেন্দ রয়েছে সেখানে পুলিশের সদস্য সংখ্যা ৭ জনের স্থলে ৬ জন থাকবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা : তিন সিটি কর্পোরেশন এলাকায় রোববার থেকে চার দিনের জন্য প্রায় ৮০ হাজার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মাঠে নেমেছেন। বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় টহল দিচ্ছেন। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ভোট গ্রহণ উপলক্ষে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে ২৬৮টি মোবাইল ফোর্স, ৬৬টি স্ট্রাইকিং ফোর্স, ২৬৮টি র্যাবের টিম, ১০০ প্লাটুন বিজিবি ও ৭ প্লাটুন কোস্টগার্ড সদস্য মাঠে রয়েছেন। তিন সিটিতে ২৪ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। বিজিবির প্রতি প্লাটুনের সঙ্গে ২ জন করে ২০০ জন, র্যাবের সঙ্গে ১৩৪ জন ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে ৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনে সেনা সদস্যদের ক্যান্টনমেন্টে রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেই রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অনুরোধে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করবেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ৯ম অধ্যায় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু সিভিল পাওয়ার’র সপ্তম ও দশম অনুচ্ছেদের ক্ষমতা ও নিয়ম অনুযায়ী সেনাবাহিনী পরিচালিত হবে। মোতায়েনকৃত সেনাবাহিনী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তা ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বেসামরিক প্রশাসনকে আইনশৃংখলা রক্ষায় সহায়তা করবে। এজন্য মিরপুর সেনানিবাসে ২ জন, পোস্তগোলা সেনানিবাসে ২ জন, ঢাকা সেনানিবাসে ৬ জন, দামপাড়া সেনানিবাসে ২ জন, হালিশহর সেনানিবাসে ২ জন ও চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ২ জনসহ মোট ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবস্থান করবেন। নির্বাচনী পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মনিটরিং সেল স্থাপন করা হবে। ঢাকা উত্তর : ঢাকা উত্তরে ১৬ জন মেয়র প্রার্থীসহ মোট ৩৮৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ সিটিতে সাধারণ ৩৬ ওয়ার্ডে ২৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত ১২টি ওয়ার্ডে ৯০ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনিসুল হক, বিএনপি সমর্থিত তাবিথ আউয়াল, জাতীয় পার্টি সমর্থিত বাহাউদ্দিন আহমেদ বাবুল ছাড়াও আবদুল্লাহ আল ক্বাফী, কাজী মো. শহীদুল্লাহ, চৌধুরী ইরাদ আহম্মদ সিদ্দিকী, নাদের চৌধুরী, মাহী বি. চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ, মো. আনিসুজ্জামান খোকন, মো. জামান ভূঞা, মো. জোনায়েদ আবদুর রহিম সাকী, মো. সামছুল আলম চৌধুরী, শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ ও শেখ শহিদুজ্জামান। এ সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১১ লাখ ২০ হাজার ৬৭৩ জন ও পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ২৪ হাজার ৭০১ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৯৩টি। ঢাকা উত্তরে ১৮ হাজার ৭৬৯ জন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা কাজ করবেন। এই সিটিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহ আলম এবং ১২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। ঢাকা দক্ষিণ : ঢাকা দক্ষিণে সাঈদ খোকন, মির্জা আব্বাস, হাজী মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন আহম্মেদ মিলনসহ ২০ জন মেয়র পদে লড়ছেন। সাধারণ ৫৭ ওয়ার্ডে ৩৯১ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও সংরক্ষিত ১৯টি ওয়ার্ডে ৯৭ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য মেয়র প্রার্থীরা হলেন- মো. গোলাম মাওলা রনি, আবু নাছের মুহাম্মদ মাসুদ হোসাইন, এএসএম আকরাম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আয়ুব হোসেন, এসএম আসাদুজ্জামান রিপন, দিলীপ ভদ্র, বজলুর রশীদ ফিরোজ, মশিউর রহমান, মোহাম্মদ শফি উল্লাহ চৌধুরী, মো. আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ, মো. আবদুর রহমান, মো. আবদুল খালেক, মো. জাহিদুর রহমান, মো. বাহারানে সুলতান বাহার, মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, মো. শহীদুল ইসলাম ও শাহীন খান। এ সিটিতে মোট ভোট কেন্দে র সংখ্যা ৮৮৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৭ জন ও পুরুষ ভোটার ১০ লাখ ৯ হাজার ২৮৬ জন। এই সিটিতে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করবেন ৮৮৯ জন। এই সিটিতে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ ও ১৯ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে আ জ ম নাছির উদ্দীন, এম মনজুর আলম ও মো. সোলায়মান আলম শেঠসহ মোট ১২ জন মেয়র পদে লড়ছেন। বাকি মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আরিফ মইনুদ্দীন, এমএ মতিন, মোহা. শফিউল আলম, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আলাউদ্দিন চৌধুরী, মো. ওয়ায়েজ হোসেন ভূইয়া, সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি, সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা ও হোসাইন মুহাম্মদ মজিবুল হক। চট্টগ্রাম সিটিতে ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৬২ জন ও ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২১৭ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬ ও পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ জন। ভোট কেন্দে র সংখ্যা ৭১৯টি। চট্টগ্রামে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করবেন ৭১৯ জন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন। ইসির ৪৫ গোপন পর্যবেক্ষক : তিন সিটিতেই ভোট কেন্দ পাহারায় গোপন পর্যবেক্ষক হিসেবে ৪৫ কর্মকর্তাকে নিয়োগ করেছে ইসি। কমিশনের তথ্যমতে, ঢাকা দক্ষিণে ১৯ জন, উত্তরে ১২ জন এবং চট্টগ্রামে ১৪ জন কর্মকর্তা এ দায়িত্ব পালন করবেন। এ তালিকায় রয়েছে থানা নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে জেলা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। এ কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের মতোই বিভিন্ন ভোট কেন্দে গিয়ে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা, ভোটার এবং প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করবেন। কেন্দ্রের ভেতর কিংবা বাইরে কোনো অসঙ্গতি দেখলে তাৎক্ষণিক রিটার্নিং অফিসার এবং কমিশনকে জানাবেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments:
Post a Comment