রাজধানীতে গত ৮ মে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ওই সময় এক ব্যক্তি এসে ধাক্কা দেয় ওই ব্যবসায়ীর শরীরে। প্রতিবাদ করার আগেই ব্যবসায়ীকে উল্টো ধমক দিয়ে ওই ব্যক্তি অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। ব্যবসায়ী প্রতিবাদ করলে তাঁকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একই সময় আরো চার-পাঁচ যুবক এসে ব্যবসায়ীকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে অস্ত্র দেখিয়ে ব্যবসায়ীর কা
ছ থেকে টাকা, মোবাইল ফোন সেটসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে পাশের গলি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। জনাকীর্ণ এই এলাকায় অন্য সময় পুলিশ থাকলেও ঘটনার সময় কেউ ছিল না। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'পুলিশের উদাসীনতার কারণেই ছিনতাইকারীরা আমার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।' একই দিন দুপুর ২টায় উত্তরায় মাসকট প্লাজার সামনে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। অন্য সময় সেখানে পুলিশ থাকলেও ঘটনার সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। এ দুটি ঘটনার মতোই সারা দেশে নানা রকম অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের টহল কমে গেছে। চেকপোস্টে যানবাহনেও তল্লাশি করা হচ্ছে না। বসে গল্প-গুজব করে সময় পার করে দিচ্ছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা। ফলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অপরাধ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ ভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। থানায় মামলার সংখ্যাও বেড়েছে। মাঝেমধ্যে পুলিশও ঘায়েল হচ্ছে। শাসক দলের নাম ভাঙিয়ে সরকারি জায়গাসহ সাধারণ মানুষের সহায়-সম্পত্তি দখল করা হচ্ছে। গত ৭ মে এক দিনেই সারা দেশে ১৭ জন খুন হয়েছে। এখন সরকারবিরোধী আন্দোলন না থাকায় নিরাপত্তা শিথিল হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগী ও বিশ্লেষকরা। জোরালো অভিযান না থাকায় তালিকাভুক্ত অপরাধীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে অব্যাহত আছে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযান। পুলিশের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের ১৩৬ দিনে (১ জানুয়ারি থেকে ১৬ মে পর্যন্ত) সারা দেশে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৫৯ হাজার ১০৬টি। এসবের মধ্যে হত্যাকাণ্ড এক হাজার ৪৮৮, নারী নির্যাতনের ঘটনা ছয় হাজার ৩০১, অপহরণ ২৮১ ও চোরাকারবারের ঘটনা দুই হাজার ১৬৭টি। ২০১৪ সালের প্রথম ১৩৬ দিনে সারা দেশে ফৌজদারি অপরাধে মামলা হয়েছিল ৪৯ হাজার ২৭০টি। ওই সব অপরাধের মধ্যে ছিল হত্যাকাণ্ড এক হাজার ৯২, নারী নির্যাতন পাঁচ হাজার ১৩৪, অপহরণ ৩৫৩টি ও চোরাকারবার এক হাজার ৯৮৩টি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় গত মাসের শেষ সপ্তাহে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক বিশেষ বৈঠকে পুলিশের কাছে এর কারণ জানতে চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই বৈঠকে বলা হয়, টহল বাড়িয়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি ও অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। যে থানা এলাকায় অপরাধের ঘটনা বাড়বে, সেখানকার সংশ্লিষ্ট শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে জবাবদিহি করতে হবে। প্রয়োজনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে পরিস্থিতি ঠিক রাখতে পুলিশ সুপারদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে। জানা যায়, এসব নির্দেশনার পরও প্রতিদিন ঘটছে হত্যাকাণ্ড, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনা। অভিযোগ উঠেছে, অপরাধীরা ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে ফায়দা লুটছে। তাদের ব্যাপারে পুলিশ জেনেও না জানার ভান করছে। আবার কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তার দলবাজির কারণে অপরাধীরা থাকছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁরাও উদ্বিগ্ন। তাঁদের দাবি, দেশে বড় ধরনের কিছু ঘটার পরপরই শাসক দলের নেতারা পুলিশকে ব্যবহার করে ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে চেষ্টা করেন। ফলে আসল অপরাধীরা গা ঢাকা দেয়। এ সময় বিভিন্ন স্থানে একাধিক চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সাভারের আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতি ও হত্যা, চট্টগ্রাম ও গাজীপুরে মা-মেয়েকে জবাই করায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীদের মতে, মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা ঠিকভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন না। পাড়া-মহল্লায় ও অলিগলিতে থানা পুলিশের টহল নেই। নেই কোনো বিশেষ অভিযান। অপরাধ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। হত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণ, মাদক ব্যবসাসহ অপরাধের ঘটনা তদন্তে মনোযোগ নেই তাদের। একশ্রেণির পুলিশ কর্মকর্তা নিজেদের 'আখের গোছাতে' ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের খুশি করতে ব্যস্ত থাকছেন সারাক্ষণ। অপরাধী যে দলেরই হোক তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করতে হবে পুলিশকে। র্যাবের অভিযান আরো জোরদার করতে হবে। পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। তাহলেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশ ও র্যাব স্বাধীনভাবে কাজ করলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার সুযোগ নেই। তাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। ডিউটির রোস্টার বাড়াতে হবে। অভিযান জোরদার করতে হবে। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, অপরাধীরা এখন মনে করছে, ক্ষমতা আর অস্ত্র থাকলে সহজেই পার পাওয়া যায়। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠালেও তারা জামিনে বেরিয়ে আবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে বলেও তিনি মনে করেন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সম্প্রতি হত্যাকাণ্ডসহ কিছু ঘটনা ঘটেছে। তার মানে এই নয় যে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই আছে। পুলিশকে কোনো রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না। অনেকটা স্বাধীনভাবেই তারা কাজ করে। পুলিশের মধ্যে জবাবদিহিতা আছে। পুলিশের মধ্যে থেকে কেউ অপরাধ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।' পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হকও দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। হত্যাকাণ্ডসহ যেসব অপরাধ ঘটেছে, সেগুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশি টহল ও অভিযান চলছে। তালিকাভুক্ত অপরাধীও গ্রেপ্তার হচ্ছে। ঢাকার কয়েকটি থানা এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আগে যেখানে পুলিশের টহল বা চেকপোস্ট ছিল এখন তা নেই। পাশাপাশি অভিযানও নেই। গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে দেখা যায়, পুলিশের ভ্যানে থাকা সদস্যরা ঘুমিয়ে আছেন। আর এই সুযোগে এক রিকশা আরোহীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নেয় ছিনতাইকারীরা। ওই আরোহীর চিৎকারে পুলিশের ঘুম ভাঙলেও ততক্ষণে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গত ৯ মে শনিবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বারিধারা ডিওএইচএসের প্রবেশপথে দেখা গেছে, সেখানে পুলিশ বক্সের সামনে বসে মোবাইল ফোনে গেমস খেলছেন দুই পুলিশ সদস্য। তাঁদের যানবাহনে তল্লাশি করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে না। গত ৬ মে রাত সাড়ে ১২টায় উত্তরা নর্থ টাওয়ারের সামনে বসে গল্পগুজব করতে দেখা যায় কয়েক পুলিশ সদস্যকে। অথচ তাঁদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানবাহনে তল্লাশি করার কথা। এ প্রসঙ্গে একটি থানার ওসি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'দীর্ঘদিনের হরতাল-অবরোধের কারণে আমরা এখনো বেশ ক্লান্ত। মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা ঢিলেঢালাভাবেই ডিউটি করছে তা সত্য। সম্প্রতি আমাদের কাছে নির্দেশনা এসেছে, এলাকায় কোনো ঘটনা ঘটলে তার দায়দায়িত্ব ওসি হিসেবে আমার ওপর বর্তাবে। এ কারণে একটু আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। আগের চেয়ে টহল বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করার নির্দেশ এসেছে।' জানা যায়, গত ৭ মে এক দিনেই সারা দেশে খুন হয়েছে ১৭ জন। চট্টগ্রামে মা ও মেয়েকে জবাই করা হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ঢাকায় যাত্রাবাড়ীর মীরহাজিরবাগে বিল্লাল হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ফরহাদ নামের এক যুবক খুন হন। সাতক্ষীরায় শিশু শাওনকে পুকুরে চুবিয়ে হত্যা করা হয়। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামে এক কলেজছাত্রকে নিজ ঘরে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। খুলনার খালিশপুরে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। নারায়ণগঞ্জে কুপিয়ে হত্যা করা হয় লুৎফা বেগম নামের এক নারীকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় কলেজছাত্র সায়েমকে পিটিয়ে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় মারা যান আবদুর রশিদ। একই দিন উল্লাপাড়া উপজেলায় ভ্যানচালক আসাদুজ্জামান লেদুকে হত্যা করা হয়। কুমিল্লায় খুন হন গৃহকর্মী রিনা আক্তার। ওই বাসার কর্তা হলেন ফেনীর ফুলগাজী থানার এএসআই আবু জাহের। লালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে বুলবুল নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়। ঢাকার মোহাম্মদপুরে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে গুলি করে প্রায় আট লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। এর তিন দিন আগে নারায়ণগঞ্জে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ৩ মে জয়পুরহাট জেলা যুবদলের সহসম্পাদক আফজাল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন টাঙ্গাইলে ইদ্রিস আলী, যশোরে হোসেন আলী, রাজবাড়ীতে সোবহান খান, ধামরাইয়ে অচেনা যুবক এবং সোনারগাঁয় এক তরুণীকে জবাই করা হয়। ২৩ এপ্রিল গাজীপুরের শ্রীপুরে জবাই করা হয় হাসুনী বেগম ও তাঁর মেয়ে আরিফা খাতুনকে। ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় সন্দেহভাজন শফিউর রহমান ফারাবীকে গ্রেপ্তার করা হলেও খুনিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর রামপুরায় নিজ বাসা থেকে ইত্তেফাকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক প্রয়াত আখতার-উল-আলমের মেয়ে ফাহমিদা আখতার বিথুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিন মাসেও হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়নি। ১০ মার্চ বিদ্যুৎ ভবনে টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে মারামারি ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। একই দিন রাজউকে প্রকৌশলীর দপ্তরে ভাঙচুর চালায় টেন্ডারসন্ত্রাসীরা। ৬ মার্চ পল্লবীর বিহারি ক্যাম্প এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। গত ৮ মে রামপুরায় মিন্টু নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের প্রহরী মো. ইব্রাহিমকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। ওই রাতে চটগ্রামে আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের প্রহরী মো. ইব্রাহিমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। সে ঘটনায় যুবলীগের লোক জড়িত বলে পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। গত ১৩ মে পল্লবীতে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে বাসায় ঢুকে ডেসকোর প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী সুইটি বেগম ও তাঁর মামা আমিনুল ইসলামকে জবাই করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
No comments:
Post a Comment