Thursday, May 7, 2015

ব্রিটিশ স্কুলশিশুরাও ‘ভোট’ দেবে:প্রথম অালো

লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ব্রিটিশ শিক্ষার্থী জেফ্রে। তার বয়স মাত্র ১৩ বছর। এই বয়সেই জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার পেয়েছে সে! আসলে তা নয়। আজ বৃহস্পতিবারের জাতীয় নির্বাচনে নয়, জেফ্রে ভোট দেবে তার স্কুলে আয়োজিত একটি ‘প্রতীকী’ নির্বাচনে। ‘ব্রিটিশ মূল্যবোধ’ এগিয়ে নিতেই এই আয়োজন। খবর এএফপির। দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের লিউয়িশামের একটি মাধ্যমিক স্কুলে চলছিল নির্বাচনের বিষয়বস্তুযুক্ত সমাবেশ। সেখানে জড়
ো হওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্কুলটির সহকারী প্রিন্সিপাল জিওফ রবার্টস বললেন, ‘যদিও এবারের নির্বাচনে বৈধভাবে ভোট দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বয়স তোমাদের হয়নি, কিন্তু ২০২০ সালের নির্বাচনেই তোমরা ভোট দিতে পারবে। সুতরাং, একটা প্রস্তুতি হিসেবে আমরা একটি ব্যালট বাক্স ও কিছু ভোট বুথ পেতে যাচ্ছি। তোমরা তোমাদের পছন্দমতো দলকে ভোট দিতে পারবে।’ এই ‘প্রতীকী’ ভোট অনুষ্ঠিত হবে আজ বৃহস্পতিবারই। ফল প্রকাশ হবে কাল শুক্রবার। একই দিন যুক্তরাজ্যবাসী জানতে পারবে এবারের জাতীয় নির্বাচনের ফলও, যেটাকে বলা হচ্ছে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ‘অনিশ্চিত ফলাফলের’ নির্বাচন। স্কুলটির ওই শিশু শিক্ষার্থীরা আগে দেশের রাজনীতি সম্পর্কে জানবে। এর পরই তারা ভোট দেবে। মার্গারেট থ্যাচার, টনি ব্লেয়ারসহ অতীতের নেতাদের সম্পর্কে পড়তে পড়তে ১৪ বছর বয়সী ফুয়াদ বলল, ‘আমরা অতীতের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে কথা বলছি। আলোচনা করছি একজন ভালো নেতাকে ভোট দেওয়ার গুরুত্ব কতটা, তা নিয়েও। কারণ, যুক্তরাজ্যে কী ঘটবে, সেই সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেবেন।’ জেফ্রে জানাল, সে লেবার পার্টিকে ভোট দিতে চায়। কারণ, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ (টিউশন ফি) কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ক্যামেরন সরকারের আমলে টিউশন ফি বেড়ে এক বছরে প্রায় নয় হাজারে পৌঁছে গেছে। নিজে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে, তখন টিউশন ফি কমানো হবে প্রত্যাশা করে সে বলল, ‘আমি আশা করছি, তখন এটা নয় হাজারের অনেক কম হবে।’ ২০১৪ সাল থেকে ব্রিটিশ মূল্যবোধ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের স্কুলগুলোর একটা দায়িত্ব রয়েছে। সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা বা এ-জাতীয় ভাবধারা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে সরকারি উদ্যোগের অংশ এটা। জাতীয় পতাকা উত্তোলন বা জাতীয় সংগীত গাওয়া এর আওতাভুক্ত নয়। তবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা এগিয়ে নেওয়া এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও অন্য ধর্মবিশ্বাসের মানুষের প্রতি সহনশীলতা জাগিয়ে তুলতে প্রতিটি ব্রিটিশ স্কুলের জন্য এটা দরকার বলে মনে করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। স্কুলটির ভাইস প্রিন্সিপাল মারভিন চার্লস বলেন, ‘আমি মনে করি, একটি অভিন্ন সংস্কৃতি গড়ে তুলতেই এই সরকারি কর্মসূচি। তারা মানুষের মাঝে আত্মপরিচয় বোধ ও দেশের সঙ্গে একাত্মতার অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে চায়।’

No comments:

Post a Comment