Tuesday, May 12, 2015

কোন্দলে জর্জরিত আওয়ামী লীগ:কালের কন্ঠ

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অনেক নেতাকর্মীই এখন ক্ষমতার সুফল হিসেবে কী পেলেন সে অঙ্ক কষছেন। এতে দলটিতে অন্তঃকোন্দল বাড়ছে। মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের নেতাদের দূরত্বও বাড়ছে। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সংগঠনের চেয়ে প্রশাসনের ওপর বেশি নির্ভর করছে সরকার। প্রশাসন দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা কর
ে আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের সংগঠন গোছানোয় মনোযোগ নেই। ফলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল দিন দিন বেড়েই চলেছে। আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদ চলছে, এটি যেন আমাদের নীতিনির্ধারকরা ভুলে গেছেন। দলের যে লোকগুলো গত পাঁচ বছরে সরকারের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, এখনো তাঁরা সে জায়গাতেই আছেন। সরকারের নতুন মেয়াদেও দলের বঞ্চিতরা বঞ্চিতই থাকছেন। এর ফলে অনেক নেতাকর্মী মনঃক্ষুণ্ন হয়ে সংগঠনের কাজে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন, আবার অনেকে বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। এতে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।' দলীয় সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কলহের বিষয়টি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফুটে ওঠে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আহ্বান ও হুমকি সত্ত্বেও তিন সিটিতে কাউন্সিলর পদে প্রায় ২০০ জন নেতাকর্মী বিদ্রোহী প্রার্থী হন। এটা শুধু আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাদের দ্বন্দ্ব বা অসন্তোষের ফল নয়, বিদ্রোহের পেছনে দলের অনেক কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্যের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ আছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতপার্থক্যের কারণে অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। দফায় দফায় বৈঠক করেও একাধিক মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নেতা এ দ্বন্দ্ব মেটাতে পারেননি। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা এত ভোট পাবেন, তা ভাবেননি আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। তাঁরা নির্বাচনের পর অনানুষ্ঠানিক একাধিক বৈঠকে বিএনপির বিপুল ভোট পাওয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন। এসব বৈঠকে বিএনপি এত জ্বালাও-পোড়াও করার পরও জনগণ কিভাবে বিএনপিকে ভোট দেয়, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়। এসব আলোচনায় বিএনপির এত ভোট পাওয়ার পেছনে ভোটারদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিবাদ ও সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়ও উঠে আসে। দলীয় একটি সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ সামনে এলেও বেশ কিছুদিন ধরেই দলের বিভিন্ন পর্যায়ে এ বিরোধ চলছে। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন; কিন্তু মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। আবার মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকজন আছেন, যাঁদের দলে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেই। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার মধ্যে ক্ষোভ আছে। কেন্দ্রীয় কমিটির পদ নিয়েও নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নেতাদের মধ্যে দুটি পৃথক বলয় সক্রিয় রয়েছে। নেতাদের এ বিভাজনের প্রভাব তৃণমূল পর্যন্ত পড়ছে। এ ছাড়া দপ্তর সম্পাদক পদ নিয়ে দেড় বছর ধরে দুই নেতার মধ্যে তীব্র বিরোধ চলছে। দলের সর্বশেষ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন আব্দুল মান্নান খান। সরকারের গত মেয়াদে প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মান্নান খানের নানা দুর্নীতি ও সমালোচনার কারণে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে ড. আব্দুস সোবহান গোলাপকে দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মান্নান খানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। ফলে দুই নেতাই নিজেকে প্রকৃত দপ্তর সম্পাদক দাবি করে থাকেন। এ নিয়ে সম্প্রতি আওয়ামী লীগের একটি আলোচনা সভায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আলোচনা সভায় উপপ্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল উপস্থিত নেতাদের পরিচিতি উপস্থাপনের সময় মান্নান খানকে দপ্তর সম্পাদক পরিচয় দেন। এতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত আব্দুস সোবহান গোলাপ ক্ষিপ্ত হন ও উচ্চ স্বরে আপত্তি জানাতে থাকেন। এতে আলোচনায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা সবাই বিব্রত হয়। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সরকারের নতুন মেয়াদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে। অনেক জায়গায় সাবেক সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বর্তমান সংসদ সদস্যদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব বেড়েছে। এসব দ্বন্দ্বের প্রভাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ছে। অনেক জায়গায় তারা নিজেদের মধ্যে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। সম্প্রতি দিনাজপুরে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ছাত্রলীগের দুই কর্মী মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতার সঙ্গে স্থানীয় এক সংসদ সদস্যের দ্বন্দ্ব। দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে কোন্দল বেড়েছে। মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবারের সিটি নির্বাচনে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এ নিয়ে মায়ার ওপর বিরক্ত আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারক নেতা। আবার দীর্ঘদিন ধরে নগরের নেতৃত্ব দিয়ে আসা মায়া ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা মহানগরের নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন। এ নিয়ে মায়া ও তাঁর অনুসারী নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। নগরের বিভিন্ন এলাকার সংসদ সদস্যদের মধ্যেও বড় ধরনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বৃহত্তর মিরপুরে তিন সংসদ সদস্য- কামাল মজুমদার, আসলামুল হক ও ইলিয়াস মোল্লা কেউ কারো ছায়া পর্যন্ত মাড়াতে চান না। এ ছাড়া আসলামুল হকের সঙ্গে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দ্বন্দ্ব চরমে রয়েছে। জানা গেছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ হওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগরে আওয়ামী লীগের পুরনো কোন্দল আরো বেড়েছে। দলের প্রবীণ নেতারা প্রাপ্তির হিসাব মেলাতে না পেরে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। নির্বাচনের সময় দল সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছিরের পক্ষে দায়সারাভাবে অনেকে মাঠে নামলেও এখন আবার নগরের নেতারা পরস্পর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। শনিবার ঢাকায় মেয়র হিসেবে শপথ নিয়ে ফেরার পথে নাছিরকে শাহ আমানত বিমানবন্দরে সংবর্ধনা দেয় নাগরিক কমিটি। সেই অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সহসভাপতি ডা. আফসারুল আমিন ও নুরুল ইসলাম বিএসসি, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সালামের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। জেলা ও থানা পর্যায়েও অন্তঃকলহের আগুনে পুড়ছে আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, মৌলভীবাজারে সমাজকল্যাণমন্ত্রী মহসিন আলীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব রয়েছে উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদের। গাইবান্ধায় তীব্র কোন্দল রয়েছে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপনের মধ্যে। খুলনায় দ্বন্দ্ব চলছে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের মধ্যে। রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাটের একাধিক নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। রাজশাহীর পবা-মোহনপুরের সংসদ সদস্য আয়েনউদ্দিনের সঙ্গে সেখানকার সাবেক সংসদ সদস্য মেরাজউদ্দিন মোল্লার দ্বন্দ্ব চরমে রয়েছে। সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের তরুণ নেতারাও দলের ওপর ক্ষুব্ধ। সরকারের গত মেয়াদে সাবেক ছাত্রনেতাদের মধ্য থেকে কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬৬ জনকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটিতে সহসম্পাদক করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল সাবেক ছাত্রনেতাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজে লাগানো। কিন্তু পরে এই ছাত্রনেতাদের কোনো সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। উল্টো কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যসংখ্যা আরো কয়েক শ বাড়ানো হয়। এতে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার ব্যক্তিগত কর্মচারীও স্থান পান। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সাবেক ছাত্রনেতারা। প্রথম দফায় সহসম্পাদক হওয়া প্রায় সব নেতাই নিজের সাংগঠনিক পরিচয় দিতে লজ্জা পান। একসময়ের ডাকসাইটে এসব ছাত্রলীগ নেতা এখন দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ। একাধিক সহসম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, সহসম্পাদকদের অনেকেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক। অথচ তাঁদের সঙ্গে একই পদ দেওয়া হয়েছে কোনো কোনো কেন্দ্রীয় নেতার বাসায় বাজার করে দিতেন এমন লোককেও। এক-দুজন কেন্দ্রীয় নেতা দলে তাঁদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এসব করে সংগঠনের ক্ষতি করছেন বলে অভিযোগ আছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মন্ত্রী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএনপি জোট আন্দোলনের নামে যেভাবে নাশকতা চালিয়েছে, তা দমনে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের অন্য শক্তিগুলোর ওপর বেশি নির্ভর করেছে, এটি সত্য। কিন্তু দলকে গুরুত্ব দিচ্ছে না, এমন নয়। আওয়ামী লীগ অনেক বড় একটি দল। ক্ষমতায় থাকার ফলে নেতাকর্মীরা নানা ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা চায়; কিন্তু সবার চাহিদা পূরণ সম্ভব হয় না। এ কারণে কিছু নেতাকর্মী মনঃক্ষুণ্ন থাকতে পারে, এটা অস্বাভাবিক নয়।' প্রায় একই রকম মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এক সদস্য বলেন, তবে সংগঠনের বিরোধ মেটানোয় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের জোরালো উদ্যোগ নেই। আরেক মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'বর্তমান সরকারের বেশির ভাগ অর্জনই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার একক কৃতিত্ব। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও আওয়ামী লীগের নেতারা সরকারকে তেমন সহযোগিতা করেননি। তাঁরা বেশির ভাগই নিজেদের আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত। এ কারণে সরকারের সাফল্য, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলো সম্পর্কে তৃণমূলে জনগণকে সচেতন করা যায়নি।' তিনি আরো বলেন, 'কোনো নেতা যদি নিজের মতো করে দল গোছানোর কাজ করতেন, তাহলে তাঁকে কি কেউ নিষেধ করত?' জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এটা ঠিক যে সরকারে থাকায় আমরা সংগঠনের দিকে পুরো মনোযোগ দিতে পারিনি। বেশ কিছুদিন আগে সম্মেলন হলেও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এখনো কমিটি গঠন হয়নি। সম্প্রতি তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ হলো। এখন আগামী কয়েক মাস আমরা সংগঠন গোছানোর দিকে মনোযোগ দেব।' জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আওয়ামী লীগ অনেক বড় একটি দল। এখানে অনেক নেতার ছোটখাটো পছন্দ-অপছন্দ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। তবে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় আওয়ামী লীগে দ্বন্দ্ব এখন কম। আমরা দল গোছানোর জন্য বেশ কিছুদিন ধরে মনোযোগী হয়েছি। বিভিন্ন জেলায় নতুন কমিটি গঠন হচ্ছে। ক্ষমতায় থাকার কারণে দল গোছানো হচ্ছে না, এ কথা ঠিক নয়।'

No comments:

Post a Comment