Wednesday, October 22, 2014

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার বর্ণনা দিলেন বাবুর্চি:প্রথম অালো

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ১০ বছরের মাদ্রাসাছাত্র আবু রায়হানকে একই মাদ্রাসার বাবুর্চি শাহ আলম (৩৫) গলা কেটে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় ঢাকা জেলা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে শাহ আলম নিজেই ওই হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগরে তাহফিজুল নূরানি হাফেজি মাদ্রাসার রান্নাঘরে গত সোমবার স
কালে শিশু আবু রায়হানের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। ওই দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহ আলমকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহ আলম হত্যার কথা স্বীকার করেন। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বক্তব্য দেন। সংবাদ সম্মেলনের আগে শাহ আলমকে মিডিয়া সেন্টারে আনা হয়। সেখানে শাহ আলম হত্যার বর্ণনা দেন। এ সময় তাঁর চোখের পাতাও পড়ছিল না। তিনি বলেন, গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রায়হান তাঁর ঘরের সামনে দিয়ে বাথরুমে যাচ্ছিল। তখন তিনি শিশুটিকে জোর করে ধরে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে বলাৎকার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সে চিৎকার করতে চাইলে তার বুকের ওপর চেপে বসেন। এরপর রান্নাঘরে রাখা বঁটি দিয়ে গলায় পোঁচ দেন। পরে বঁটির গায়ে লেগে থাকা রক্ত টুকরো কাপড় দিয়ে মুছে কাপড়টি ময়লার মধ্যে ফেলে দেন। তিনি খালি গায়ে ও লুঙ্গি পরা ছিলেন। তাঁর শরীর ও লুঙ্গিতেও রক্তের ছিটা লেগেছিল। তিনি নিজের শরীর থেকে রক্ত ধুয়ে ওই লুঙ্গি পরেই নিজের বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কেন এ কাজ করলেন, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে শাহ আলম বলেন, ‘আমি বলতে পারি না। তবে রক্ত দেখে আমার মনে হইছে এইটা আমি কী করলাম। আমার আতঙ্ক হইছে। এরপর আমি হাত-মুখ ধুয়ে শুয়ে পড়ছি।’ পুলিশ জানায়, ওই মাদ্রাসায় পাঁচ মাস ধরে ছয় হাজার টাকা বেতনে রান্নার কাজ করেন শাহ আলম। এর আগে তিনি মিরপুরে একটি মাদ্রাসায় কাজ করতেন। সেখানেও এক শিশুশিক্ষার্থীর ওপর তিনি নিপীড়ন চালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি দেড় বছর আগে বিয়ে করেছেন। তাঁর স্ত্রী নয় মাসের সন্তানসম্ভবা। ৫ অক্টোবর উত্তরায় স্কুলছাত্র জুবায়ের আহমেদকে (১৭) হত্যার অভিযোগে আলজেরীয় নাগরিক আবু ওবায়েদ কাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে জুবায়েরকে পুকুরে চুবিয়ে হত্যা করেছেন আবু ওবায়েদ।

No comments:

Post a Comment