প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের আদালতগুলোতে ধারণক্ষমতার বাইরে বেশি মামলা দায়েরের কারণে মামলাজট তৈরি হয়েছে। মামলাজট কমাতে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত বিচারক, জনবল নিয়োগ ও আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে মামলাজট থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের স
প্তদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারকেরা সর্বদা মানুষের কল্যাণ সাধন ও ন্যায়বিচারে নিয়োজিত আছেন। তিনি বলেন, যে দেশে গুণীর কদর হয় না সে দেশে গুণী জন্ম নেয় না। মরহুম এম এ ওয়াজেদ মিয়া জাতীয় সমন্বিত উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় আগামী প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে এ ফাউন্ডেশনকে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের সভাপতি খন্দকার আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, কবি শেখ হাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ইকবাল আরসালান। এতে আরো বক্তব্য রাখেন অজয় দাশ গুপ্ত, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম ও অধ্যাপক মাহফুজা খানম। ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি করতে প্রধানত প্রয়োজন মানবসম্পদ ও পুঁজি। বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ রয়েছে। আমাদের দেশে এখন ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পাঁচ কোটি লোক রয়েছে। তাদের ভোকেশনাল শিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নেয়া সম্ভব। একই সাথে দেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন করা প্রয়োজন। কৃষিতে আমরা ইতোমধ্যেই উন্নয়ন করেছি। এখন দরকার শিল্প উন্নয়ন। এর মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব হবে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বিষয়ে তিনি বলেন, দুই দেশেরই কিছু সমস্যা রয়েছে। তারপরও মনে হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে বরফ গলছে বিপুলভাবে।
No comments:
Post a Comment