Friday, May 15, 2015

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনে টাস্কফোর্স কেন নয়?:প্রথম অালো

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে র্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতনের ঘটনা খতিয়ে দেখতে একটি স্থায়ী টাস্কফোর্স কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ রুল দেন। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজ
ীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী গত ১২ মে এ রিট আবেদনটি করেন। বাংলা বর্ষবরণের দিন নারী লাঞ্ছনার বিচার চাইতে গিয়ে গত ১০ মে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ও মারধরের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আবেদনটি করা হয়। গতকাল আদালতে এই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সমিতির সভাপতি ফাওজিয়া করিম। সঙ্গে ছিলেন সমিতির সহসভাপতি সীমা জহুর ও ফিরোজা পারভীন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম। আমাতুল করীম প্রথম আলোকে বলেন, টাস্কফোর্স গঠনের পাশাপাশি আদালত জানতে চেয়েছেন, দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা এবং মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণা সমুন্নত রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না। সংবিধানের ৩১ এবং ৩৬ থেকে ৩৯ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত এসব মৌলিক অধিকারের উল্লেখ রয়েছে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারসহ পাঁচ বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটা ও মারধরের ঘটনায় রুল দেন। গত ১২ মে দেওয়া আদেশে হাইকোর্ট জানতে চেয়েছেন, লাঠিপেটার ওই ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৪ জুনের মধ্যে আইজিপিকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। বর্ষবরণের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে। লাঞ্ছনাকারী ও নিপীড়কদের গ্রেপ্তার, শাস্তি প্রদানসহ ছয় দফা দাবিতে ১০ মে দুপুরে ডিএমপির কার্যালয় ঘেরাও করতে গিয়েছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। তবে ডিএমপির কার্যালয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশ তাঁদের বেধড়ক মারধর করে। ছাত্র ইউনিয়ন জানায়, পুলিশের লাঠিপেটা ও মারধরে তাঁদের ৩৪ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

No comments:

Post a Comment