রাজশাহীতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ঈদ সামনে রেখে এখন জমজমাট রাজশাহীর ঈদ বাজার। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সারতে মানুষ ভিড় করছে নগরীর বিপণিবিতানগুলোয়। দিনভর এমনকি মধ্য রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। নগরীর ফুটপাথ থেকে শুরু করে অভিজাত শপিংমল সর্বত্র মানুষের ভিড়। ছেলেদের পোশাকের দোকান থেকে শুরু করে মেয়ে আর শিশুদের দোকানে এখন পা ফেলা দায়। তবে নগরীর বিভিন্ন ফুটপাথ থেকে শুরু করে বিপণিবিতান ও ফ্যাশন
হাউজগুলো ছেয়ে গেছে বিদেশী পোশাকে। বেচাকেনাও হচ্ছে ব্যাপক। পাখি, রাশি, হাউজফুল, রংবাজ, খোকা-৪২০, ময়ূর পাখি, গভীর জলের ফিশ, চেন্নাই এক্সপ্রেস, মনে রেখো, ঝিলিক, পার্বতী, রামলীলা, প্যাজু, লাভোরিয়া-ভারতীয় হিন্দি ছবি, আইটেম সং কিংবা ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় নারী চরিত্রের নামে পোশাকের ‘পোশাকি’ নামকরণ। আর এসব নামেই বুঁদ রাজশাহীর তরুণ-তরুণীরা। বাহারি নাম দিয়ে পোশাকগুলো ফ্যাশন হাউজের ডিসপ্লেতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কেনাকাটা করতে আসা কিশোরী ও তরুণীদের অনেকেই ওই সব নামের পোশাকগুলোর খোঁজ করছেন, সে জন্য এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান বিক্রয়কর্মীরা। নগরীর আরডিএ মার্কেট, নিউমার্কেট, গণকপাড়া, হকার্স মার্কেটসহ নগরীর বিভিন্ন বিপণিবিতানে দেখা গেছে কেনাকাটার ধুম। সমান ভিড় স্পার্কগিয়ার, ফড়িং, আয়োটা ও সপুরার শপিংমল ও সিল্ক হাউজগুলোয়। ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ‘ঝিলিক’ থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায়। বাহামনি শাড়ি ও থ্রিপিসের দাম এক হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত। রাশি থ্রিপিস এক হাজার ২০০ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা। রাশি শাড়ি, টাপুর-টুপুর শিশুদের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। বডিগার্ড টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। চায়না শার্ট ও গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত। আরডিএ মার্কেটের একাধিক দোকান মালিক জানান, ঈদ উপলে তাদের আনা স্টিচ থ্রিপিসগুলো শবেবরাতের পর থেকে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। তবে তৈরী পোশাক রোজার দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বেচাকেনা হচ্ছে। অভিজাত ফ্যাশন হাউজগুলোয় ভারতের রাজস্থানে তৈরি সোনিয়া, গঙ্গা, কাশিস, ফোরাল, রিভা নামে পোশাকের দাম হাঁকা হচ্ছে পাঁচ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ভারতীয় সুতি থ্রিপিসগুলো বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার থেকে আট হাজার টাকায়। এ দিকে, স্বল্প আয়ের মানুষের মার্কেট বলে পরিচিত নগরীর গণকপাড়ার দু’টি মার্কেটে ঈদ উপলে ছেলেদের বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, জুতা, প্যান্ট পিস এবং মেয়েদের হরেক রকমের জামা, থ্রিপিস উঠেছে। এ মার্কেটে সাধারণত কেনাকাটা করতে আসেন স্বল্প আয়ের মানুষ; কিন্তু এবার দাম অনেকটা নাগালের বাইরে বলে জানান ক্রেতারা।
No comments:
Post a Comment