মিরপুরের কালসী কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পে আগুনে ও গুলিতে নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভা ও তাদের রূহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল জুমার পর থেকে শত শত বিহারি কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পের সামনে কুর্মিটোলা সড়কের একাংশ অবরোধ করে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন এসপিজিআরসি সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সহসভাপতি মোস্তাক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন পাচু, যুগ্ম সাধা
রণ সম্পাদক মুন্না হোসেন প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ১৪ জুন কুর্মিটোলা বিহারি ক্যাম্পে স্থানীয় এমপি ইলিয়াস মোল্লার লোকজন আগুনে পুড়িয়ে ৯ জনকে ও পুলিশ গুলি করে একজনকে খুন করে। এক মাসের বেশি সময় পার হলেও পুলিশ আজ পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ উল্টো বিহারিদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। তারা বলেন, ঘটনার পর ঢাকা জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ও ক্ষতিগ্রস্ত ঘর পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন। অথচ আজ এক মাসের বেশি সময় পার হলেও জেলা প্রশাসক দূরের কথা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ বিহারিদের দেখতেও আসেনি। ঘটনার দিন আগুনে ও গুলিতে যারা মারা গিয়েছিলেন তাদের পরিবার কেমন আছে, পুড়ে যাওয়া ঘরের বাসিন্দারা কেমন আছেন, কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো খোঁজ খবর নেয়া হয়নি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে বিহারিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিহারিদের হয়রানি বন্ধ, নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি জানান। তারা বলেন, দাবি পূরণ না হলে আসছে ঈদের দিন সব বিহারি কালোব্যাজ ধারণ করে বিক্ষোভ করবে। সেই সাথে ওই দিনই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর আগে বিহারি নেতারা রমজান মাস উপলক্ষে গত ২৮ জুন তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেন। উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন ভোরে বিহারি হিসেবে পরিচিত আটকে পড়া পাকিস্তানিদের ওই ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সাথে বহিরাগত ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ক্যাম্পের আটটি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হলে এক পরিবারের নারী-শিশুসহ ৯ জন পুড়ে মারা যায়। পুলিশের গুলিতে নিহত হন ক্যাম্পের অপর এক বাসিন্দা।
No comments:
Post a Comment