যশোরের শার্শা উপজেলার বসতপুর গ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আনিসুর রহমান নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশের দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে শার্শা থানায় দুটি মামলা করেছে। এদিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কে গতকাল শনিবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই পুলিশসহ এক ‘সন্ত্রাসী’ গুলিবিদ্ধ হয়েছে। যশোর: নিহত আনিস
ুরের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। আহত ব্যক্তিরা হলেন সাতক্ষীরা সদর থানার কনস্টেবল নূরুল ইসলাম ও মিঠুন কুমার দত্ত। তাঁদের সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার এজাহার ও পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, আনিসুরের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় তিনটি হত্যা মামলাসহ ১২টি মামলা রয়েছে। শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ, যশোরের শার্শা থানার পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একদল সদস্য আনিসুরকে গ্রেপ্তার করতে বসতপুর গ্রামে অভিযান চালান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আনিসুর ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘বোমা’ বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলি ছোড়ে। এতে নুরুল ও মিঠুন স্প্লিন্টার বিদ্ধ হন। পরে পুলিশের পাল্টা গুলিতে আনিসুর ঘটনাস্থলেই মারা যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান-নাইন শ্যুটার গান, একটি গুলি ও তিনটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে আনিসুরের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ কবির প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আনিসুরের পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য জানতে সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গের সামনে অপেক্ষা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। কক্সবাজার: সদর মডেল থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শহরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী রকি বাহিনীর আস্তানা পাহাড়তলীর একটি পাহাড়ে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় বাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যক্তি দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলুকে আটক করা হয়। ভোর চারটার দিকে তাকে নিয়ে কলাতলী বাইপাস সড়কের পাহাড়ে রকি বাহিনীর আস্তানায় অস্ত্র উদ্ধারে গেলে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে পুলিশের দুই সদস্য, সন্ত্রাসী দিলুসহ বাহিনীর কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে আত্মগোপন করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করে। ওসি আরও জানান, গুলিবিদ্ধ দিলুকে পরে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দিলুর বাড়ি শহরের পাহাড়তলী এলাকায়। তার বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণসহ ১২টি মামলা রয়েছে। সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা সিরাজী বলেন, গুলিতে গুরুতর আহত দিলুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের আহত দুই সদস্যকে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা।
No comments:
Post a Comment