Tuesday, August 12, 2014

এরদোগানের নেতৃত্বে জন্ম হচ্ছে ‘নতুন তুরস্কের’:নয়াদিগন্ত

তুরস্কের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান  দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবেন বলে আশা করছেন। তবে এ ক্ষেত্রে তাকে বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী এরদোগান সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছেন। তিনি ৫২ শতাংশ ভোট পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠান এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে
নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল। এ ঐতিহাসিক নির্বাচনে ভোটারের কম উপস্থিতি দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তনে এরদোগানের প্রচেষ্টার ব্যাপারে কিছুটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করেছে। ইস্তাম্বুলের বিলগি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সলি ওজাল বলেন, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তবে এটি তুরস্কের সংবিধান পরিবর্তনের জন্য (এরদোগানের প্রচেষ্টার প্রতি) নিরঙ্কুশ রায় নয়।’ প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, এরদোগান ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি তার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী একমেলদিন এহসানোগলু ও সালাহউদ্দিন দেমিরতাসকে অনেক ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। প্রাথমিক হিসেবে বলা হয়েছে নির্বাচনে তুরস্কের ৫ কোটি ৩০ লাখ ভোটারের মধ্যে ৭০ শতাংশ ভোট প্রদান করেছে। অথচ গত মার্চে স্থানীয় নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৮৯ শতাংশ। ওই নির্বাচনে এরদোগানের একে পার্টি জয়ী হয়। তুরস্কে ভোট প্রদান বাধ্যতামূলক। কেউ ভোট না দিলে রাষ্ট্র তাকে শাস্তি প্রদান ও জরিমানা করতে পারে। কিন্তু এ আইন কদাচিত কার্যকর করা হয়ে থাকে। গ্রীষ্মের ছুটি থাকায় ভোটারের উপস্থিতি কম হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। এ ছাড়া এরদোগানের বিজয় নিশ্চিত থাকাও ভোটার উপস্থিতির আরেকটি কারণ হতে পারে। আংকারাভিত্তিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক গবেষণা ফাউন্ডেশনের গবেষক গলিপ ডালে জানান, ভোট দেয়ার জন্য লোকদের উদ্বুদ্ধ করার কাজ স্থানীয় নির্বাচনের চেয়ে কম করা হয়েছে। কারণ এর প্রভাব ততটা ব্যাপক নয়। তিনি বলেন, এর আগের সব জনমত জরিপেই দেখা গেছে, এরদোগান ব্যাপক ব্যবধানে জয়ী হবেন। তুরস্কে পার্লামেন্ট নির্বাচন হবে ২০১৫ সালে। এরদোগান  প্রেসিডেন্টের ভূমিকাকে শক্তিশালী করতে সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের হাতে অধিক নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করে আমেরিকার ধাচে তুর্কি রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটানোর আশা করছেন। নির্বাচনী প্রচারণাকালে এরদোগান বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে নতুন তুরস্ক গঠনের পথে একটি নতুন সংবিধান প্রণয়ন হবে আমাদের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। একটি নতুন সংবিধানের অর্থ হলো একটি নতুন ভবিষ্যৎ।’

No comments:

Post a Comment