Wednesday, August 13, 2014

দেশে তামাক সেবনে বছরে ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায়:নয়াদিগন্ত

বাংলাদেশে তামাক সেবনের ফলে বছরে ৫৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, পঙ্গু হচ্ছে ৮২ হাজার। বিশ্বে মারা যাচ্ছে ৪০ লাখ। প্রতি ১০ সেকেন্ডে তামাক সেবনজনিত কারণে কেউ না কেউ মারা যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০২০ সালের মধ্যে তামাকই হবে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।  গতকাল মিরপুরের ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ইউনাইটেড ফোরাম এগেইনস্ট টোব্যাকোর (ইউএফএটি) আয়োজনে ‘বাংলাদেশে তামাকের নিয়ন্ত্রণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা
য় বক্তারা এই তথ্য উপস্থাপন করেন। ইউএফএটির চেয়ারম্যান জাতীয় অধ্যাপক ডা: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম এ মালিকের সভাপতিত্বে আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড. নবরতœস্বামী পারেনিথারানা, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘তামাকমুক্ত শিশু’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক ভান্দানা শাহ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইউএফএটির মহাসচিব ড. মো: সিরাজুল ইসলাম।  ড. মশিউর রহমান বলেন, তামাকের ব্যবহার বন্ধে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও সচিবালয়কে ইতোমধ্যে ধূমপানমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ধূমপান করাকে অনেকে হিরোইজমের অংশ মনে করেন। সে কারণে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না।  ভান্দানা শাহ বলেন, তামাকের ব্যবহার কমাতে তার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তানে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশে তাদের সংগঠন ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে।  ব্রিগেডিয়ার আব্দুল মালিক বলেন, তামাকের ব্যবহার বন্ধে প্রণোদনা দেয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও ধর্মীয় নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তামাক সেবনে মানুষের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়, সময় ও অর্থের অপচয় হয়। বছরে তামাকশিল্প থেকে যে টাকা আসে তামাকজনিত কারণে নানা রোগের চিকিৎসায় এর চেয়ে বেশি টাকা ব্যয় হয়।

No comments:

Post a Comment