Saturday, August 9, 2014

লঞ্চটি উদ্ধার না হওয়া সরকারের ব্যর্থতা : সুরঞ্জিত:নয়াদিগন্ত

পদ্মায় ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ নামের লঞ্চটি উদ্ধার না হওয়ার ঘটনা সরকারের চরম ব্যর্থতা বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। একই সাথে দেশের এই লঞ্চডুবির ঘটনায় স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন তিনি। সুরঞ্জিত বলেন, আমরা আর লঞ্চডুবি দেখতে চাই না। পদ্মা, যমুনার পাড়ে মানুষের আহাজারি শুনতে চাই না। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই। গতকাল শুক্রবার দুুপুরে কাকরাইলে
র ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ কথা বলেন। তিনি বলেন, লঞ্চ ডুবে যাওয়া অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। ডুবে যাওয়া লঞ্চের লাশগুলো বিকৃত হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তেেপই এ ধরনের লঞ্চডুবির ঘটনা চিরতরে বন্ধ হবে। যতণ না পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে হস্তপে করবেন, ততণ এর স্থায়ী সমাধান হবে না। সুরঞ্জিত সেন বলেন, এই অগ্রসর যুগে লঞ্চ খুঁজে না পাওয়া সরকারের চরম ব্যর্থতা। পিনাক-৬ ডুবে যাওয়ার পাঁচদিন পরও লাশ না পেয়ে স্বজনরা পদ্মার পাড়ে লাশের জন্য হাহাকার করছেন। তিনি বলেন, যারা লঞ্চ ডোবার জন্য দায়ী, তাদের নামে মেরিটাইম কোর্টে অনেক মামলা রয়েছে। কিন্তু এর একটারও বিচার হয়নি। মেরিটাইম কোর্টে দায়ীদের আড়াল না করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি অনুরোধ জানান। তোবা গার্মেন্ট প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত বলেন, তোবা গার্মেন্টের সমস্যা সমাধানে শ্রমপ্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহনমন্ত্রী ও বিজিএমইএ আরো আগেই ব্যবস্থা নিতে পারত। আগেই এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত ছিল। এখন আমাদের দেখতে হবে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক আইনজীবী স্টিফেন জে র‌্যাপের কঠোর সমালোচনা করে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যাবে, সংগঠনের বিচার করা যাবে না, আপনি এটা কই পাইলেন? যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার হবে, সংগঠনেরও বিচার হবে। এর থেকে শেখ হাসিনা সরকারকে কেউ সরিয়ে নিতে পারবে না। ওই সময় গণহত্যায় জড়িত জামায়াত-শিবিরের বিচার হবে। সুরঞ্জিত আরো বলেন, স্টিফেন জে র‌্যাপের বুঝতে হবে, জামায়াত দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের প্রতিপ ছিল। তারা পাকবাহিনীর হাতে হাত মিলিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগে সহযোগিতা করেছে। সুরঞ্জিত বলেন, কে কী বলল তাতে কিছু আসে যায় না। দল ও ব্যক্তির বিচারের জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে আইনমন্ত্রীকে তার উদ্যোগ নিতে হবে। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা এ কে এম নাজির মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, উপকমিটির সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন পল্টু, গোলাম সরোয়ার কবীর, ছাত্রলীগের সহসভাপতি খোন্দকার তারেক রায়হান প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment