Thursday, August 7, 2014

দুই দলেরই সংকট ঢাকা মহানগর:যুগান্তর

বিভক্তির দোলাচলে আওয়ামী লীগ মাহবুব হাসান চলতি আগস্ট মাসে ঘোষণা হচ্ছে না ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি। মহানগরকে দুই ভাগ করার প্রক্রিয়াও থেমে গেছে। দুই ভাগ না এক ভাগ, নাকি তিন ভাগ, মায়া না আজিজ, কামরুল না রহমতউল্লাহ, খোকন না আওলাদ- এসব দোলাচলেই আবর্তিত রাজধানীতে আওয়ামী লীগের শক্তির প্রধান উৎস দলের এ শাখাটি। তবে দায়িত্বশীল একটি সূত্র অবশ্য দাবি করছে, মহানগরে কমিটি হতে পারে তিনটি। ঢাকা মহানগর আওয়ামী
লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান, শোকের মাস আগস্টে কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত না নেয়ার ধারাবাহিকতায় এ মাসে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা হবে না। তবে ঢাকা মহানগর এক থাকছে নাকি দুই ভাগ হচ্ছে তা একমাত্র দলীয় সভানেত্রী চূড়ান্ত করবেন বলে জানান তিনি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুগান্তরকে জানান, যদি নগরের উত্তর ও দক্ষিণ কমিটি করা হয়, তাহলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ নামে বর্তমান কমিটির আদলে একটি সমন্বয় কমিটি থাকবে। যার প্রধান হতে পারেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। অঘোষিত একটি সূত্র বলছে, ঈদের আগে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের নীতিনির্ধারকরা নগর কমিটির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সেখানে কমিটি ঘোষণা ও ভাগের বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা হলেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। অবিভক্ত ঢাকা মহানগর, নাকি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ? এই প্রশ্নে রীতিমতো দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন নগর নেতারা। আর নগর নিয়ন্ত্রণে রাখতে এ মেরুকরণে যোগ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। সূত্রের দাবি- দলের একজন কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক চান মহানগর দুই ভাগে ভাগ হোক। তার অনুসারী নগর নেতা অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, একেএম রহমতুল্লাহ, কামাল আহমেদ মজুমদার, শাহে আলম মুরাদ, হাজী সেলিম, আসলামুল হক আসলামরা রয়েছেন। কিন্তু ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া কোনোভাবেই চান না নগর দুই ভাগ হোক। তার সঙ্গে নগরের বেশ কিছু নেতা এবং থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন। মূলত মায়ার বিরোধিতার কারণেই আটকে আছে বিভক্তিকরণ প্রক্রিয়া। তিনি বিভক্তির বিষয়ে তীব্র আপত্তি তোলায় মহানগরের সমন্বয় কমিটির কথা ভাবা হচ্ছে। ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ওয়ার্ড, থানা কমিটির সম্মেলন না করে নিয়ম রক্ষার সম্মেলনেরও প্রায় দেড় বছর পেরিয়ে গেছে। কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। দায়িত্ব না পাওয়ায় নেতাকর্মীরাও গা ছেড়ে দিয়েছেন। তার প্রভাব ২৫ থেকে ২৮ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও লোকসমাগম না হওয়ায় তিনি যাননি। পরের দিন সংসদ উপনেতার যাওয়ার কথা থাকলেও সভামঞ্চের সামনে কোনো নেতাকর্মী ছিল না। পরের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানে লোকজনের সমাগম ঘটে। তবে অন্যবারের তুলনায় হতাশাজনক। আবার সামনে আসে কমিটি ঘোষণার দাবি। এদিকে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সূত্রে জানা যায়, মহানগর ভাগের বিষয়ে তিনি এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। তাছাড়া বিএনপি সামনে আন্দোলনের যে কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে সেটা মাথায় রেখে এখন নতুন কোনো এক্সপেরিমেন্টেও যাওয়া ঠিক হবে না বলে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ভাবছেন। আরেকটি সূত্রের দাবি, নগর ভাগের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে উত্তর-দক্ষিণ দুটি কমিটি গঠন করে মায়াকে দলের প্রেসিডিয়ামে নিয়ে আসার পরামর্শও দলীয় সভানেত্রীকে দিয়েছেন অনেকে। সেই সঙ্গে দুই শাখার জন্য একটি সমন্বয় কমিটি করে মায়াকে এর সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়ার কথাও বলা হচ্ছে। আর ভাগ হলে অধিকসংখ্যক নেতাকে মূল নেতৃত্বে আনা সম্ভব হবে বলেও তাদের যুক্তি। এ প্রক্রিয়ায় ত্যাগী নেতা এমএ আজিজ, মুকুল চৌধুরী, বজলুর রহমান এবং প্রয়াত সভাপতি, মেয়র মোহাম্মদ হানিফের পুত্র সাঈদ খোকনকে মূল নেতৃত্বে এনে শক্তিশালী কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা এবং ভাগের বিষয়ে দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের কাছে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয় নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে, এখনও চলছে। শোকের মাস আগস্টে কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। আর ভাগের বিষয়টি একান্ত দলীয় সভানেত্রীর বিবেচনার ওপর নির্ভর করছে। দলের স্বার্থে সব কিছু বিবেচনা করে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। বিএনপিতে পকেট কমিটির আশঙ্কা হাবিবুর রহমান খান পকেট কমিটি না বানিয়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর সব কমিটি করতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্দেশ দিলেও তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না ত্যাগী নেতাকর্মীরা। তাদের আশঙ্কা, যতই আশ্বস্ত বা নির্দেশ দেয়া হোক না কেন, পকেট কমিটি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে না। কারণ ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক কমিটির নেতারা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে সৎ ও ত্যাগী নেতাদের পরিবর্তে নিজেদের অনুসারী অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন নেতাদের কমিটিতে স্থান দেবে বলে অনেকের ধারণা। ইতিমধ্যেই নানা তৎপরতা শুরু করেছে বিভিন্ন থানার সুবিধাবাদী নেতারা। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ ভাগিয়ে নিতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মহানগরীর নেতাদেও ‘ম্যানেজ’ করার চেষ্টা করছেন তারা। আবার নিজেদের প্রভাব টিকিয়ে রাখতে খোকা সমর্থক অনেকেই আব্বাস অনুসারী হওয়ার চেষ্টা করছেন। মহানগরীর বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য। আরও জানা গেছে, মঙ্গলবার মহানগর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নেতাদের সতর্ক করে তিনি বলেছেন, যারা রাজপথে ছিল এবং সৎ ও ত্যাগী তাদের দিয়ে কমিটি করতে হবে। কোনো পকেট কমিটি বানানো হলে তা মেনে নেয়া হবে না। তিনি আরও বলেছেন, কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা প্রার্থী ছিলেন তাদের মতামত নিতে হবে। এমন কমিটি করা যাবে না, যাতে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করে বা ভবিষ্যৎ নির্বাচনে পরাজয় হয়। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি করতে হবে। তবে এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝেও দ্বিমত রয়েছে। অনেকের অভিযোগ, ঢাকা মহানগরীর প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনে দুটি গ্র“প সক্রিয় রয়েছেন। এর একটি হচ্ছে বিগত জাতীয় নির্বাচনে দলীয় এমপি প্রার্থী ও অপরটি হচ্ছে সাবেক কমিশনার বা অন্য কোনো গ্র“প। বর্তমান মহানগর কমিটির অনেকেই জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। এলাকায় নিজের প্রভাব অক্ষুণœ রাখতে তার বিরোধীদের কোণঠাসা করতে চাইবেন। পাশাপাশি স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলররাও কমিটিতে নানাভাবে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। রাজধানীর অনেক থানায় এই বিরোধ এখন প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। যেমন, মিরপুর-পল্লবীতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বিএনপির এমপি প্রার্থী ছিলেন। ওই এলাকার সাবেক কাউন্সিলর হাসান তা মেনে নিতে পারছেন না। তার সমর্থকরা রফিকুলের বিরুদ্ধে নানা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। মোহাম্মদপুর এলাকায়ও একই চিত্র। সেখানে বিএনপির সংসদীয় প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সাবেক কমিশনার আতিকুল ইসলাম মতিন। এমন চিত্র মহানগরীর প্রায় প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনে। জানতে চাইলে মহানগর কমিটির অন্যতম সদস্য ও যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল যুগান্তরকে বলেন, পকেট কমিটি বানানোর মতো কোনো সুযোগ এবার দেয়া হবে না। এলাকায় যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারেন সেজন্য নিজ নিজ এলাকায় কাউকে দায়িত্ব না দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবাই মিলে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে কমিটি গঠনে কোনো সংকট সৃষ্টি হবে না। যারা যোগ্য তারাই নতুন কমিটিতে স্থান পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীর ৪৯টি থানার মধ্যে বেশির ভাগই সাবেক আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার অনুসারীদের দখলে। আব্বাসকে আহ্বায়ক করায় খোকা অনুসারীরা বাদ পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন। আব্বাসও তার নিজের অনুসারীদের কমিটি গঠনের মাধ্যমে মহানগরীতে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইবেন। সে লক্ষ্যে তিনি কাজও শুরু করেছেন। এদিকে সদস্য সচিব হিসেবে হাবিব-উন-নবী খান সোহেলও তার নিজের অনুসারীদের বিভিন্ন থানায় গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে চাইবেন। এর পাশাপাশি রয়েছে আঞ্চলিকতার প্রভাব। মহানগর কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন যারা কেন্দ্রীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী। ওই সব নেতার সঙ্গে ইতিমধ্যে তাদের এলাকার অনেকেই যোগাযোগ শুরু করেছেন। আঞ্চলিকতার টানে অযোগ্য অনেকেই গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারেন বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের আশঙ্কা। সূত্র জানায়, বিগত কমিটির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। নিজ অনুসারীদের পদ পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা চালান তারা। পাশাপাশি অনেকে নিজেই বিভিন্ন থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ঘোষণা দেন। এমন জটিলতার কারণে বিগত কমিটি মহানগরীর কোন থানা ও ওয়ার্ডে পুনর্গঠন করতে পারেনি। নবগঠিত কমিটির ক্ষেত্রেও এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও তা আমলে নিচ্ছে না তারা। আরও জানা গেছে, মহানগর কমিটি ঘোষণার পরপরই রাজধানীর বিভিন্ন থানায় কিছু সুবিধাবাদী ও সুযোগসন্ধানী নেতা সক্রিয় হচ্ছে। বিগত আন্দোলন বা গত চার/পাঁচ বছর রাজনীতিতে তারা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। এসব নেতারা নতুন করে হিসাব মেলাচ্ছেন। অনেকেই মহানগরীর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস অনুসারী সাজার চেষ্টা করছেন। উদ্দেশ্য যে কোনোভাবে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি নিজের কব্জায় রাখা। কেউ কেউ আবার আঞ্চলিকতার সুযোগকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন। এসব সুযোগসন্ধানী নেতারা নিজেদের প্রভাবশালী পরিচয় দিয়ে অতীতে নানা চাঁদাবাজি, তদবির ও সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। ভবিষ্যতেও এসব অপকর্ম করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সূত্র জানায়, বিগত আন্দোলনে রাজপথে দেখা যায়নি সাবেক কমিশনার আবদুল মজিদকে। অসুস্থতার কথা বলে দেশের বাইরেও কাটিয়েছেন বেশ কিছু সময়। কমিটি ঘোষণার পরপর তিনি সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। রমনা থানার সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করছেন। এলাকায় বলে বেড়াচ্ছেন মির্জা আব্বাস তার খুব কাছের লোক। সূত্র মতে, তেজগাঁওয়ের নেতা নবী সোলায়মান। বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে তাকে দেখা যায়নি। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আঁতাত করে তেজগাঁও এলাকায় এখনও নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। বেশ কয়েক বছর দলীয় কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় থাকার পর কয়েকদিন হল তিনি সক্রিয় হয়েছেন। নিজেকে তেজগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত হননি। সৎ ও যোগ্য নেতাদের নানা মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা করছেন, আব্বাস তার কাছের বন্ধু। তাকে ছাড়া অন্য কাউকে তেজগাঁওয়ের সভাপতি করার প্রশ্নই ওঠে না। তার এমন ঘোষণা স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবদুল আলিম নাকি যুগান্তরকে বলেন, বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে পকেট কমিটি বানানো হবে না- এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ বিএনপি সাবেক এমপিনির্ভর দল হয়ে পড়ছে। ওই সব এমপি যা বলবেন এবং যা করবেন তাই ঠিক। সেখানে যোগ্য ও ত্যাগী নেতাদের কোনো মূল্যায়ন নেই। তিনি অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, যেহেতু দলের চেয়ারপারসন এই কমিটি ঘোষণা করেছেন তাদের ওপর আস্থা রাখতেই হবে। তারাও আশা করেন, ঘোষিত কমিটির নেতৃত্বে আগামী আন্দোলন সফল হোক। কমিটিতে না থাকলেও তাদের পুরোপুরি সহায়তা করা হবে।  

No comments:

Post a Comment