আন্দোলন সফল করতে ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতাদের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে দ্রুত দল গোছানোর নির্দেশ দিয়েছেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গত রাতে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির সাথে প্রথম বৈঠকে তিনি এই নির্দেশ দেন। গুলশান কার্যালয়ে মহানগর নেতাদের নিয়ে রাত সাড়ে ৮টা থেকে দুই ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। বৈঠকে প্রথমে খালেদা জিয়া সিনিয়র বেশ কয়েকজন নেতার বক্তব্য শোনেন, পরে তিনি নির্দেশনামূলক বক
্তব্য রাখেন। বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামও অংশ নেন। বৈঠক শেষে যুগ্ম আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমেদ নয়া দিগন্তকে বলেন, দলের চেয়ারপারসন সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি মহানগর সুসংগঠিত করতে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির ওপর খালেদা জিয়া তার আস্থার কথা সবাইকে জানিয়েছেন। মহানগরের অন্য এক নেতা জানান, বৈঠকে পরস্পরবিরোধী কোনো বক্তব্যই আসেনি। খালেদা জিয়া সিনিয়র-জুনিয়রদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বলেছেন। একইসাথে তিনি পরস্পরের মধ্যে মান্যতা বজায় রাখতে বলেছেন, যাতে করে কেউ অসম্মানিত না হন। যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আবুল বাশার জানান, আজ দুপুর ১২টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে মহানগর কমিটি সুসংগঠিত করতে পরবর্তী পদপে নেয়া হবে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক এবং নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে সদস্যসচিব করে গত ১৮ জুলাই ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈঠকে আহবায়ক, সদস্যসচিব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিটির উপদেষ্টা দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম। যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আউয়াল মিন্টু, সালাহউদ্দিন আহম্মেদ, কাজী আবুল বাশার, এম এ কাইয়ুম ও আবু সাঈদ খান খোকন। কমিটির সদস্য স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এ খালেক, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, সহসমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো: সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ, আবদুল লতিফ (কলাবাগান), আবদুল মজিদ (রমনা), আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার (তেজগাঁও), শামসুল হুদা (সবুজ বাগ), সাজ্জাদ জহির (শাহজাহানপুর), একরামুল হোসেন (শাহজাহানপুর), ইউনুস মৃধা (খিলগাঁও), মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু (মীরপুর), সাদেক আহমেদ (জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল), আলী আজগর মাতব্বর (কাফরুল), নিতাই চন্দ্র ঘোষ (সূত্রাপুর), আহসান উল্লাহ হাসান (পল্লবী), বোরহানুজ্জামান ওমর (পল্টন), হারুন অর রশীদ হারুন (মতিঝিল), সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (কলাবাগান), গোলাম হোসেন (সবুজবাগ), তানভীর আদেল বাবু (পল্টন), আবুল হাসান তালুকদার ননী (শাহবাগ), আবু মোতালিব (চকবাজার), আলী ইমাম আসাদ (পল্লবী), আবদুল মতিন (মোহাম্মদপুর), আবদুস সামাদ (কোতোয়ালি), হাজী আলতাফ হোসেন (লালবাগ), ফরিদ আহমেদ ফরিদ (দয়াগঞ্জ), হাজী আনোয়ার পারভেজ বাদল (চকবাজার), আখতার হোসেন (খিলক্ষেত), নবী উল্লাহ নবী, হাজী মীর হোসেন মীরু, ফখরুল ইসলাম ফরু (রামপুরা), ফেরদৌস আহমেদ মিষ্টি (শাহ আলী থানা), তানভীর আহমেদ রবীন (কদমতলী), শেখ রবিউল আলম (ধানমন্ডি), মো: কফিল (উত্তরা-পূর্ব), আরিফুর রহমান নাদিম (আরমানিটোলা), মো: জাফরুল (বংশাল) ও এস এম জিলানী।
No comments:
Post a Comment