া হয়। তিন দিনের মধ্যে সবাইকে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের কথা বলা হয়। সে অনুযায়ী গতকাল রোববারই তাঁদের বদলির আদেশ কার্যকর হয়েছে। জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ ইফতেখার মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, মেডিকেল কলেজে প্রভাষকেরাই প্রাণ। তাঁরা শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভিত তৈরি করেন। একযোগে সব প্রভাষক বদলি হওয়ায় পাঠদান ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়বে। মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি অধ্যক্ষসহ ১১ জন শিক্ষক নিয়ে কলেজটি চালু হয়। পরের দুই বছরে পর্যায়ক্রমে যোগ দেন আরও ৩৩ জন। সব মিলিয়ে ৪৫ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রভাষক ছিলেন ১৫ জন। তবে অধ্যাপক-প্রভাষকসহ সবাই এখানে প্রেষণে শিক্ষকতা করেন। কলেজে বর্তমানে তিনটি শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী রয়েছে। জানা গেছে, ১৫ জন প্রভাষকের মধ্যে এনাটমিতে একজন প্রভাষক, ফিজিওলজি বিষয়ে চারজন প্রভাষক, বায়োকেমেস্ট্রিতে তিনজন, ফরেনসিকে দুজন এবং অন্যান্য বিষয়ে ছিলেন পাঁচজন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক, হাতে-কলমে শিক্ষা, ছোট ছোট টিউটোরিয়াল ও মৌখিক পরীক্ষাসহ নানা বিষয়ে পাঠদান করে থাকেন মূলত প্রভাষকেরাই। তাই হঠাৎ করে কলেজ প্রভাষকশূন্য হয়ে পড়ায় সবাই বেশ উদ্বিগ্ন। কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মীর মাহফুজুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দু-একজন করে বদলি হলে তেমন কোনো প্রভাব পড়ত না। একযোগে সব প্রভাষক বদলি হওয়ায় অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শারমিন বিনতে ইউসুফ বলেন, ‘অধ্যাপক স্যাররা সপ্তাহে এক দিন ক্লাস নেন। কিন্তু প্রভাষকদের সব সময় কাছে পাওয়া যায়। তাঁদের কাছ থেকে ব্যবহারিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা পাই। কাজেই সব প্রভাষক চলে গেলে সমস্যার অন্ত থাকবে না।’ যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মামুন রেজা প্রথম আলোকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেডিকেল কলেজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। সেখানে যোগাযোগ করলে ভালো হবে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নূরুল হকের মুঠোফোনে গতকাল কয়েক দফায় ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Monday, August 4, 2014
১৫ প্রভাষকের সবাইকে একসঙ্গে বদলি:প্রথম অালো
া হয়। তিন দিনের মধ্যে সবাইকে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের কথা বলা হয়। সে অনুযায়ী গতকাল রোববারই তাঁদের বদলির আদেশ কার্যকর হয়েছে। জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ ইফতেখার মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, মেডিকেল কলেজে প্রভাষকেরাই প্রাণ। তাঁরা শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভিত তৈরি করেন। একযোগে সব প্রভাষক বদলি হওয়ায় পাঠদান ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়বে। মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি অধ্যক্ষসহ ১১ জন শিক্ষক নিয়ে কলেজটি চালু হয়। পরের দুই বছরে পর্যায়ক্রমে যোগ দেন আরও ৩৩ জন। সব মিলিয়ে ৪৫ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রভাষক ছিলেন ১৫ জন। তবে অধ্যাপক-প্রভাষকসহ সবাই এখানে প্রেষণে শিক্ষকতা করেন। কলেজে বর্তমানে তিনটি শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী রয়েছে। জানা গেছে, ১৫ জন প্রভাষকের মধ্যে এনাটমিতে একজন প্রভাষক, ফিজিওলজি বিষয়ে চারজন প্রভাষক, বায়োকেমেস্ট্রিতে তিনজন, ফরেনসিকে দুজন এবং অন্যান্য বিষয়ে ছিলেন পাঁচজন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক, হাতে-কলমে শিক্ষা, ছোট ছোট টিউটোরিয়াল ও মৌখিক পরীক্ষাসহ নানা বিষয়ে পাঠদান করে থাকেন মূলত প্রভাষকেরাই। তাই হঠাৎ করে কলেজ প্রভাষকশূন্য হয়ে পড়ায় সবাই বেশ উদ্বিগ্ন। কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মীর মাহফুজুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দু-একজন করে বদলি হলে তেমন কোনো প্রভাব পড়ত না। একযোগে সব প্রভাষক বদলি হওয়ায় অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শারমিন বিনতে ইউসুফ বলেন, ‘অধ্যাপক স্যাররা সপ্তাহে এক দিন ক্লাস নেন। কিন্তু প্রভাষকদের সব সময় কাছে পাওয়া যায়। তাঁদের কাছ থেকে ব্যবহারিকসহ সব ধরনের সহযোগিতা পাই। কাজেই সব প্রভাষক চলে গেলে সমস্যার অন্ত থাকবে না।’ যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য বিভাগের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক মামুন রেজা প্রথম আলোকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেডিকেল কলেজগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। সেখানে যোগাযোগ করলে ভালো হবে। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নূরুল হকের মুঠোফোনে গতকাল কয়েক দফায় ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment