Thursday, August 14, 2014

এইচএসসিতে বড় সাফল্য:নয়াদিগন্ত

এবারের এইচএসসির ফল অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ফলে সব সূচকের হার অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এবার বেড়েছে পাসের হার ও সংখ্যা এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তিও। পাসের সংখ্যা বেড়েছে গত বছরের চেয়ে এক লাখ ২৭ হাজার ৫৭৬ জন। শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের পাঁচটি মানদণ্ড নির্ধারণের ফলে চমক এসেছে সেই তালিকায়। ফলের গুণগত মানের বিচারে সব ক’টি সূচকে ইতিবাচক পরিবর্তন ও ঊর্ধ্বগতি ঘটেছে। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে, বেড়েছে পাস
ের হারও। তবে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা একটি কমেছে গত বছরের চেয়ে। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক শিক্ষাবর্ষেই বেড়েছে ২৯৮টি। এ হচ্ছে গতকাল বুধবার প্রকাশিত ২০১৪ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলের সামগ্রিক চিত্র। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ডগুলোর কর্তৃপক্ষ শুধু ঢাকা বোর্ডের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা স্বীকার করে তা স্থগিত করেছিল। এ ব্যাপারে গঠিত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি বলেছে, গণিতের প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে। তবে এ কমিটি ফাঁসের কারণ চিহ্নিত করতে পারেনি। তারা একটি সুপারিশ করেছে মাত্র। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত সৃষ্টি হলেও শিক্ষামন্ত্রী ফাঁস হওয়া প্রশ্নকে সাজেশন বলেই চালিয়ে দিয়েছেন কয়েক বছর ধরে। এ দিকে এত ব্যাপক সাফল্য বা ফলে সব সূচকের ঊর্ধ্বগতি প্রশ্নপত্র ফাঁসের বদৌলতে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে এ ফলের কোনো সম্পর্ক নেই। তাতে এর কোনো প্রভাবও পড়েনি। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারে আমরাই প্রথম উদ্যোগ নিয়ে পরীক্ষা বাতিল করেছি। আগামীতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে তার জন্য সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। অন্য দিকে উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের যোগ্যতা নির্ধারণের এ স্তরে দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বিগত কয়েক বছরের মতো এবারো তাদের শ্রেষ্ঠত্ব অুণœ রেখেছে। যদিও দেশের বড় কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং দু-একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মাদরাসা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যাপারে বাধা সৃষ্টি করছে। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তা মানছে না। পরীক্ষার ফলে ব্যাপক সাফল্য সত্ত্বেও জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনেকেই বুয়েট, মেডিক্যাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ভালো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে না পারা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে গুচ্ছপদ্ধতি অনুসরণ করার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধ না মেনে নিজস্ব নিয়মেই ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দেশের বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব আইন ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে পরিচালিত হয়ে থাকে। আমরা অনুরোধ জানিয়েছি কিন্তু তারা মানছে না। এ দিকে গতকাল প্রকাশিত সাধারণ আটটি বোর্ডসহ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৮.৩৩ শতাংশ; যা বিগত শিক্ষাবর্ষের চেয়ে ৪.০৩ শতাংশ বেশি। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৪.৩০ শতাংশ। মাদরাসায় এবার পাসের হার ৯৪.০৮ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৮৫.০২ শতাংশ। সব বোর্ড মিলে মোট জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৭০ হাজার ৬০২ জন। এ শিক্ষাবর্ষেই জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১২ হাজার ৪০৫ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ১৯৭। এক বছরের ব্যবধানে মেধাবী শিক্ষার্থী বেড়েছে ১২ হাজার ৪০৫ জন। আটটি সাধারণ বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৮৯ জন। গত বছর ছিল ৪৬ হাজার ৭৩৬ জন। মাদরাসায় জিপিএ ৫ ছয় হাজার ২৫ জন এবং কারিগরি বোর্ডে ছয় হাজার ৩৯৩ জন। ১০টি বোর্ডে এবার ১১ লাখ ২৯ হাজার ৯৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন আট লাখ ৮৫ হাজার ৭০ জন। এ ছাড়া ঢাকা বোর্ডের অধীনে ১৮টি সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ (ডিআইবিএস) কোর্সে চার হাজার ৯৭৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন তিন হাজার ৮৭৪ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩৯৫। পাসের হার ৭৮.৫৩ শতাংশ। গতকাল একযোগে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং আলিম, এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা), এইচএসসি (ভোকেশনাল) ও ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ (ডিআইবিএস) পরীক্ষা ২০১৪-এর ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সব বোর্ডের ফলাফল প্রকাশ করেন। এ সময় শিক্ষা সচিব, বোর্ড চেয়ারম্যানরা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ও সচিবসহ বোর্ড চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রী এবার দিনাজপুর বোর্ডের অধীনে দিনাজপুর সরকারি কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ, উথরাইল সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা ও টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিার্থীর সাথে এইচএসসির ফলাফল নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিষ্ঠানগুলোর অধ্যক্ষ ও ওই প্রতিষ্ঠানের একাধিক ছাত্রছাত্রীর সাথে কথা বলেন। এতে ভালো ফলাফলকারী এসব সৌভাগ্যবান শিক্ষার্থী দারুণভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান। সেখানে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের সাথেও প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন। উচ্চমাধ্যমিকে ফলের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করে বোর্ড চেয়ারম্যানদের ধন্যবাদ জানান এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে তাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। পাসের হার বৃদ্ধি (৪.০৩ শতাংশ) ও জিপিএ ৫ বৃদ্ধিকে (১২ হাজার ৪০৫টি) অগ্রগতির সূচক হিসেবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষা মানের গুণগত অগ্রগতির যে প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে, এ ফল সে প্রচেষ্টার সাফল্য প্রমাণ করে। দুপুরের পর থেকে কলেজ ও কেন্দ্রগুলোতে ফল পাওয়ার পর সারা দেশে এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক ও স্বজনেরা বাঁধভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। শতভাগ পাস করা কলেজ এবং রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের সেরা কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। রাজধানীসহ সারা দেশের শহরগুলোতে জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের তাদের আত্মীয়স্বজন ফুল ও মিষ্টি নিয়ে শুভেচ্ছা জানান। রাজধানীতে ফুল আর মিষ্টির দোকানগুলোতে রাত অবধি ভিড় লক্ষ করা গেছে। মেধায় ছেলেরা এগিয়ে পাসের হারে মেয়েরা : এবারের ফলের একটি বিশেষ দিক হচ্ছে, মেধার বিচারে ছেলেরা বরাবরের মতোই এগিয়ে রয়েছেন। তবে পাসের হারের দিক থেকে মেয়েরা বেশি। সব বোর্ড মিলে মোট ১১ লাখ ২৯ হাজার ৯৭২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্ররা জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৮৭ আর মেয়েরা জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮১৫। ছেলেরা পাস করেছে ৭৭.৮৬ শতাংশ আর মেয়ে ৭৮.৮৬ শতাংশ। পাসের হারে শীর্ষে মাদরাসা বোর্ড : সাধারণ বোর্ডগুলোর চেয়ে মাদরাসা বোর্ডের ফল এবারো শীর্ষে। বিগত কয়েক বছর থেকে ধারাবাহিকভাবেই বোর্ড উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সব বোর্ডের শীর্ষে স্থান ধরে রাখল। মাদরাসা বোর্ডে এককভাবে পাসের হার ৯৪.০৮ শতাংশ। সাধারণ আট বোর্ডে পাসের হার ৭৫.৭৪ শতাংশ। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার বিগত বছরের চেয়ে এবার যশোর বোর্ড ছাড়া সব বোর্ডেই বেড়েছে। যশোর বোর্ডে কমেছে, পাসের হার ৬০.৫৮ শতাংশ। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৮৫.০২ শতাংশ। এখানেও কমেছে ০.০১ শতাংশ। মাদরাসা বোর্ডে এবার মোট এক লাখ পাঁচ হাজার ৮৪৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৯৯ হাজার ৫৮১ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ছয় হাজার ২৫ জন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে বাধা ও বিধি-নিষেধ আরোপকে দুঃখজনক ও অনাকাক্সিত আখ্যায়িত করে গতকাল নয়া দিগন্তকে অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন এতে করে আমাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কথা বললেই শিক্ষার্থীদের নানা অপবাদ দেয়া হয়। তারা বলেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে না পারলে আমাদের কোনো কথা নেই। কিন্তু মেধার বিচারের আগেই আমাদের বাধা ও বাদ দেয়া অন্যায় ও অমানবিক। সাধারণ বোর্ডে পাসের হারে এবং জিপিএ ৫ প্রাপ্তিতে শীর্ষে ঢাকা বোর্ড : পাসের হারের দিক থেকে সাধারণ বোর্ডগুলোর মধ্যে এবং মেধার বিচারে এবার সেরা হয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। শিক্ষার্থীর সংখ্যার দিক থেকেও এ বোর্ড শীর্ষে। জিপিএ ৫ প্রাপ্তির দিক থেকেও ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বরাবরের মতোই এবারো সেরা। এ বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৯২৭ জন শিক্ষার্থী। বিগত বছরের চেয়ে এ সংখ্যা সর্বাধিক যা সর্বমোট জিপিএ ৫ প্রাপ্তির সংখ্যার অর্ধেকের কাছাকাছি। এ বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও সব বোর্ডের চেয়ে বেশি যা দুই লাখ ৯৭ হাজার ৮১৪ জন। পাস করেছেন দুই লাখ ৫১ হাজার ৭৭২ জন। ইংরেজি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁসের কারণে বাতিল করে নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল। ইংরেজিতে এ বোর্ডে পাসের হার ৯২.৫৯ শতাংশ। সব চেয়ে কম পাসের হার যশোর বোর্ডে  : প্রাচীন শিক্ষা বোর্ডগুলোর অন্যতম হচ্ছে যশোর বোর্ড। এ বোর্ডে এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ ১৪ হাজার ৮১৫ জন। পাস করেছেন ৬৯ হাজার ৫৫০ জন। আর জিপিএ ৫ পেয়েছেন চার হাজার ২৩১ জন। পাসের হার ৬০.৫৮ শতাংশ। সাধারণ ও সব বোর্ডের মধ্যে এ হার সর্বনি¤œ। পাসের হারে দ্বিতীয় শীর্ষে কারিগরি বোর্ড : সব বোর্ড মিলে পাসের হারের দিক থেকে এবার দ্বিতীয় শীর্ষে উঠে এসেছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেয়ার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষের চেয়ে এবার শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। গত শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ছিলেন ৯৫ হাজার ৯৮৪ জন। সমাপ্ত শিক্ষাবর্ষে এক লাখ চার হাজার ৫৮৭ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৮৮ হাজার ৯২৫ জন। পাসের হার ৮৫.০২ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছেন ছয় হাজার ৩৯৩ জন। অন্য দিকে গত শিক্ষাবর্ষে জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন ছয় হাজার ৯ জন জন। পাসের হারে তৃতীয় শীর্ষে সিলেট বোর্ড : সাধারণ আটটি বোর্ডের মধ্যে পাসের হারের দিক থেকে তৃতীয় শীর্ষে সিলেট বোর্ড। তাদের ৭৯.১৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। মোট ৫৭ হাজার ৫৬১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৪৫ হাজার ৫৬৮ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন দুই হাজার ৭০ জন। কুমিল্লা ও রাজশাহী বোর্ড : প্রাচীন বোর্ডগুলোর মধ্যে কুমিল্লা এবং রাজশাহী বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে পাসের হার তেমনটা বাড়েনি। কুমিল্লা বোর্ডে মোট এক লাখ তিন হাজার ২৫৯ জন অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৭২ হাজার ৪২৬ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন দুই হাজার ৬০০ জন। রাজশাহী বোর্ডে এবার পরীর্ক্ষার্থ ছিলেন এক লাখ ১১ হাজার ৬৮০ জন। পাস করেছেন ৮৭ হাজার ৭২০ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছেন সাত হাজার ৬৪১ জন। দিনাজপুর ও বরিশাল বোর্ড : নবগঠিত শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে দিনাজপুর ও বরিশাল অন্যতম। এ দুটি বোর্ডের অধীন কলেজগুলো বিগত বছরের চেয়ে ভালো ফল করেছে। দিনাজপুর বোর্ডে মোট ৯৭ হাজার ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৭১ হাজার ৯৪০ জন। পাসের হার ৭৪.১৪ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছেন চার হাজার ৪৭৪ জন। বরিশাল বোর্ডের অধীন কলেজগুলো থেকে ৫৪ হাজার ৯১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৩৯ হাজার ৪০২ জন। পাসের হার ৭১.৭৫ শতাংশ আর জিপিএ ৫ পেয়েছেন দুই হাজার ২২৫ জন।

No comments:

Post a Comment