ান গড়ে উঠেছে কিনা এসব প্রতিষ্ঠানে তহবিল স্থানান্তরের ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল স্থানান্তরের অবস্থা জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে তহবিল স্থানান্তরের বিষয়ে বর্তমান সার্বিক অবস্থা জানতে চায়। কিন্তু এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বলা হয়, কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেনি। তবে ব্যাংকের পরিচালকমণ্ডলীর অনুমোদন নিয়ে কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী ৮টি নন-প্রফিট কোম্পানি নিবন্ধন করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠাকালে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড এমন কোনো শর্ত আরোপ করেনি, যার ফলে গ্রামীণ ব্যাংক চাইলে এসব প্রতিষ্ঠান তথ্য সরবরাহ করবে। ফলে এ বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করে পরিচালকমণ্ডলীর সভায় পেশ করার আইনগত কর্তৃত্ব গ্রামীণ ব্যাংকের নেই। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব ড. এম আসলাম আলম রোববার যুগান্তরকে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের কাছ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ আসার কথা রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। যে কারণে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিকে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন তাদের রিপোর্টে গ্রামীণ ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ৪৮টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সন্ধান পেয়েছে। রিপোর্টটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। ওই রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈদেশিক দাতা সংস্থা নোরাড, সিডা, কিডা, ইউএসএইড এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে ডোনার্স কনসোর্টিয়ামের অনুদানে সোস্যাল ভেনচার ক্যাপিটাল ফান্ড গঠন করা হয়। এই ফান্ড থেকে ৪৯ কোটি ১০ লাখ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে গ্রামীণ ফান্ড নামের একটি নন ফর প্রফিট গ্যারান্টির মাধ্যমে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়। অপরদিকে দাতাদের দেয়া অনুদানে সোস্যাল অ্যাডভান্স ফান্ড গঠন করে ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে গ্রামীণ কল্যাণ নামে আরেকটি কোম্পানি গঠন করা হয়। পরে গ্রামীণ ফান্ড ও গ্রামীণকল্যাণ একক ও যৌথভাবে ইক্যুইটি ও ঋণ সহায়তার মাধ্যমে ৩৪টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ধারণা নিয়ে দেশ ও বিদেশ আরও ১১টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্রামীণ ফান্ডের অর্থায়নে ১৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- গ্রামীণ ব্যবসা সেবা লিঃ, গ্রামীণ বাইটেক লিঃ, গ্রামীণ সাইবার নেট লিঃ, গ্রামীণ নিটওয়্যার লিঃ, গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিঃ, গ্রামীণ সলিউশন লিঃ, গ্রামীণ আইটি পার্ক লিঃ, টিউলিব ডেইার অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিঃ, গ্লোবাল কিডস ডিজিটাল লিঃ, গ্রামীণ ইনফরমেশন হাইওয়ে লিঃ, গ্রামীণ স্টার এডুকেশন লিঃ, রফিক অটোভ্যান ম্যানুফেকচার ইন্ডাস্ট্রি লিঃ, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ শিক্ষা ও গ্রামীণ সামগ্রী নামক প্রতিষ্ঠান। এসব কোম্পানির অনুকূলে বিনিয়োগ হয়েছে তৎকালীন হিসাবে ৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং নগদ ৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। ১৫টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ইক্যুইটি হিসাবে ১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং ঋণ বাবদ ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। অপর দিকে গ্রামীণকল্যাণ ফান্ডের মাধ্যমে আরও ১৩টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- গ্রামীণ নিটওয়্যার লিঃ, গ্রামীণ ব্যবসা বিকাশ কেন্দ্র, গ্রামীণ ক্যাপিট্যাল ম্যানেজমেন্ট লিঃ, গ্রামীণ সলিউশন লিঃ, গ্রামীণ আইটি পার্ক লিঃ, গ্রামীণ ডানন ফুডস লিঃ, গ্রামীণ হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস লিঃ, গ্রামীণ স্টার এডুকেশন লিঃ, গ্রামীণ টেলিকম লিঃ, গ্রামীণ শিক্ষা, গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন লিঃ, গ্রামীণ ফেব্রিক্স অ্যান্ড ফ্যাশনস লিঃ, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন। এসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে দেয়ার পরিমাণ ৬৯ কোটি টাকা। গ্রামীণকল্যাণ প্রতিষ্ঠা করে তাতে ৪৪ কোটি টাকা ও দাতাদের দেয়া রিভোলবিং ফান্ড থেকে ৩৪৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু পরে নোরাডের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে ৩৪৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা ফেরত নেয়া হয় গ্রামীণকল্যাণ থেকে। এছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- গ্রামীণ ট্রাস্ট, গ্রামীণ ক্রেডিট এগ্রিকোল, গ্রামীণ কমিউনিকেশন লিঃ, গ্রামীণ ইন্টেল সোস্যাল বিজনেস লিঃ, গ্রামীণ শক্তি, ইউনূস সেন্টার ট্রাস্ট, গ্রামীণ আমেরিকা ইনকর্পোরেটেড, গ্রামীণ টেকনোলজি ল্যাব জিএমবিএইচ, গ্রামীণ টেকনোলজি ল্যাব, গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান নার্সিং কলেজ ও গ্রামীণ শক্তি সামাজিক ব্যবসা লিঃ।
Headlines from most popular newspapers of Bangladesh. বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রধান প্রধান দৈনিক পত্রিকার সংবাদ শিরোনামগুলো এক নজরে দেখে নিন।
Wednesday, August 27, 2014
সহযোগী প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব মানছে না গ্রামীণ ব্যাংক:যুগান্তর
ান গড়ে উঠেছে কিনা এসব প্রতিষ্ঠানে তহবিল স্থানান্তরের ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল স্থানান্তরের অবস্থা জানতে চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের মধ্যে তহবিল স্থানান্তরের বিষয়ে বর্তমান সার্বিক অবস্থা জানতে চায়। কিন্তু এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বলা হয়, কোনো সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেনি। তবে ব্যাংকের পরিচালকমণ্ডলীর অনুমোদন নিয়ে কোম্পানি আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী ৮টি নন-প্রফিট কোম্পানি নিবন্ধন করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠাকালে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড এমন কোনো শর্ত আরোপ করেনি, যার ফলে গ্রামীণ ব্যাংক চাইলে এসব প্রতিষ্ঠান তথ্য সরবরাহ করবে। ফলে এ বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করে পরিচালকমণ্ডলীর সভায় পেশ করার আইনগত কর্তৃত্ব গ্রামীণ ব্যাংকের নেই। পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে দৃষ্টি আর্কষণ করা হলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব ড. এম আসলাম আলম রোববার যুগান্তরকে বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশনের কাছ থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ আসার কথা রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। যে কারণে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এদিকে গ্রামীণ ব্যাংক কমিশন তাদের রিপোর্টে গ্রামীণ ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ৪৮টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সন্ধান পেয়েছে। রিপোর্টটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। ওই রিপোর্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈদেশিক দাতা সংস্থা নোরাড, সিডা, কিডা, ইউএসএইড এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে ডোনার্স কনসোর্টিয়ামের অনুদানে সোস্যাল ভেনচার ক্যাপিটাল ফান্ড গঠন করা হয়। এই ফান্ড থেকে ৪৯ কোটি ১০ লাখ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে গ্রামীণ ফান্ড নামের একটি নন ফর প্রফিট গ্যারান্টির মাধ্যমে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়। অপরদিকে দাতাদের দেয়া অনুদানে সোস্যাল অ্যাডভান্স ফান্ড গঠন করে ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে গ্রামীণ কল্যাণ নামে আরেকটি কোম্পানি গঠন করা হয়। পরে গ্রামীণ ফান্ড ও গ্রামীণকল্যাণ একক ও যৌথভাবে ইক্যুইটি ও ঋণ সহায়তার মাধ্যমে ৩৪টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ধারণা নিয়ে দেশ ও বিদেশ আরও ১১টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তারা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্রামীণ ফান্ডের অর্থায়নে ১৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- গ্রামীণ ব্যবসা সেবা লিঃ, গ্রামীণ বাইটেক লিঃ, গ্রামীণ সাইবার নেট লিঃ, গ্রামীণ নিটওয়্যার লিঃ, গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিঃ, গ্রামীণ সলিউশন লিঃ, গ্রামীণ আইটি পার্ক লিঃ, টিউলিব ডেইার অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস লিঃ, গ্লোবাল কিডস ডিজিটাল লিঃ, গ্রামীণ ইনফরমেশন হাইওয়ে লিঃ, গ্রামীণ স্টার এডুকেশন লিঃ, রফিক অটোভ্যান ম্যানুফেকচার ইন্ডাস্ট্রি লিঃ, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ শিক্ষা ও গ্রামীণ সামগ্রী নামক প্রতিষ্ঠান। এসব কোম্পানির অনুকূলে বিনিয়োগ হয়েছে তৎকালীন হিসাবে ৩৯ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং নগদ ৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। ১৫টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ইক্যুইটি হিসাবে ১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং ঋণ বাবদ ৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। অপর দিকে গ্রামীণকল্যাণ ফান্ডের মাধ্যমে আরও ১৩টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- গ্রামীণ নিটওয়্যার লিঃ, গ্রামীণ ব্যবসা বিকাশ কেন্দ্র, গ্রামীণ ক্যাপিট্যাল ম্যানেজমেন্ট লিঃ, গ্রামীণ সলিউশন লিঃ, গ্রামীণ আইটি পার্ক লিঃ, গ্রামীণ ডানন ফুডস লিঃ, গ্রামীণ হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস লিঃ, গ্রামীণ স্টার এডুকেশন লিঃ, গ্রামীণ টেলিকম লিঃ, গ্রামীণ শিক্ষা, গ্রামীণ ডিস্ট্রিবিউশন লিঃ, গ্রামীণ ফেব্রিক্স অ্যান্ড ফ্যাশনস লিঃ, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন। এসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে দেয়ার পরিমাণ ৬৯ কোটি টাকা। গ্রামীণকল্যাণ প্রতিষ্ঠা করে তাতে ৪৪ কোটি টাকা ও দাতাদের দেয়া রিভোলবিং ফান্ড থেকে ৩৪৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু পরে নোরাডের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে ৩৪৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা ফেরত নেয়া হয় গ্রামীণকল্যাণ থেকে। এছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- গ্রামীণ ট্রাস্ট, গ্রামীণ ক্রেডিট এগ্রিকোল, গ্রামীণ কমিউনিকেশন লিঃ, গ্রামীণ ইন্টেল সোস্যাল বিজনেস লিঃ, গ্রামীণ শক্তি, ইউনূস সেন্টার ট্রাস্ট, গ্রামীণ আমেরিকা ইনকর্পোরেটেড, গ্রামীণ টেকনোলজি ল্যাব জিএমবিএইচ, গ্রামীণ টেকনোলজি ল্যাব, গ্রামীণ ক্যালেডোনিয়ান নার্সিং কলেজ ও গ্রামীণ শক্তি সামাজিক ব্যবসা লিঃ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment